‘ধানের শীষে’ ভোট চাইলেন ফখরুল কন্যা শামারুহ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, ঠাকুরগাঁও, বার্তা২৪.কম
‘ধানের শীষে’ ভোট চাইলেন ফখরুল কন্যা শামারুহ

‘ধানের শীষে’ ভোট চাইলেন ফখরুল কন্যা শামারুহ

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসনে ধানের শীষে ভোট চাইতে  নির্বাচনের প্রচারণায় নেমেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বড় মেয়ে মির্জা শামারুহ।

সোমবার (২৪ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড পৌর বিএনপি আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তার বক্তব্যে সাধারণ জনগণের কাছে ধানের শীষে জন্য ভোট চান ফখরুল কন্যা।

এ সময় মির্জা শামারুহ বলেন, আমার বাবা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সারা জীবনের সংগ্রামের বিনিময়ে আমি আপনাদের কাছে একটি দিন চাইছি সেটা ৩০ ডিসেম্বর। এই দিনে সকলে মিলে এক সাথে ভোট দিতে যাবেন। আপনারা সবাই দেখিয়ে দিবেন, আপনারা শুধু ভোট দিতেই জানেন না, ভোট ডাকাতিও থামাতে পারেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/24/1545650873921.jpg

ফখরুল কন্যা আরো বলেন, বীরের কখনো মৃত্যু হয়না। তাই কখনই ভয় করবেন না। অনেক হয়েছে ভোট ডাকাতি, অনেক হয়েছে গুম, গায়েবি মামলা, অত্যাচার, চুরি অনেক কিছুই হয়েছে কিন্তু আর নয়। এবারে সময় হয়েছে জবাব দেওয়ার। আর ৩০ ডিসেম্বর হচ্ছে সেই দিন। সেই দিনে বুকে সাহস নিয়ে আপনারা সকলে ধানের শীষে ভোট দিবেন। দেখবেন ৩১ ডিসেম্বর হবে ধানের শীষের দিন।

এ সময় বক্তব্য দেন, পৌর বিএনপির সভাপতি অ্যাড হালিম, সাধারণ সম্পাদক তারেক আদনান, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নূর করিম,  জেলা বিএনপির সদস্য ৫নং ওয়ার্ডর কমিশনার আতাউর রহমান, সদস্য সোহাগ, ৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার নুরু, মহিলা নেত্রী ফারজানা আখতার প্রমুখ।

   

চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৭৩৭ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের শেষধাপে অর্থাৎ চতুর্থ ধাপের ৫৬ উপজেলা নির্বাচনে ৭৩৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখা জানায়, শেষ ধাপের এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৭২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এদিকে, চারটি উপজেলায় চারটি পদে চারজন একক প্রার্থী রয়েছে৷ চেয়ারম্যান পদে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে টাঙ্গাইলের গোপালপুর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম ও ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলায় একজন করে প্রার্থী রয়েছে। রিটার্নিং অফিসারের প্রার্থিতা যাচাই-বাচাই শেষে সব ঠিক থাকলে এই চার উপজেলার প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যাবেন।

চতুর্থ ধাপে ৫৬টি উপজেলার মনোনয়নপত্র বাছাই ১২ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১৩-১৫ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৬-১৮ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৯ মে, প্রতীক বরাদ্দ ২০ মে। আর নির্বাচন ৫ জুন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ইতিমধ্যে প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় বুধবার (৮ মে) ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৬ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলার ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে গণমাধ্যমের সাথে তিনি এই কথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে কুষ্টিয়া সদর উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ১৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে জয়পুরহাট জেলার ক্ষেতলাল উপজেলায়। সেখানে ভোট পড়েছে ৭৩ দশমিক এক শতাংশ।

 

;

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

উপজেলা নির্বাচনে বান্দরবানে নির্বাচিত যারা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে বান্দরবান সদর উপজেলা ও আলীকদম উপজেলায় ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) রাতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বান্দরবান সদরে আব্দুল কুদ্দুস মোটরসাইকেল প্রতীকে ১৯ হাজার ১৪৪ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা। আব্দুল কুদ্দুসের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত এ কে এম জাহাঙ্গীর আনারস প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৬২ ভোট। বান্দরবান জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদেও রয়েছেন জাহাঙ্গীর, তিনি বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

অন্যদিকে আলীকদম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত জামাল উদ্দিন (দোয়াত কলম)। তিনি ভোট পেয়েছেন নয় হাজার ৪৭০। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (আনারস) পেয়েছেন সাত হাজার ৪১৫ ভোট। তিনি বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।

বান্দরবান সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফারুক আহমেদ ফাহিম উড়োজাহাজ প্রতীকে ১৩ হাজার ৩২১ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মেহাইনু মারমা প্রজাপতি প্রতীকে ১৭ হাজার ৯০ ভোটে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী।

এছাড়া আলীকদম উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোহাম্মদ রিটন ৯ হাজার ৬৩ ভোট ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শিরিন আক্তার ৮ হাজার ৫৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তারা উভয়ে বিএনপি থেকে সদ্য বহিষ্কৃত।

 

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ভোটের হার ছিল প্রায় ৩৫ শতাংশ। বান্দরবানের চিম্বুক পাহাড়ের বম সম্প্রদায় অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম।

উল্লেখ্য, বান্দরবানে গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় মামলায় অভিযুক্ত ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ)’র সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে সমগ্র বান্দরবান জুড়ে যৌথ বাহিনীর চিরুনি অভিযান চলমান রয়েছে। তাই রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি তিন উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন স্থগিত করেছেন নির্বাচন কমিশন। পরে সুবিধাজনক সময়ে এসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ মে লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;

ডোমার উপজেলার প্রথম নারী চেয়ারম্যান সুমি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর ডোমার উপজেলা পরিষদে সাত প্রার্থীকে হারিয়ে প্রথম নারী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন সরকার ফারহানা আখতার সুমি। তিনি টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ৩১ হাজার ৪২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট।

বুধবার (৮ মে) রাত ১১টার দিকে ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম।

এর আগে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফল ঘোষণার আগ মুহূর্তে উপজেলা পরিষদের হলরুমে অতর্কিত হামলা চালান আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডন। তার নেতৃত্বে এ সময় উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার, টেবিল, দরজা, জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। হামলার সময় মিলনায়তনের চেয়ার-টেবিল, দরজা-জানালাসহ আসবাবপত্র ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। সে সময় মিলনায়তনে উপস্থিত নির্বাচনসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, প্রার্থীসহ সাংবাদিকেরা ভেতরে আটকা পড়েন। ফলে সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায় ফল ঘোষণা।

পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ডোমার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ফল ঘোষণা করেন। এই ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোল করে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে আবার ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

সরকার ফারহানা আখতার সুমি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। তিনি বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক এবং কল্যাণ ও পুনর্বাসন পদে রয়েছেন। অপরদিকে তোফায়েল আহমেদ সদ্য সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৮৪ সালে ডোমারকে উপজেলা পরিষদ ঘোষণা করা হয়। গঠনের পর থেকে কোনো নারী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেননি। সুমি প্রথম নির্বাচন করেন এবং জয়লাভ করেন।

বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ডোমার উপজেলায় ৭৫টি কেন্দ্র ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হয়। এ উপজেলায় তিন পদে ২১ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তোফায়েল আহমেদ আনারস, ডোমার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মনোয়ার হোসেন হেলিকপ্টার, সাধারণ সম্পাদক মনজুরুল হক চৌধুরী কাপ-পিরিচ, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেত্রী সরকার ফারহানা আখতার সুমি টেলিফোন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার ঘোড়া, রাকিব আহসান প্রধান কৈ মাছ, মদন মোহন সিংহ পিন্টু মোটরসাইকেল এবং এহছানুল হক দোয়াত কলম প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।

;