‘সিংহ দেখিয়ে দেবে, মার্কা বড় বিষয় না, ব্যক্তিই ফ্যাক্টর’



শাহরিয়ার হাসান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলম/ছবি: বার্তা২৪

নির্বাচনী প্রচারণায় হিরো আলম/ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া থেকে: উত্তরবঙ্গে শীতের আমেজ শুরু হয়েছে বেশ আগেই, বেড়েছে তীব্রতাও। তবে আজকের দিনটা ব্যতিক্রম। শীতের তীব্রতার ছিটেফোঁটাও নেই। বগুড়ার কাহালু উপজেলার গ্রামগুলো শীতের সোনালী রোদে চিকচিক করছে।  হালকা গরম কাপড়ে রোদটাও বেশ উপভোগ্য।  

 

এমন একটি রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে ধুমছে প্রচারণা চালাচ্ছেন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম। পুরো দেশজুড়ে যিনি পরিচিত হিরো আলম নামে।

‘আমি জিরো থেকে হিরো আলম- কেউ ঠেকবার পারবে না’-একাদশ সংসদ নির্বাচন যেন হিরো আলমের ‘যুদ্ধ জয়ের গল্প’। ভোটের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু থেকে আলোচিত নাম হিরো আলম। জাতীয় পার্টির মনোনয়ন সংগ্রহ, একটি গণমাধ্যমের টকশোতে বিতর্কিত প্রশ্নের সাহসী জবাব- সব মিলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘টক অব কান্ট্রি’- হিরো আলম।

এরপর জাতীয় পার্টির মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে ঘোষণা। রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়ন বাতিল। প্রার্থিতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল-সব মিলে এমপি নির্বাচন করতে যুদ্ধ নেমেছেন হিরো আলম। হাইকোর্টে রায়ে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায়, সেই যুদ্ধে আপাতত তাকে জয়ী বলা চলে।   

মঙ্গলবার (২৫ ডিসেম্বর) হিরো আলমের নিজ সংসদীয় আসনে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়েছেন। সেই প্রচারণায় সাধারণ ভোটারদের ভালোবাসায় সিক্ত হতে দেখা গেছে তাকে।

মঙ্গলবার কাহালুর রাজধানী মোড়ইল মোড় এলাকা দিয়ে প্রচারণা শুরু করেন হিরো আলম। সেখানে মুহূর্তের মধ্যে শত শত জনতা তাকে ঘিরে ধরে। এ সময় প্রতিটি দোকানে গিয়ে লিফলেট বিতরণ করেন। করমর্দন করে ‘চাচা, সিংগো মার্কায় একটা ভোট দিবেন, আর হামার জন্য একটু দোয়া করবেন’- এভাবে ভোট চাইতে দেখা যায় তাকে।

এলাকার ভোটাররা হিরো আলমের প্রতি ভালোবাসা দেখান এবং তার সাহসিকতার প্রশংসা করেন।

প্রচারণা চলাকালে ভোটারদের কাছে নিজ প্রতীক সিংহ মার্কায় ভোট চেয়ে হিরো আলম বলেন, অনেক ষড়যন্ত্র লড়াই পার করে, আপনিকেরে কাছে আসিছি। আমি আপনাকেরে এলাকার হিরো, আপনাকেরে সন্তান। হামাক সিংগো মার্কায় ভোট দিয়ে, আপনিকেরে সেবা করার সুযোগ দেন।

প্রচারণা চলাকালে ভোটাররা অনেকেই মাথায় হাত দিয়ে দোয়া করে দেন। হিরো আলমের সাহসের জন্য বাহাবা দেন।  এমনকি কেউ কেউ আশ্বাসও দেন ভোট দেওয়ার। বগুড়া-৪ আসনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মহাজোট মনোনীত এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মনোনীত মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ)। দেশের দুই প্রধান দলের প্রার্থীর বিপক্ষে লড়বেন তিনি।

বড় দলের প্রার্থীর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও জেতার ব্যাপারে দৃঢ়চিত্ত হিরো আলম জানান, নির্বাচনে বড় বড় দলের লোক হেরে যায়, তবে আমার ক্ষেত্রে এমনটা হবে না। কেননা, মার্কা বা দল কোন বিষয় না, এখানে ব্যক্তিই আসল। ব্যক্তি জনপ্রিয় হলে জনগণ পছন্দ করে। আমি জনপ্রিয়, আমার হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

প্রচারণার সময় বার্তা২৪. কমের করা একাধিক প্রশ্নের উত্তরে হিরো আলম জানান, আমি সবাইকে বলেছি, আমি গরীব ঘরের মানুষ। আমি জিরো থেকে হিরো হয়েছি, তাই গরীবের ভালোবাসা নিয়ে থাকতে চাই।

নির্বাচনী হলফনামার তথ্যের বিষয়ে করা প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,  আমি হলফনামায় স্থায়ী ও অস্থায়ী সম্পদের হিসাবে ১০ লাখ টাকা উল্লেখ করেছি। আমি এখানে কোন তথ্য গোপন করিনি।

গণসংযোগের সময় আরেক প্রশ্নের উত্তরে আলম জানান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি সেফুদা আমাকে নিজ সন্তানের মত দেখে। উনি আমাকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করার জন্য মানুষকে অনুরোধ করছেন। আমি ওনার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।

হিরো আলমের কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন, হিরো আলম দেখিয়ে .দেবে। সব মানুষ তাকে ভোট দিবে।

প্রসঙ্গত, বগুড়া ৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে হিরো আলমের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন মহাজোট মনোনীত এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মনোনীত মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (হাতপাখা), তরিকত ফেডারেশনের কাজী এম এ কাশেম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলী (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমান (টেলিভিশন)।

   

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;

৩০ উপজেলায় ব্যালট যাবে ভোটের একদিন আগে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ১৬ জেলার ৩০ উপজেলায় আগের দিন ৬১৫ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানো হবে। অন্যান্য স্থানে ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে।

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে, আগামী ২১ মে অনুষ্ঠেয় ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন উপলক্ষে ৩০ উপজেলার ৬১৫টি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ভোটগ্রহণের পূর্বের দিন ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি মালামালের সাথে ব্যালট পেপার প্রেরণের জন্য নির্বাচন কমিশন অনুমতি প্রদান করেছেন।

সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

যেসব উপজেলায় আগের দিন ব্যালট যাবে সেগুলো হলো- কুড়িগ্রাম সদর, উলিপুর, অষ্টগ্রাম, গাইবান্ধা সদর, শিবগঞ্জ, মুলাদী, হিজলা, কুমারখালী, ভোলা সদর, দৌলতখান, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর, কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, ধর্মপাশা, তাহিরপুর, জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, বাহুবল, নবীগঞ্জ, খাগড়াছড়ি সদর, দীঘিনালা, পানছড়ি, লামা, নাইক্ষ্যংছড়ি, বিলাইছড়ি, রাজস্থলি, কাপ্তাই, লালমনিরহাট সদর ও সুন্দরগঞ্জ।

;

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপের ৬৩ জেলার ১৫৭ উপজেলায় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনে অনিয়ম বন্ধে তাৎক্ষণিক বিচারের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটরা আগামী ২১ মে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন কাজ করবে বলে জানান।

ইসির আইন শাখার উপসচিব আব্দুস সালাম এ সংক্রান্ত চিঠি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।

নির্দেশনায় জানানো হয়, ইসি জানায়, ৬৩টি জেলার ১৫৭টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান, ভাইস-চেয়ারম্যান এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের পূর্বের দু’দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরের দু’দিন ১৯ মে হতে ২৩ মে পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য ১৫৭ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগ প্রদান করা হলো।

ইসি জানায়, 'উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ২০১৩' এর বিধি ৮৪ক- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে নির্বাচনি অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898) এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীন আমলে নিয়ে সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্ন করা হবে।

এছাড়া দায়িত্বপ্রাপ্ত ম্যাজিস্ট্রেটগণ দায়িত্ব পালনকালে এক জন বেঞ্চ সহকারী/স্টেনোগ্রাফার/অফিস সহকারীকে সহকারী হিসেবে সঙ্গে নিতে পারবেন। সেইসাথে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দায়িত্ব পালনকালে প্রয়োজনীয় যানবাহন সরবরাহ করার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে বলা হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটগণকে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকায় আদালত পরিচালনার নিমিত্ত দু’জন সশস্ত্র পুলিশ নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, গত ৮ মে প্রথম ধাপের ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের ১৫৭ উপজেলার ভোট গ্রহণ আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হবে। তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ হওয়ার কথা রয়েছে।

;