নৌকার জয় নিশ্চিত করে নারীরা ঘরে ফিরবে!
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর মাত্র ৩ দিন বাকি। এরই মধ্যে পুরোদমে প্রচার-প্রচারণায় ব্যস্ত দলীয় নেতাকর্মীরা। তারা রাতদিন সব সময় ব্যস্ত রয়েছে নিজ প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাওয়ায়। পুরুষের পাশাপাশি নারী নেতাকর্মীরাও পিছিয়ে নেই এ কাজে। পুরুষের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে ২৪ ঘণ্টা কাজ করে যাচ্ছে নারীরাও। সভা-সমাবেশ আর লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে তারা নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছে।
রাজবাড়ী-২ (বালিয়াকান্দি-পাংশা-কালুখালী) আসনে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা সভাপতি ও বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুল হাকিমের প্রতিটি সভা-সমাবেশেই নারী কর্মীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। শুধু নারী নেতাকর্মীই নয়, জিল্লুল হাকিমের যেকোনো সমাবেশে নারী ভোটারদেরও উপস্থিতি অনেক বেশি থাকে।
আওয়ামী লীগ নেত্রী ও বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মৌসুমী আক্তার বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী জিল্লুল হাকিমের নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করছি। বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ড আমরা ভোটারদের সামনে তুলে ধরছি। এবারের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় পুরুষদের পাশে আমরা নারীরাও রয়েছি। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এক সঙ্গে নৌকায় ভোট চাচ্ছি।’
পুরুষের পাশাপাশি আপনাদের প্রচার-প্রচারণা চালাতে কেমন লাগছে এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ আওয়ামী মহিলা লীগের বালিয়াকান্দি উপজেলা শাখার সভানেত্রী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খোদেজা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, এবারের নির্বাচনে রাজবাড়ী-২ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী জিল্লুল হাকিমের নৌকার জোয়ার বইছে। যেখানেই তার সমাবেশ রয়েছে সেখানেই নারী কর্মী ও ভোটারদের উপচে পড়া ভিড় জমছে। পুরুষের পাশাপাশি নারীদের কাজ করতে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রী নারীদের ক্ষমতায়নে যে কাজ করেছেন এবারের নির্বাচনে নারীদের অংশগ্রহণ তারই প্রতিচ্ছবি।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কালাম আজাদ নির্বাচনী প্রচারণায় নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বর্তমান সরকার যে উন্নয়ন করেছেন তা এলাকার জনগণের চোখের সামনে ভেসে উঠছে। উন্নয়নের জোয়ারে এখন আর কেউ ঘরে বসে থাকতে চাচ্ছে না। নারী পুরুষ সবাই চাচ্ছে নৌকা প্রতীককে আবার ক্ষমতায় বসিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে। তাছাড়া নারীর ক্ষমতায়নে ব্যাপক কাজ করেছেন বর্তমান সরকার। এখন নারী পুরুষ কোনো ভেদাভেদ নেই। তাই এবারের নির্বাচন প্রচারণায় জিল্লুল হাকিমের সভা-সমাবেশে নারী ভোটার ও কর্মীদের অংশগ্রহণটা বেশি। আমরা আশা করছি ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন পর্যন্ত পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও সজাগ থাকবে। নৌকা প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করে তারা ঘরে ফিরবে।’