পোস্টার-মাইকিং-গণসংযোগ কিছুতে নেই তারা
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর জেলার ৬টি আসনে এখন পর্যন্ত ৪১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থীরা প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে চালাচ্ছেন প্রচার-প্রচারণা।
পোস্টারিং, মাইকিং, গণসংযোগ থেকে শুরু করে উঠান বৈঠক ও পথসভাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীসহ দলের কর্মী-সমর্থকরা। তবে উৎসবের এ ভোটের মাঠে এখনো প্রচারণা যুদ্ধে দেখা যায়নি হাফ ডজন প্রার্থীকে। মাইকিং, পোস্টারিং কিংবা গণসংযোগ কিছুতেই নেই তারা। এতে ক্ষুদ্ধ এসব প্রার্থীদের দলীয় কর্মী-সমর্থকরা।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, প্রতীক বরাদ্দের ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও ছয় প্রার্থীর কারো তাদের নির্বাচনী এলাকার কোথাও পোস্টার নেই। হয়নি মাইকিং বা গণসংযোগ। এমনকি প্রার্থীদের জনসম্মুখে আসতেও দেখা যায়নি ।
তারা হলেন- রংপুর-২ (বদরগঞ্জ-তারাগঞ্জ) আসনের প্রার্থী বিএনএফের জিল্লুর রহমান (টেলিভিশন), বিকল্পধারার হারুন অর রশিদ (কুলা), রংপুর-৩ (সদর-সিটি করপোরেশন) আসনের প্রার্থী খেলাফত মজলিসের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল (দেওয়াল ঘড়ি), জাসদের সাখাওয়াত হোসেন রাঙ্গা (মশাল), রংপুর-৫ (মিঠাপুকুর) আসনের বাসদের মমিনুল ইসলাম (মই) এবং রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনের বিএনএফের মাসুদ সরকার মজনু (টেলিভিশন)।
সাধারণ ভোটারদের কাছে এসব প্রার্থীদের নিয়ে খুব বেশি আগ্রহ না থাকলেও সংশ্লিষ্ট দলের কর্মী-সমর্থকরা চাইছে তাদের প্রার্থীরা মাঠে নামুক। আবার অনেকেই বলছেন, জনগণের কাছে যারা অপরিচিত, তাদেরকে মনোনয়ন দিয়ে ভুল করেছে দলগুলো।
এ ব্যাপারে পীরগঞ্জ উপজেলার চতড়া ইউনিয়নের ভোটার শরিফুল ইসলাম, হাসান মিয়া ও মশিউর রহমান বলেন, ‘এমন অনেকেই ভোট করছেন, যাদের দলে কোনো লোক নেই। মাঠে না থেকে ভোটযুদ্ধে নাম লেখানোর ব্যাপারটা আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।’