পঞ্চগড়ে বিদ্রোহী প্রার্থীতে বেকায়দায় বিএনপি



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

জেলার সীমান্ত তেঁতুলিয়া থেকে হিমালয়ের চূড়া আবছা দৃশ্যমান। হিমালয়ের সন্নিকটে হওয়ায় এই জেলায় শীতের দাপটটা থাকে সবচেয়ে বেশি। উত্তরের বাতাস থাকলেতো কথাই নেই।

বাংলাদেশের সংসদীয় আসনের গণনা শুরু হয় এখান থেকে। অর্থাৎ জাতীয় সংসদের ১ ও ২ যথাক্রমে পঞ্চগড়-১ ও ২ নামেও পরিচিত। ভোটের সমীকরণে আসন দু’টি কোনো নির্দিষ্ট দলের ঘাটি বলতে সায় দেয় না। অর্থাৎ অনেকটা জোয়ার ও প্রার্থীর উপর নির্ভর করেছে এই আসনের জয় পরাজয়। এবারও তেমনটাই হবে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545809602114.jpg

জোটের সমীকরণে অনেকটা ব্যাকফুটে রয়েছে বিএনপি। পঞ্চগড়-২ আসনতো বিএনপি হাতছাড়া হচ্ছে এটা নিশ্চিত করে ধরে নিচ্ছেন অনেকে। এই আসনে এবার বিএনপির প্রার্থী করা হয়েছে ফরহাদ হোসেন আজাদকে। আসনটিতে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম রূপকার প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে তাসমিয়া প্রধান এখানে জোটের অন্যতম দাবীদার ছিলেন। ঐতিহ্যবাহী পরিবার হিসেবে তার রয়েছে একটি বিশাল ভোট ব্যাংক।

তাকে প্রার্থী না করায় স্থানীয়রা অনেকটা আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। তারা আশা করেছিলেন প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানকে সম্মান দেখিয়ে এতিম তাসমিয়া প্রধানকে অথবা রাশেদ প্রধানকে যেকোনো একটি আসনে জোটের প্রার্থী করবে বিএনপি। কিন্তু তাদের ভাইবোন কাউকেই মনোনয়ন না দেওয়া বিএনপির উপর অনেকেই নাখোশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/26/1545809617208.jpg

এতে ভীষণভাবে চটেছেন প্রয়াত প্রধানের ছেলে মেয়ে দু’জনেই। তারা ভাইবোন দু’টি আসনে জাগপার দলীয় প্রতীক হুক্কা নিয়ে লড়ছেন। তারা যে ভোট টানবেন বেশিরভাগ বিএনপি ঘরানার। যে কারণে হুক্কা মার্কা বিএনপির প্রার্থীদের জন্য পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করছেন ভোটাররা।

পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ ও আটোয়ারী নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছে ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে ব্যারিস্টার নওশাদ জমির। ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারকে শক্তিশালী প্রার্থী ধরা হলেও ছেলে ঠিক কতটা সফল হতে পারবেন সে নিয়ে রয়েছে যথেষ্ট শঙ্কা।

তার বিপরীতে রয়েছে আওয়ামী লীগের মাজাহারুল হক প্রধান। যিনি ২০০৮ সালে জমির উদ্দিন সরকারকে প্রায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেছিলেন। জেলার এই আসনে মোটামুটি উভয় প্রার্থীর পোস্টার ব্যানার শোভা পাচ্ছে। আবার বিএনপির অফিসও বেশ সরগরম। যদিও বিএনপির অনেকে নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন।

জেলা যুবদলের নেতা মাহবুব উল আলম মন্টু বার্তা২৪কে বলেন, ডিসি এসপিসহ প্রশাসনও আওয়ামী লীগের পক্ষে কাজ করছে। এভাবে ভোট করার কোনো মানে হয় না। জেলা শহরের পোস্টার ব্যানার থাকলেও গ্রামের দিকে কোনো পোস্টার রাখতে দেওয়া হচ্ছে না। ঝুলালেই ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে রাতের আঁধারে। আমাদের প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এই আসনে বিএনপির কাঁটা যেমন হুক্কা মার্কার প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের ছেলে রাশেদ প্রধান। তেমনি আওয়ামী লীগের কাঁটা হচ্ছে জাতীয় পার্টি। উন্মুক্ত এই আসনে দলটির নেতা আবু সালেক লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে যিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। তিনিও সম্মানজনক ভোট পেতে পারেন।

আবু সালেক বার্তা২৪কে বলেন, আমিতো মনে করি এখানে ত্রিমুখী লড়াই হবে। যেই জিতুক অল্প ভোটের ব্যবধানে জিতবে। তবে মানুষ আওয়ামী লীগ-বিএনপির সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি দেখতে চায় না। এখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপিতে অনেক গ্রুপিং রয়েছে। তারা অনেকে লাঙ্গল মার্কায় সিল মারবে।

অন্যদিকে বোদা ও দেবীগঞ্জ নিয়ে গঠিত পঞ্চগড়-২ আসনে প্রয়াত শফিউল আলম প্রধানের মেয়ে মাঠে থাকায় আসনটি বিএনপির হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন ভোটাররা। এখানে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী প্রার্থী রয়েছেন নুরুল ইসলাম সুজন।

২০০১ সালে এই আসনে মাত্র ২ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিএনপির প্রার্থীর কাছে হারলেও ২০০৮ সালে প্রায় অর্ধ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করেন বিএনপির মোজাহার হোসেনকে। উন্নয়ন ও জনগণের সঙ্গে সদ্ভাবের কারণে এবারও তাকেই এগিয়ে রাখছেন ভোটাররা।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;