খন্দকার মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে মোমেনের করা রিট খারিজ
সিলেট-১ আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ কে আব্দুল মোমেনের দায়ের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। তথ্য গোপন ও ঋণ খেলাপির অভিযোগ এনে গত ২৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে এই রিট পিটিশন দায়ের করেছিলেন সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ড. একে আব্দুল মোমেন (রিট আবেদন নং- ১৬৪১১)।
বুধবার ( ২৬ ডিসেম্বর) সকালে হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের বেঞ্চ শুনানি শেষে ড. মোমেনের আবেদন ‘নট প্রেস’ গণ্যে খারিজ করে দেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, সিলেট-১ আসনের বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পিতা, সাবেক এমপি মরহুম খন্দকার আব্দুল মালিকের নামে কৃষি ব্যাংকের একটি ঋণ ছিল।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. মোমেনের দাবি, ঐ ঋণ সংক্রান্ত মামলায় খন্দকার আব্দুল মালিকের মৃত্যুর পর খন্দকার আব্দুল মালিককে মোকাবেলা বিবাদী করেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির সিলেট জেলা রিটার্নিং অফিসারের কাছে দায়ের করা হলফনামায় এ তথ্য গোপন করেন খন্দকার মুক্তাদির।
এ কারণে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে গত ২৩ ডিসেম্বর হাইকোর্টে রিট আবেদন দাখিল করেন। আজ সকালে এ বিষয়ে শুনানিকালে বিজ্ঞ হাইকোর্ট বেঞ্চ অভিমত দেন যে, যেহেতু এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে কোনো অভিযোগ দেননি ড. মোমেন সেহেতু তার রীট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। প্রার্থিতা সংক্রান্ত বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দিলে তারা সেটির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত দিতে পারতেন। ফলে, ড. মোমেনের অভিযোগ গ্রহণযোগ্য নয় অভিমত দিয়ে তা ‘নট প্রেস’ গণ্যে খারিজ করে দেন বিজ্ঞ বিচারপতিদ্বয়। ফলে, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের প্রার্থিতার বিষয়ে এ মুহূর্তে আর কোন প্রতিবন্ধকতা নেই বলে জানান খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি।
আদালতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট কিংসুক দেব ও অ্যাডভোকেট শাহ মনজুরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
অন্যদিকে, আদালতে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার হাসান আরিফ, ব্যারিস্টার আব্দুল হালিম কাফি ও এডভোকেট প্রবীর নিয়োগী।