ঢাকা-৭: প্রচারণা ঘুচিয়ে চলছে নৌকার পোলিং এজেন্ট নিয়োগ
একাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রচারণা শুরু হয়েছে ১১ ডিসেম্বর থেকে। ভোটগ্রহণের আর তিন দিন বাকি থাকায় এখন ভোটের দিন কেন্দ্রীক কার্যক্রম শুরু হয়ে গেছে প্রার্থীদের মধ্যে। ফলে প্রচারণার কার্যক্রম ধীরে ধীরে ঘুচিয়ে পোলিং এজেন্ট নিয়োগের কাজে ব্যস্ত প্রার্থীরা।
ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হাজী সেলিমের নেতাকর্মীদের মধ্যেও চলছে এখন ভোটের দিন কেন্দ্রীক কার্যক্রম। বিশ্বাসযোগ্য নেতা বা কর্মী খুঁজে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়াই তাদের এখন মূখ্য কাজ। তাই প্রচারণায় খুব বেশি সময় তারা এখন দিতে পারছেন না। অন্যদিকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগেও ধানের শীষের প্রার্থীর কোনো কার্যক্রম চোখে পড়ছে না।
বুধবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকা-৭ আসনের পোস্তা এলাকা ঘুরে এসব বিষয় জানা যায়।
হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয় মদিনা টাওয়ারে গিয়ে সরেজমিনে দেখা গেছে, নির্বাচনকালীন নেতাকর্মীদের ভীড়ে জমজমাট হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয়। একদিকে যেমন চলছে ছোট ছোট টিম পাঠিয়ে প্রচারণার কাজ, অন্যদিকে শত শত নেতাকর্মীদের থেকে চলছে পোলিং এজেন্ট নিয়োগের কাজ। তাই সব মিলিয়ে বলা চলে হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয় এখন নির্বাচনী শেষ মুহূর্তের আমেজে চাঙ্গা।
ঢাকা-৭ আসনে মোট ১৩টি ওয়ার্ডে ১২২টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। আর ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ২৮ হাজার। তাই প্রতিটি কেন্দ্রে এক জন করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিতে হবে তাদের। তাই এখন চলছে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া।
নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়ার জন্য লোকের অভাব নেই। কিন্তু ভোটের দিন প্রতিটি কেন্দ্রে থাকা পোলিং এজেন্টদের দ্বায়িত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই যাকে তাকে পোলিং এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে তারা দীর্ঘ দিনের বিশ্বাযোগ্য নেতাকর্মীদের থেকে বাছাই করে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দিচ্ছেন।
এ বিষয়ে হাজী সেলিমের রাজনৈতিক কার্যালয়ের দফতর সচিব এস এম মিরানুর রহমান মিরান বার্তা২৪কে বলেন, ‘আমাদের প্রচারণা এখন কিছুটা কমে গেছে। কেননা ভোটের দিনের আর সময় বেশি বাকি নেই। ভোটের দিন ভিত্তিক কার্যক্রম আমাদের চালাতে হচ্ছে। এখন সব থেকে বড় কাজ হচ্ছে প্রতিটি কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট নিয়োগ দেওয়া।
ঢাকা-৭ আসনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু ধানের শীষ মার্কায় নির্বাচন করছেন।
স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই প্রার্থী এখানকার স্থানীয় নয়। তিনি নির্বাচনের দিন সমস্যা সৃষ্টি করতে পারেন। তাই ভোটের দিন যাতে কোনো ধরণের অশান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সেই দিকে নজর রাখবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগের এই অভিযোগ সম্পর্কে কথা বলার জন্য মোস্তফা মহসীন মন্টুর কোনো নেতাকর্মী বা নির্বাচনী ক্যাম্প খুঁজে পাওয়া যায়নি।