আনিসুলের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান আতিকুল
জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে চান বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।
তিনি বলেছেন, যদি জনগণের ভোটে জয়লাভ করি, আমি বিশ্বাস করি প্রয়াত মেয়র আনিস ভাই ঢাকা উত্তরের বাসিন্দাদের জন্য যে উন্নয়ন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন করেছেন আমরা চেষ্টা করব সে ধারা অব্যাহত রাখার। পারলে তার উপরে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করব। কারণ তার নিচে কখনো গেলে এটা জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বিকালে উত্তরের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেমের কাছে আতিকুল মনোনয়ন জমা দেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা মনে করি, ঢাকাকে একটি সুন্দর বাসযোগ্য শহর হিসেবে গড়ে তুলতে সবাই মিলে একত্রে কাজ করতে হবে। অসম্ভব বলে কিছু নেই। সব কিছু সম্ভব যদি আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।
নির্বাচনে বিএনপি অংশ না নিলে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিজিএমইএ-তে যতবার নির্বাচিত হয়েছি, ততবার নির্বাচনের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছি। আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন পছন্দ করি। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন পছন্দ করি। জনগণ যাকে ভোট দেবে আমরা তাকেই মেনে নেবো। আমি কথা দিতে পারি যেদিন থেকে দায়িত্ব নিবো সেদিন থেকে সততা এবং সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করবো।
জনগণের প্রতিশ্রুতি পূরণের জন্য কি ধরনের চ্যালেঞ্জ সামনে রয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত হলে জনগণকে নিয়ে কাজ করতে চাই। জনগণ বলে দেবে তাদের কি সমস্যা। আমরা নগর অ্যাপস নামে একটি অ্যাপস চালু করতে যাচ্ছি। যে অ্যাপসের মাধ্যমে কারো কোনো সমস্যা থাকলে সাথে সাথে মেসেজ দিতে পারবেন। এবং সেই মেসেজ সিটি কর্পোরেশনেরর কাছে চলে যাবে।
এ সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবুল কাসেম বলেন, এ পর্যন্ত ২৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন আর জমা দিয়েছে কেবল আতিকুল ইসলাম। অন্যদিকে উত্তর সিটির নতুন ১৮ টি ওয়ার্ডের নির্বাচনে সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৩০টি কাউন্সিলর পদে ১৯৭জন মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
প্রচারণার বিধি নিষেধ তুলে ধরে আবুল কাসেম আরো বলেন, যেসব পোস্টার লিফলেট আছে, সেগুলো যেন অচিরেই সরিয়ে ফেলা হয়। অন্যথায় আমরা অচিরেই মাঠে নামবো। প্রার্থীরা যদি আগাম প্রচার সামগ্রী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সরিয়ে না ফেলেন, তবে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।