অজয়কে বিয়ে করায় এক সপ্তাহ কথা বলেননি বাবা: কাজল



বিনোদন ডেস্ক
কাজল ও অজয় দেবগণ

কাজল ও অজয় দেবগণ

  • Font increase
  • Font Decrease

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাজল। ‘বেখুদি’ ছবির মধ্য দিয়ে ১৯৯২ সালে অভিনয় জগতে পা রেখেছেন তিনি। অভিনয় করেছেন- ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’, ‘ইশক’, ‘পেয়ার কিয়া তো ডারনা কেয়া’, ‘পেয়ার তো হো না হি থা’, ‘হাম আপকে দিল ম্যায় রেহতে হ্যায়’, ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’, ‘কাভি খুশি কাভি গাম’, ‘মাই নেম ইজ খান’ ও ‘দিলওয়ালে’র মতো ছবিতে।

বলিউড তারকা কাজল যখন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে, তখনই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। সহশিল্পী অজয় দেবগণের সঙ্গে তিনি গাঁটছড়া বাঁধেন ১৯৯৯ সালে। দেখতে দেখতে একসঙ্গে কাটিয়ে দিয়েছেন ১৯ বছর। নাইসা ও যুগ নামে দুটি সন্তানও রয়েছে এই তারকা দম্পতির।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540210039556.jpg

ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকার সময় অজয়কে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় কাজলের উপর ক্ষেপে গিয়েছেন তার পরিবার। এমনকি কাজলের বাবা নাকি তার সঙ্গে সপ্তাহ খানেক কথাই বলেননি। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার সঞ্চালিত অনুষ্ঠান ‘নো ফিল্টার নেহা’তে এমনটাই জানিয়েছেন কাজল।

এ প্রসঙ্গে কাজল বলেছেন- আমি অজয়কে বিয়ে করি এটি কেউই চাইছিলেন না। বাবা তো একদমই রাজি ছিলেন না। তিনি আমার সঙ্গে এক সপ্তাহ কথা বলেননি। বাবা আমাকে প্রশ্ন করেছিলেন- আমি কেনো ক্যারিয়ারের শীর্ষে থেকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলাম? কিন্তু আমিও ভীষণ জেদি ছিলাম।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540210059056.jpg

যেখানে অভিনেত্রীরা জনপ্রিয়তা হারানোর ভয়ে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পিছপা হন, সেখানে কাজল জনপ্রিয়তার চূড়ায় থাকা অবস্থাতেই বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। বিয়ের আগে প্রায় আট থেকে নয় বছর তিনি বলিউডে চুটিয়ে কাজ করেছেন। এক বছরে চার-পাঁচটা ছবির শুটিং করতেন তখন। কিন্তু সারা জীবন এভাবেই পার করতে চাননি। বরং সঠিক সময়ে বিয়ে করে সংসারী হতে চেয়েছিলেন। তা-ই করেছেন।

ক’দিন আগে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে কাজল অভিনীত ‘হেলিকপ্টার ইলা’। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে দেখা গেছে ওপার বাঙলার ঋদ্ধি সেনকে।
https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/22/1540210086256.jpg

   

লাল শাড়িতে আলিয়া ভাট, 'আসল না নকল' তর্কে ভক্তরা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে আগাচ্ছে প্রযুক্তিও। এখন আমরা যে যুগে বাস করছি, সেখান থেকে সত্য-মিথ্যার পার্থক্য খুঁজে বের করা কঠিন হতে শুরু করেছে! ইন্টারনেটে দেখা সবকিছুই বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না আর। কারণ, সাধারণ নারী থেকে সেলিব্রিটিসহ অনেকেই নকল ছবি ও ভিডিওর ভুক্তভোগী হচ্ছেন।

ডিপফেকের ভিডিওর ভুক্তভোগী একগাদা তারকাদের তালিকায় এবার নাম জুড়লো আলিয়া ভাটেরও। লাল শাড়ি, ম্যাচিং ব্লাউজ, বাহারি গহনা পরে মেঝেতে বসে পোজ দিচ্ছেন আলিয়া, এমন একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়লে তোলপাড় শুরু হয়। আসলে ভিডিওটি আলিয়ার নয়। অন্য এক ভিডিওতে আলিয়ার মুখ বসিয়ে তৈরি করা হয়েছে নকল ভিডিওটি।

আগে আসলে বা নকল সহজে ধরা যেতো। তবে ইন্টারনেটের কল্যাণে এখন এসবের পার্থক্য কমে আসছে। বিশেষ করে গত কয়েক বছরেই চিত্র একেবারেই বদল গেছে। বিশ্বাসযোগ্য নকল ছবি ও ভিডিওর ছড়াছড়ি অনলাইনে।

আলিয়া ভাটের ফেক ফেস ব্যবহার করায় নেটিজেনরা ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্তব্য করেছেন, ছবি সম্পর্কে, ছবি- সংগৃহীত

এই দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে, 'ডিপফেক' নামের একটা সফটওয়্যার। এর আগেও একাধিকবার তারকাদের নকল ভিডিওর বিষয়ে আলোচনায় আসে ডিপফেক।

এখানে খুব সহজেই একটা ভিডিওতে অন্য একটি মানুষের মুখ বসিয়ে বিশ্বাসযোগ্য ভিডিও তৈরি করা যায়। শুধুমাত্র প্রয়োজন ভুক্তভোগীর ছবি। মুহূর্তেই ভিডিওর চেহারা বদলে বসে যায় ছবির চেহারা। মুখভঙ্গি, নড়াচড়ার সঙ্গে মিলে যায় খাপে খাপ। কিন্তু এর পরিণতি যে কতটা সাংঘাতিক হতে পারে, তার প্রমাণ পেয়েছেন অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানা ও ক্যাটরিনা কাইফ। হলিউডেও টেইলর সুইফটসহ আরো নামকরা অভিনেত্রীদের ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছে।

রশ্মিকা ও ক্যাটরিনার ছবি ডিপফেকে ব্যবহারের পেছনে যে অসৎ উদ্দেশ্য ছিল তা স্পষ্ট। তবে আলিয়া ভাটের ছবিকে ডিপফেক ব্যবহার করেছেন তার ভক্তরা। প্রথম দেখায় হয়ত ভুল করবেন খোদ আলিয়াও! তবে একটু ভালো করে দেখলে বোঝা যায়, আলিয়ার অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে এ আলিয়ার মিল নেই৷

ক্যাপশনে লেখা হয়েছিল,‘পর্দার বাইরে আলিয়া ভাট’। সেখানে যে আসল আলিয়া বসে নেই, তা বুঝতে পারেন নেটিজেনরা। সে কারণে তারা কমেন্ট করে ব্যাপারটা উল্লেখও করেন। আসলে বলিউডের আরেক অভিনেত্রী ওয়ামিকা গাব্বিবের ভিডিও ব্যবহার করা হয়েছে ডিপফেক ভিডিওতে। তবে এই নিয়ে কোনো মন্তব্য আসেনি আলিয়ার তরফ থেকে।

 

;

গুঞ্জনের মুখে ছাই, জানা গেল রণবীরের বিয়ের ছবি ডিলিটের কারণ



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিবাহত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

বিবাহত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

  • Font increase
  • Font Decrease

সংসারে সুখের কমতি নেই। অথচ জনপ্রিয় তারকা বলেই দফায় দফায় ছড়াচ্ছে বিচ্ছেদের গুঞ্জন। কিছু দিন আগেও শোনা গিয়েছিল, আলাদা হয়ে যাচ্ছেন বলিউডের অন্যতম প্রভাবশালী তারকা দম্পতি রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন। যদিও পরে বড় সুখবর সামনে আসে, তারা বাবা-মা হতে চলেছেন।

এরপরও ফের তাদের বিচ্ছেদের গুঞ্জন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এর মূলে রয়েছে রণবীরের এক কাণ্ড। তিনি নিজের বিয়ের সমস্ত ছবি ইনস্টাগ্রাম থেকে ডিলিট করে ফেলেছেন। এটা দেখেই নেটিজেনরা বলাবলি করছে, দীপিকার সঙ্গে হয়ত তার দূরত্ব বেড়েছে।

বিয়ের আসরে রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

তবে বলিউড হাঙ্গামার রিপোর্ট বলছে, ব্যাপারটা মোটেও এরকম নয়। রণবীর মূলত তার ইনস্টাগ্রামে ২০২৩ সালের আগের সব ছবি আর্কাইভ করে দিয়েছেন। যেহেতু দীপিকার সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল ২০১৮ সালে। সে কারণে বিয়ের ছবিগুলোও রয়েছে সেই আর্কাইভে। তাই ছবিগুলো আর দেখা যাচ্ছে না তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে।

বিষয়টিকে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবস্থাপনার একটি কৌশল বলেই জানিয়েছে গণমাধ্যমটি। এখানে বিচ্ছেদ কিংবা আলাদা হওয়ার গন্ধ খোঁজা অহেতুক। তাছাড়া দীপিকা পাড়ুকোনের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে এখনও বিয়ের সমস্ত ছবি জ্বলজ্বল করছে।

গেলো ফেব্রুয়ারির শেষ দিন রণবীর-দীপিকা ঘোষণা দেন যে, তাদের ঘরে সন্তান আসতে চলেছে। আগামী সেপ্টেম্বরে বাবা-মা হবেন তারা। সম্প্রতি তারা বেবিমুনে (সন্তান জন্মের আগে বিশেষ অবকাশ) গেছেন। সেই ছবিও এসেছে অন্তর্জালে। সুতরাং নতুন অতিথির অপেক্ষায় আনন্দেই কাটছে তাদের সংসার জীবন।

রণবীর সিং ও দীপিকা পাড়ুকোন

প্রসঙ্গত, রণবীর সিংকে সর্বশেষ দেখা গেছে গেলো বছর মুক্তি পাওয়া সফল ছবি ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’তে। এ বছর তিনি আসছেন ‘সিংহাম অ্যাগেইন’ ছবি নিয়ে। অন্যদিকে দীপিকা পর্দায় এসেছেন গত জানুয়ারিতে, ‘ফাইটার’ ছবির মাধ্যমে। হৃতিকের সঙ্গে তার ছবিটি বক্স অফিসে মন্দের ভালো ব্যবসা করেছিল।

;

কবিগুরুর জন্মজয়ন্তীতে দেশজুড়ে নানা আয়োজন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফ্রেমে বাঁধা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

ফ্রেমে বাঁধা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  • Font increase
  • Font Decrease

গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, গান, ছোটগল্প, চিত্রকর্মসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনন্য দ্যুতি ছড়িয়েছেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আজ (২৫ বৈশাখ) কবিগুরুর জন্ম জয়ন্তী। বরাবরের মতো এবারও রবি ঠাকুরের জন্মলগ্ন উপলক্ষে দেশজুড়ে বহু অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কবিগুরুর ১৬৩তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে গত ৬ মে ঢাকায় গঠিত হয়েছে ‘টেগোর সোসাইটি’। যার মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্য, সংগীত আর দর্শনকে বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে কাজ করবে বলে জানান এর সভাপতি ড. চঞ্চল খান।

এবার জাতীয়ভাবে কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনের প্রতিপাদ্য ‘সোনার বাংলা স্বপ্ন ও বাস্তবতা : রবীন্দ্রনাথ থেকে বঙ্গবন্ধু’। এই প্রতিপাদ্যে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় বর্ণিল সব আয়োজন থাকছে।

কবির স্মৃতি বিজড়িত খুলনার ফুলতলা উপজেলার দক্ষিণডিহি রবীন্দ্র কমপ্লেক্সে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে থাকছে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি। কুষ্টিয়ার শিলাইদহ কুঠিবাড়িকে সাজানো হয়েছে নতুন সাজে। সেখানে চলছে দুই দিনব্যাপী আয়োজন। গান, কবিতার আসর ছাড়াও থাকছে রবীন্দ্র মেলা।

তরুণ রবীন্দ্রনাথ

পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বর্ণিল আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নৃত্য, আবৃত্তি, রবীন্দ্রসংগীতসহ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় কবিগুরুকে স্মরণ করা হবে।

এদিকে বিশ্বকবির জন্মবার্ষিকী পালনের জন্য দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসায়ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজনের মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রচনা ও আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ইত্যাদি।

এদিকে চার দশক ধরে প্রতি বছরই ঘটা করে হয়ে আসছে জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত উৎসব। রবীন্দ্রসংগীত নিয়ে এত বড় উৎসব আর হয় না এই বাংলায়। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও রাজধানীর বুকে বসতে যাচ্ছে তিন দিনব্যাপী উৎসব। আয়োজনে বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা।

৯ থেকে ১১ মে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে হবে এই উৎসব। উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে অকাল প্রস্থানে যাওয়া সাদী মহম্মদ স্মরণে। কিংবদন্তি শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সংগঠক, রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কলিম শরাফীর শততম জন্মবার্ষিকীও আজ ৮ মে। সেটি ৯ মে উৎসবের উদ্বোধনী দিনে পালন করবো ঘটা করে।

কলিম শরাফী ও সাদী মহম্মদ

১৮৬১ সালের ৭ মে (২৫ বৈশাখ) পশ্চিমবঙ্গের জোড়াসাঁকোয় জন্মগ্রহণ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জমিদার পরিবারে জন্মের সুবাদে ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য-শিল্পের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে তার। আর সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত প্রতিভায় তিনি ছিলেন অনন্য। যার সুবাদে শুরু করেন সাহিত্যচর্চা। ১৮৭৮ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘কবিকাহিনী’।

পুরোটা জীবন লেখালেখিতে কাটিয়েছেন রবি ঠাকুর। ফলে তার সৃষ্টিকর্মের সংখ্যাও বিপুল। ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস, ৩৬টি প্রবন্ধ ও ৯৫টি ছোটগল্প রচনা করেছেন তিনি। এর বাইরে তার রচিত গানের সংখ্যা প্রায় দুই হাজার। এটাই শেষ নয়, চিত্রশিল্পী হিসেবেও তার প্রতিভা ছিল অনন্য। জীবদ্দশায় প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন তিনি।

১৯১৩ সালে ‘গীতাঞ্জলী’ কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য এশিয়া মহাদেশের মধ্যে প্রথম সাহিত্যিক হিসেবে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। বাংলা ভাষায় শ্রেষ্ঠ কবি কিংবা সাহিত্যিকদের মধ্যে তার নামটি উচ্চারিত হয় প্রথমেই। বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত ‘আমার সোনার বাংলা’ ও ভারতের জাতীয় সংগীত ‘জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে’ রবীন্দ্রনাথের লেখা।

১৯০১ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ শান্তিনিকেতনে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন

১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। মৃত্যুর সাত দিন আগ পর্যন্ত রবীন্দ্রনাথ সৃষ্টিশীল ছিলেন। দীর্ঘ রোগভোগের পর ১৯৪১ সালের ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ) জোড়াসাঁকোর বাসভবনেই শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

;

সীতা চরিত্রে কাঁচা বাদাম খ্যাত অঞ্জলি অরোরা, ইন্টারনেটে সমালোচনার ঝড়



বিনোদন ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েক বছর আগে কাঁচা বাদাম বিক্রি করার সময় নিজস্ব সুরে গান গেয়ে ভাইরাল হন ভুবন বাদ্যকর। ক্রেতাদের মধ্যে একজন তার মুঠোফোনের ভিডিও করে ইন্টারনেটে প্রকাশ করে ভুবনের সেই গান। ভারতীয় সহজ সরল বাদাম বিক্রেতা রাতারাতি বিশ্ববাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে যায়। তার অসম্ভব প্রতিভা আর সুরেলা কন্ঠের প্রশংসা হতে থাকে৷

সামাজিক যোগাযোগমুখী ক্রিয়েটররা তাকে নিয়ে আবার গানটি রেকর্ড করে। টিকটক এবং ইনস্টাগ্রাম রিলস ব্যবহার কারীদের কাছে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে যায় কাঁচা বাদাম৷ হুমড়ি খেয়ে সকলে নিজের মতো করে গানটিতে রিল বানাতে থাকে৷ তবে যাকে নিয়ে সবচেয়ে বেশি হাসাহাসি এবং আলোচনা-সমালোচনা হয়, তিনি হচ্ছেন অঞ্জলি অরোরা।


শুধুমাত্র কোমর দুলিয়ে নিচে অল্প কিছু দিনের ব্যবধানে কিভাবে তিনি দশ মিলিয়ন ফলোয়ার জোগাড় করে ফেলেছিলেন- তা ছিল তখনকার হট টপিক। অঞ্জলির পোশাকে অশ্লীলতা না থাকলেও, নাচের মুদ্রা নিয়ে কটাক্ষ করে অনেকেই।

সম্প্রতি আবার তিনি আলোচনায় এসেছেন এক বিস্ফোরক মূলক ঘটনায়। তিনি নাকি এবার মাতা সীতার চরিত্রে অভিনয় করবেন 'শ্রী রামায়ণ কথা' নামের সিনেমায়৷ ভারতের ছত্তিশগড়ের ভোজপুরি ডিরেক্টর অভিষেক সিং পরিচালনা করবেন সিনেমাটি। এ নিয়ে ভারতীয় সামাজিক মাধ্যমে চলছে আলোচনা সমালোচনা। সিংহভাগই সীতা চরিত্রে তাকে মেনে নিতে পারছেন না৷

মূলত নাচকেই অঞ্জলির প্রতিভা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে কেউ কখনো অভিনয় করতে দেখেনি। এরকম নতুন ও অনভিজ্ঞ একজন শিল্পীকে নেওয়া হয়েছে সীতা চরিত্রে৷ এরকম মহান চরিত্রে অভিনয় করার জন্য অঞ্জলিকে চূড়ান্ত করা নিয়েই ভক্তদের ক্ষোভ৷


কাঁচা বাদাম গানের নাচ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয় পাওয়ার পর কঙ্গনা রানাওয়াতের রিয়েলিটি শো লক কাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন অঞ্জলি আরোরা৷ রিল থেকে তাকে যারা চিনত না, টেলিভিশনের শো সম্প্রচারের মাধ্যমে তারাও অঞ্জলিকে চিনতে শুরু করে৷ শো চলাকালে বিতর্কিত কৌতুকশিল্পী মুনাওয়ার ফারুকির সাথে সম্পর্কেও জড়ান তিনি৷

কিছুদিন ধরে ইন্টারনেট গরম ছিল সাই পল্লবী এবং রণবীর কাপুর অভিনীত রামায়ণ সিনেমা নিয়ে৷ সিনেমাটি পরিচালনা করছেন নিতেশ তিওয়ারি৷ সেট ফটো লিক হওয়ার পর থেকেই সেই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের আশা বেড়েছে৷ রণবীর এবং পল্লবী দু'জনকেই রাম-সীতা চরিত্রে সাদরে গ্রহণ করেছেন নেটিজেন। তবে পরিচালক অভিষেকের শ্রী রামায়ণ কথা সিনেমা নাকি নিতেশের রামায়ণের জন্য প্রতিযোগিতা কঠিন করে তুলবে৷ এ নিয়েও কমেন্ট বক্সে হাসির রোল পড়ে যায়৷

;