হঠাৎ পরিচালক আশা ভোঁসলে!
‘মহেঞ্জো দাড়ো’র পর এবার ‘পানিপথ’ নিয়ে ফিরছেন পরিচালক আশুতোষ গোয়ারিকর। যেখানে পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধের কাহিনী তুলে ধরবেন তিনি। এতে প্রধান চরিত্রে দেখা যাবে সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন কাপুর ও কৃতি শ্যাননকে।
ক’দিন আগে মহারাষ্ট্রের কারজতে শুরু হয়েছে ‘পানিপথ’-এর শুটিং। সম্প্রতি ছবিটির সেটে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আশা ভোঁসলে।
শুধু ‘পানিপথ’-এর সেট পরিদর্শন করেননি আশা ভোঁসলে। কিছুক্ষণের জন্য পরিচালকের দায়িত্বও পালন করেছেন বর্ষীয়ান এই গায়িকা।
এ প্রসঙ্গে আশুতোষ গোয়ারিকর বলেন- “আশাজি আমাদের ‘পানিপথ’ ছবির সেট পরিদর্শন করেছেন এটি সত্যি খুব দারুণ একটি ব্যাপার। এছাড়া তিনি যে, দৃশ্যটি পরিচালনা করেছেন সেটি অসাধারণ ছিলো। তাই আমি বলতে চাই, সংগীতের পাশাপাশি তার পরিচালনার হাতটিও বেশ পাকা। তার আগমনে প্রথমে একটু চমকে গিয়েছিলাম কিন্তু আমরা চাই তিনি এভাবে করেই আমাদের চমকে দিতে থাকুক।”
১৯৪৩ সালে বড় বোন লতা মঙ্গেশকরের হাত ধরে সংগীতজীবনে পা রেখেছিলেন আশা ভোঁসলে। প্রথম প্লেব্যাক করেন মারাঠি ছবিতে। আর ১৯৪৮ সালে ‘চুনারিয়া’ ছবিতে ‘খাতু আয়া’ গানের মধ্য দিয়ে হিন্দি চলচ্চিত্রের প্লেব্যাক জগতে তার যাত্রা শুরু। তিনি প্রথম এককভাবে হিন্দি গানে কণ্ঠ দেন ১৯৪৯ সালে।
১৯৫৭ সালে ‘নয়া দৌড়’, ‘আশা’, ‘নবরঙ্গ’, ‘মাদার ইন্ডিয়া’, ‘দিল দেকে দেখো’, ‘পেয়িং গেস্ট’ চলচ্চিত্রে একের পর এক হিট গান গেয়ে রাতারাতি বলিউডের শীর্ষস্থান পান আশা ভোঁসলে। ১৯৫৮ সালে ‘হাওড়া ব্রিজ’, ‘কাগজ কে ফুল’, ‘ফাগুন’ ছবির মাধ্যমে তার এই যাত্রা অব্যাহত থাকে।
৭৬ বছরের সংগীতজীবনে আশা ভোঁসলে এক হাজারেরও বেশি হিন্দি চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন। গেয়েছেন ২০টি ভাষায় ১১ হাজারেরও বেশি গান। এর জন্য ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস একাডেমি ২০০৯ সালে তাকে ‘মোস্ট রেকর্ডেড আর্টিস্ট’ নামে আখ্যায়িত করেছেন।
২০১১ সালে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড তাকে ‘মোস্ট রেকর্ডেড আর্টিস্ট’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। ভারত সরকার তাকে ২০০০ সালে ‘দাদাসাহেব ফালকে’ আর ২০০৮ সালে ‘পদ্মভূষণ’ খেতাব দিয়েছে।