নজরুলসংগীতের বরেণ্য শিল্পী, গবেষক ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সংগীত শিল্পী খালিদ হোসেন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর।
বুধবার (২২ মে) রাত সোয়া ১০টার দিকে রাজধানীর জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন এ সংগীত গুরু।
খালিদ হোসেনের ছোট ভাই মাহমুদ হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। এরসঙ্গে তাঁর কিডনির জটিলতা ও ফুসফুসেও সমস্যা হচ্ছিল।
মাহমুদ হোসেন জানান, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য প্রতি মাসেই হাসপাতালে নেওয়া হতো খালিদ হোসেনকে। তখন দুই-তিন দিন তিনি হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি থাকতেন। এবারও ৪ মে ভর্তি করা হয়। এখানে আজ মারা যান।
খালিদ হোসেনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ৪ ডিসেম্বর। তখন তাঁরা ছিলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগরে। দেশ বিভাগের পর মা–বাবার সঙ্গে তিনি চলে আসেন কুষ্টিয়ার কোর্টপাড়ায়। ১৯৬৪ সাল থেকে তিনি স্থায়ীভাবে ঢাকায় ছিলেন।
নজরুলসংগীতের শিক্ষকতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন দীর্ঘদিন। তিনি একুশে পদক পেয়েছেন ২০০০ সালে। এ ছাড়া পেয়েছেন নজরুল একাডেমি পদক, শিল্পকলা একাডেমি পদক, কলকাতা থেকে চুরুলিয়া পদকসহ অসংখ্য সম্মাননা।
খালিদ হোসেনের গাওয়া নজরুলসংগীতের ছয়টি অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে। আরও আছে একটি আধুনিক গানের অ্যালবাম ও ইসলামি গানের ১২টি অ্যালবাম।
ঈদের আনন্দ কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয় প্রিয় তারকাদের গান, নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব কনটেন্ট। তাইতো প্রযোজকরাও ঈদের জন্য তুলে রাখেন তাদের এক্সক্লুসিভ কাজগুলো। তেমনি একটি কাজ খ্যাতিমান নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী’ ওয়েব ফিল্মটি।
এবাদের ঈদ-উল-ফিতরে চরকিতে মুক্তি পেতে যাচ্ছে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ছবিটি। চরকি অরিজিনাল এই সিনেমায় চঞ্চল চৌধুরীর সাথে চমক হিসেবে হাজির হবেন বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী জেফার রহমান। ভিন্ন ধারার গান ও ফ্যাশন স্টেটমেন্ট এর জন্য সব সময় নজর কেড়েছেন তিনি। এই সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবারের মত অভিনয়ে আসছেন জেফার। সেই সাথে মনোগামী-তে আছেন সামিনা হোসেন প্রেমা, শুদ্ধ, প্রত্যয়ী প্রথমা রাই সহ আরও অনেকে। এরই মধ্যে সিনেমার পোস্টার, টিজার, গান দর্শক বেশ পছন্দ করছে।
পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বলেন, ‘আমার প্রিয় একটা কাজ হচ্ছে মানুষের মনের ভেতর ছিপ ফেলে দেখা কি কি ধরা পড়ে সেখানে। ছোট-বড়, তুচ্ছ-গুরুত্বপূর্ণ সবই আমাকে নাড়া দেয়। মনোগামীতে অনেক দিন পরে মেল-ফিমেল রিলেশনশিপের কিছু দিক নিয়ে এই রকম ছিপ ফেলার সুযোগ পেয়েছি।’
পরিচালক আরও বলেন, ‘ব্যাচেলর ছবিতে ব্যাচেলর জীবনের কিছু দিক কোনো রকম রাখঢাক ছাড়া দেখাতে পেরেছিলাম। এখানে বিবাহিত এবং প্রবাহিত জীবনের কিছু দিক কোনো সুইট কোটিং ছাড়া দেখানোর সুযোগ পেয়েছি।’
সিনেমার প্রধান চরিত্রের অভিনেতাদের নিয়ে ফারুকী বলেন, ‘চঞ্চল চৌধুরীর সাথে আমার কাজের অভিজ্ঞতা তো বহু পুরনো। এখানেও একই রকম অপ্রতিরোধ্য তিনি। এই ধরণের চরিত্র কম করার ফলে একটা দারুণ ফ্রেশনেস উনি নিয়ে এসেছেন তার অভিনয়ে। জেফারকে আমরা মিউজিশিয়ান হিসাবে চিনি। এখানে তাকে অচেনাই লাগবে। কিন্তু এই চরিত্রে তাকে পাওয়ার ফলে আমার গল্পটা প্রাণবন্ত হয়েছে।’
চরকিতে চঞ্চল চৌধুরীকে দর্শক নানা চরিত্রে নানান লুকে দেখেছে। তবে মনোগামীতে দেখা মিলবে অন্য এক চঞ্চল চৌধুরীর। নিজের চরিত্র ও কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘ফারুকী ভাইয়ের সাথে আমার ২০০৫ থেকে কাজের শুরু, এখন ২০২৩। আমার ক্যরিয়ারের টার্নিংপয়েন্ট ছিল সেই কাজটি। আর এবার মনোগামী সিনেমার গল্পটাই একদম আলাদা। সিনেমায় কিছু মনস্তাত্ত্বিক দিক আছে জা দর্শককে ভাবাবে। আর এখানে আমার চরিত্রের লুক, গেট-আপ একদম ভিন্ন থাকবে এখানে।’
কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে জেফার বলেন, ‘একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আগেও পর্দায় হাজির হয়েছি। কিন্তু মনোগামী সিনেমা কাজের অভিজ্ঞতা একদম ভিন্ন। বিষয়টি আমার জন্য অনেক আনন্দের, একই সাথে চ্যালেঞ্জিং। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সিনেমায় অভিনয় করতে পারা এবং সহ-অভিনেতা হিসেবে চঞ্চল চৌধুরীকে পাওয়া আমার জন্য কিছুটা চাপের ছিল। কিন্তু উনারা এতো উদার ছিলেন ও সহযোগিতা করেছেন কাজটা আমার জন্য ব্যাপক রোমাঞ্চকর হয়েছে।’
চরকির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রেদওয়ান রনি বলেন, ‘দেখতে দেখতে মিনিস্ট্রি অফ লাভ-এর তৃতীয় সিনেমা রিলিজের পথে। প্রথম দুটি সিনেমা দর্শক বেশ পছন্দ করেছে। আশা করছি, দর্শক এবার মনোগামী-এর মধ্যে দিয়ে আগের ফারুকী ভাইয়ের নির্মাণ খুঁজে পাবে।’
ভিন্নধর্মী শপথ গ্রহণের মাধ্যমে গত বছর চরকি ঘোষণা দেয় ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ নামের একটি প্রজেক্ট। যেখানে ১২ জন জনপ্রিয় নির্মাতার ১২টি ভালোবাসার গল্প নিয়ে ১২টি চরকি অরিজিনাল ফিল্ম বানাবেন। এরই মধ্যে এই প্রজেক্টের ২ টি সিনেমা ‘সামথিং লাইক অ্যান অটোবায়োগ্রাফি’ ও ‘কাছের মানুষ দূরে থুইয়া’ মুক্তি পেয়েছে। সিনেমা দুটিই হয়েছে দর্শক নন্দিত ও প্রশংসিত।
গণমাধ্যম সমাজের দর্পণ। আর সেখানেই যদি প্রচলিত পুরুষ শাসনের রীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হয় তাহলে সেটা দুঃখজনক। এমন ঘটনা মাঝেমধ্যে দেখা যায় বটে!
যেমন সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও বলিউড সুপারস্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথাই ধরুন। তিনি নিজের জীবনের দারুণভাবে সফল। তাকে অনুসরন করে এমন মানুষের সংখ্যাও কম নয়। কিন্তু সেই প্রিয়াঙ্কা যখন নিজের দেশ ছেড়ে হলিউডে কাজ করতে গেলেন, তখন পশ্চিমা গণমাধ্যম তাকে পরিচয় করিয়ে দিতেন, তার স্বামী হলিউডের জনপ্রিয় তারকা নিক জোনাসের স্ত্রী হিসেবে।
এই বিষয়টি এক পর্যায়ে আর মানতে না পেরে মুখ খোলেন পিসি। তিনি বিরোধীতা করে বলেন, আমার পরিচয় কি আমার জন্য যথেষ্ট নয়? আপনার আমাকে আমার স্বামীর নামে পরিচয় করানো বন্ধ করুন।
এবার একই ঘটনা ঘটল দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাফিয়াত রশিদ মিথিলার সঙ্গে। মিথিলাও তার জীবনে দারুণ সফল। পড়াশুনায় দারুণ মেধাবী, পিএইচডি করছেন, ব্র্যাকের মতো প্রতিষ্ঠানের হয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন, একইসঙ্গে অভিনয়, মডেলিং ও সংসার সবটাই সামলাচ্ছেন।
তারপরও কলকাতার গণমাধ্যম তাকে স্বামী বিখ্যাত পরিচালক সৃজিত মুখার্জির নামেই পরিচয় করাতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
কলকাতায় মিথিলার নতুন একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘ও অভাগী’ নামের ছবিটি মুক্তি পেয়েছে আজ। সেই ছবির প্রিমিয়ারের পাশাপাশি স্বামী সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘অতি উত্তম’ ছবির প্রিমিয়ারের জন্য কলকাতায় রয়েছেন মিথিলা।
সেখানের এক গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মিথিলা বলেছেন, ‘সৃজিতের সদ্য একটি ছবি মুক্তি পেয়েছে। অতি উত্তম ছবির প্রচারে বা সাক্ষাৎকারে ওকে কেউ আমার বিষয়ে, ওর বিবাহিত জীবনের বিষয়ে প্রশ্ন করেনি। কিন্তু আমায় করে। এই এক জিনিস মায়ার প্রমোশনের সময়ও হয়েছিল। বাংলাদেশেও সবাই সৃজিতকে ভারতের পরিচালক হিসেবে চেনে। আর আমি ওর স্ত্রী। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। আমি আন্তর্জাতিক স্তরে কাজ করি, পিএইচডি করছি, অভিনেত্রীও। সেগুলো যথেষ্ট নয় আমার পরিচয়ের জন্য? আমায় কেন কারও স্ত্রীর পরিচয়ে পরিচিত হতে হবে?’
সৃজিতের সঙ্গে কি ঝামেলা চলছে মিথিলার? এমন প্রশ্নের জবাবে মিথিলা জানান, এসব একেবারেই ভুল কথা। তিনি এবং তার মেয়ে ঢাকায় থাকেন। কারণ সেখানে থেকে তার কাজ করতে সুবিধা হয়। সেখানে তার পরিবার আছে। এখানে এলে অনেক সময় সৃজিত বাইরে থাকে।
ক্যারিয়ারে সবচেয়ে আলোচিত সময় পার করছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। নানা কারণে হচ্ছেন ভাইরাল। তার অনেক কাজকর্ম, কথাবার্তা হাস্যরসের জন্ম দিচ্ছে নিত্যদিন।
এতে অবশ্য তার কিছুই যায় আসে না! বরং তিনি আগের চেয়ে আর্থিক দিক দিকে বেশি লাভবান হচ্ছেন এখন। বিভিন্ন ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান তার এই ইমেজ কাজে লাগাচ্ছেন টাকার বিনিময়ে।
তবে এতোকিছুর পরও বাংলাদেশের প্রথমসারির নায়িকারা এখন আর তার সঙ্গে অভিনয় করতে রাজী নন। আর জায়েদ খানও নতুন কিংবা অজনপ্রিয় কোন নায়িকায় ভরসা পাচ্ছেন না। তাই মান ধরে রাখতে অগত্যা তাকে ছুটতে হচ্ছে কলকাতার দিকে। সায়ন্তিকার পর এবার তার বিপরীতে আরেক কলকাতার নায়িকাকে দেখা যাবে বলে খবর এসেছে।
এবার জায়েদ খানের নায়িকা হচ্ছেন ভারতের হিন্দি ও বাংলা চলচ্চিতের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি।
জানা গেছে, বাংলাদেশের একটি বড় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে একটি ছবি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই ছবিতে জায়েদ খান ও কলকাতার অভিনেত্রী পূজা ব্যানার্জি একত্রে আসতে যাচ্ছেন। জায়েদ খান সিনেমার বিষয়ে বললেও সিনেমার নাম ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের নাম এখনই বলতে চাচ্ছেন না।
তিনি বললেন, ‘আমি যা বলি তা করে দেখাই। অহেতুক আওয়াজ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। ঈদে আমার সিনেমা সোনার চর আসছে। এই ছবিটি বেশ পরিশ্রম করে করেছি। আর আজ নতুন ছবির ঘোষণা দিলাম। আমি চমক দিতে পহন্দ করি। তাই বিস্তারিত পরে জানাবো ‘
এর আগে জায়েদ খান কলকাতার সায়ন্তিকার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন। সেই ছবির কিছুদিন শুটিংয়ের পর প্রযোজক নায়িকার জটিলতা তৈরি হয়। ফলে ছবিটির শুটিং আটকে যায়।
পূজা ব্যানার্জি স্টার প্লাসে সম্প্রচারিত তুঝ সাং প্রীত লাগাই সাজনা শোতে বৃন্দা চরিত্রে অভিনয় করার জন্য সুপরিচিত। এছাড়াও তেলুগু, বাংলা ও হিন্দি চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
এদিকে ঈদে জায়েদ খানের সোনার ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। ছবির প্রচারণায় ইতোমধ্যে যমুনা ফিউচার পার্কে ব্যাপক প্রচারণা চালিয়েছেন এই অভিনেতা।
শ্রীরামের জন্মের দেড়’শ বছর আগে তার জীবনী ‘রামায়ণ’ লিখেছিলেন মহাকবি বাল্মিকী। সেই মহাকাব্যের গল্পের আদলে বলিউডে তৈরি হচ্ছে সিনেমা ‘রামায়ণ’। এই সিনেমা নিয়ে ভক্তদের আকাঙ্ক্ষা আকাশচুম্বী। ভারতীয় গণমাধ্যমের তথ্য মতে বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় তারকা রণবীর কাপুর সিনেমায় রামের চরিত্রে অভিনয় করবেন। তার বিপরীতে মাতা সীতার চরিত্রে থাকবেন দক্ষিণী সুন্দরী এবং অসাধারণ অভিনেত্রী সাঁই পল্লবী।
এছাড়াও সমগ্র ভারত থেকেই বাঘা বাঘা শিল্পীদের নাম রয়েছে সিনেমার তালিকায়। স্যান্ডলউডের তারকা যশ সুপারহিট ফ্রাঞ্চাইজি কেজিএফের পর রামায়ণ সিনেমায় রাবণের চরিত্রে থাকবেন। এছাড়াও, বিজয় সেথুপাতি, রাকুলপ্রিত সিং, সানি দেওল সহ বড় তারকাদের সম্পৃক্ততার তথ্য সামনে এসেছে। যদিও এখনো সকল চরিত্রের জন্য নির্বাচিত অভিনয় শিল্পীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
সনাতন ধর্মের মর্যাদা পুরুষোত্তম রামের জীবনীর পবিত্র ধর্মগ্রন্থ রামায়ণ। মানব জীবনের অনুপ্রেরণা প্রদানকারী এই গ্রন্থের গুরুত্ব বেশ প্রভাবশালী। বিভিন্ন সময় রামায়নের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেক নাটক সিনেমার চরিত্র তৈরি করা হয়। সরাসরি রামায়ণের গল্পতেও বহু আগে থেকে বিভিন্ন প্রজেক্ট এসেছে।
সর্বশেষ উদাহরণ হিসেবেই আসে ‘আদিপুরুষ’ সিনেমার নাম। যদিও এই সিনেমা অতিরিক্ত মাত্রায় সমালোচনার শিকার হয়। কোনো দর্শকেরই এই সিনেমা পছন্দ হয়নি প্রভাস এবং কৃতি স্যানন অভিনীত সিনেমাটি। মূল রামায়ণের গল্পকে একেবারেই ভিন্ন আঙ্গিকে তুলে ধরেছিলেন ওম রাউত। হিন্দুদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছিল সেই সিনেমা।
সেই আঘাতে মলমের কাজ করবে নীতেশ তিওয়ারির পরিচালিত ‘রামায়ণ’-এমনটাই আশা করছেন সকলে। যদিও শ্যুটিং শুরু হওয়ার আগেই সিনেমার প্রযোজকের দলছুট হওয়ার তথ্য সামনে আসে। তবে এই গোড়ায় গলদ বিশেষ প্রভাবশালী হবে বলে মনে হয় না। নেটিজেনরা সিনেমার ভবিষৎ নিয়ে চিন্তিত হলেও সিনেমা তৈরি হওয়ার আশ্বাসি দিয়েছেন পরিচালক। যদিও সিনেমার শ্যুটিং শুরু হওয়ার তারিখ মার্চের শেষ থেকে পিছিয়ে এপ্রিলে ঠেকেছে।