একের পর এক ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ায় অনেকটাই ভেঙে পড়েছেন শাহরুখ খান। এই মুহূর্তে তার হাতে কোনো কাজও নেই। এমনকি যতোদিন পর্যন্ত না ভালো চিত্রনাট্য না পাবেন ততোদিন ছবিতে অভিনয় করবেন না বলে এক সাক্ষাৎকাের জানিয়ে দিয়েছেন বলিউডের এই অভিনেতা।
এবার শোনা গেলো- তামিলের একটি ছবিতে নাকি খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন শাহরুখ। আটলে কুমার পরিচালিত ‘বিগলি’ ছবিতে ক্যামিও চরিত্রে অভিনয় করবেন বলিউড বাদশা।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে- ছবিটিতে মাত্র ১৫ মিনিট দেখা যাবে তাকে। তার এই উপস্থিতিই নাকি হতে যাচ্ছে ছবিটির টার্নিং পয়েন্ট। শিগগিরই তামিল অভিনেতা বিজয়ের সঙ্গে দৃশ্যটির শুটিং শুরু করবেন তিনি।
‘বিগিল’-এ দ্বৈত চরিত্রে অভিনয় করবেন বিজয়। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে নয়নতারাকে।
আগামী ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে যাচ্ছে বানভাসি মানুষের গল্পে নির্মিত জনপ্রিয় লাক্স তারকা মৌসৈুমী হামিদ অভিনীত সিনেমা ‘নয়া মানুষ’। সিনেমাটির মুক্তি সামনে রেখে গতকাল (২৭ নভেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। এ সময় সিনেমার পরিচালক সোহেল রানা বয়াতি, প্রধাণ চরিত্রের অভিনয়শিল্পী মৌসুমী হামিদ, রওনক হাসান, আশীষ খন্দকারসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
চরের মেহনতী মানুষের জীবন ও প্রকৃতির খেয়ালিপনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আ. মা. ম. হাসানুজ্জামানের ‘বেদনার বালু চরে’ গল্প অবলম্বনে মাসুম রেজার চিত্রনাট্যে প্রথমবারের মতো সিনেমা নির্মাণ করেছেন তরুণ নির্মাতা সোহেল।
সিনেমাটি নিয়ে অনেক আশাবাদী জানিয়ে নির্মাতা বলেন, ‘নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আমার প্রথম সিনেমাটি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে। প্রথম সিনেমা নিয়ে অনেক স্বপ্ন থাকলেও প্রতিটি মুহূর্তে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। মাত্র ৩৭ হাজার টাকা নিয়ে এই সিনেমার শুটিংয়ের জন্য আউটডোর রওনা দেই। একটা সময় টাকার অভাবে এর নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। শেষ মুহূর্তে যখন সিনেমাটি নিয়ে হতাশ ছিলাম তখন জি-সিরিজের খালেদ ভাই হাল ধরেন। সবার সহযোগিতায় সিনেমাটি নির্মাণ করেছি। এই সিনেমা মানুষের মনে দাগ কাটবে। নয়া মানুষ হওয়ার জন্য অনেকেই চাইবে।’
প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত নয়া মানুষ মুক্তি পাচ্ছে। শুরুতে যখন সিনেমার নামটি শুনি তখন আমাকে আকর্ষণ করে। পুরো টিম আবেগ নিয়ে কাজ করেছেন।’
অভিনেতা রওনক হাসান বলেন, ‘এই কাজটা অসম্ভব কষ্ট করে করা। আমাদের সব কথা নয়া মানুষের মাধ্যমে বলা হয়েছে। যার জন্য সিনেমাটি দেখতে হবে। মানুষের চোখকেও সিনেমাটা আরাম দেবে।’
সহশিল্পী মৌসুমী হামিদের প্রশংসা করে এই অভিনেতা বলেন, ‘মৌসুমী চরের মানুষের সঙ্গে একেবারে মিশে গেছে। এতটা মিশে গিয়েছিল যে, কখনো ওকে (মৌসুমী) আলাদা মনে হয়নি। সিনেমাটির জন্য আমরা বিশাল যুদ্ধ করেছি। সবাই হলে এসে সিনেমাটি দেখবেন। বাংলা, মাটি ও মানুষের গল্প নয়া মানুষ।’
অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদ বলেন, ‘এই সিনেমাটি আমাকে শক্তি জোগায়। নয়া মানুষের জার্নি আমার জীবনে কাজে লেগেছে। নানা ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে। সিনেমাটি যখন বন্ধ হয়ে যায় তখন নাজমুল হক ভূঁইয়া (খালেদ) হাল ধরেছেন। তিনি না হলে সিনেমাটি শেষ হতো না। আমরা নয়া মানুষ নিয়ে অনেক বেশি আশাবাদী।’
অনেকটা মজার ছলে আশীষ খন্দকার বলেন, ‘ল্যাটিন আমেরিকার মতো এই সিনেমাটি না খাওয়া মানুষের গল্প। জিরো থেকে সিনেমাটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে মুক্তির মিছিলে। সবমিলিয়ে দারুণ একটি সিনেমা হয়েছে। আশা করি, নয়া মানুষ একটি স্বার্থকপূর্ণ জায়গায় যাবে।’
এর আগে গত ২১ নভেম্বর সিনেমাটির অফিসিয়াল পোস্টার প্রকাশ করে নির্মাতা জানান আগামী ৬ ডিসেম্বর দেশজুড়ে ‘নয়া মানুষ’ মুক্তি পাবে। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, স্মরণ সাহা, শিখা কর্মকার, মাহিন রহমান, মেহারান সানজানা, পারভীন পারু, মেরি ও শিশুশিল্পী ঊষশী প্রমুখ। দেশের অডিও-ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জি-সিরিজ’র ব্যানারে নান্দনিক ফিল্মসের প্রযোজনায় নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। সিনেমার প্রযোজক নাজমুল হক ভূঁইয়া।
২০২২ সালের অক্টোবরে চলচ্চিত্রটির চিত্রধারণ শুরু হয়। কিন্তু সুপার সাইক্লোন সিত্রাংয়ের তাণ্ডবে শুটিং সেট চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০২৩ সালের ৬ই এপ্রিল থেকে আবার নতুন করে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির কাজ, শেষ হয় ১২ই এপ্রিল। পোস্ট প্রোডাকশন শেষ করে গত ১৮ সেপ্টেম্বর সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা হয় এবং ২ অক্টোবর সদস্যরা সিনেমাটি দেখে ২৩ অক্টোবর আনকাট সনদ নথিভুক্ত করেন।
নাট্য সংগঠন বটতলা এবং যাত্রিক-এর নন্দিত যৌথ প্রযোজনা ‘মার্ক্স ইন সোহো’ আবার মঞ্চে আসছে টানা পাঁচটি শো নিয়ে।
প্রখ্যাত আমেরিকান ইতিহাসবিদ ও তাত্ত্বিক হাওয়ার্ড জিন রচিত, জাভেদ হুসেন অনুদিত এবং নায়লা আজাদ নির্দেশিত এই নাটকটি প্রথম মঞ্চে আসে ২০২১ সালের অক্টোবরে।
মৃত্যুর প্রায় ১০০ বছর পরে কার্ল মার্ক্স কি সত্যি সোহোতে বা পৃথিবীতে ফিরেছেন? ফেরার প্রয়োজনীয়তাও কি আছে? এই যে পৃথিবীতে বাস করছি আমরা যেখানে নানা বৈষম্য বিদ্যমান, শ্রমিক তার ন্যায্য মজুরী থেকে বঞ্চিত, তার জীবন যেখানে মূল্যহীন, যেখানে মানুষের মধ্যে অসহিষ্ণুতা এবং ভেতরে ভেতরে চিৎকার- রাষ্ট্রযন্ত্র দ্বারা হঠাৎ হঠাৎ বাইরে বেরিয়ে আসা দু-একটি চিৎকারেরও টুটি চেপে ধরা- এমন অস্থির সময়ে মানুষের মুক্তি কোথায়? গোটা বিশ্ব যেখানে পুঁজিবাদের দাস, সেখানে কার্ল মার্ক্স কি ফিরছেন এসব থেকে উত্তরণের পথ দেখাতে নাকি তাঁর নামে চালু বদনামগুলো পরিস্কার করতে? এসবই জানা যাবে নাটকের নানা স্তরে, বোঝা যাবে শুধু একজন দার্শনিক নন, এক ব্যক্তি কার্ল মার্ক্সকেও।
দুনিয়ার অন্যতম জরুরি দার্শনিক কার্ল মার্ক্স, যিনি উনবিংশ শতাব্দী থেকে আজও মানুষের সমাজের ইতিহাস ও রাজনীতিকে নানাভাবে প্রভাবিত করে চলেছেন তাকে নিয়ে নাটক মার্ক্স ইন সোহো বা সোহোতে মার্ক্স! হাওয়ার্ড জিন তাঁর সোহোতে মার্ক্স নাটকে দুনিয়া কাঁপানো চিন্তক মানুষটির দৈনন্দিন প্রেম বা খেদের ভেতর দিয়ে সত্যিকারের একজন মানবিক স্বাপ্নিক দ্রষ্টার ছবি এঁকেছেন। এর পেছনে জিনের মূল উদ্দেশ্য কিন্তু মার্ক্স নন, বরং মার্ক্সের চিন্তা বা বিশ্লেষণ। দেড়শো বছর পেরিয়ে এসেও কী অসামান্য প্রাসঙ্গিক এবং জরুরি সেসব চিন্তা সেটা দেখানোই জিনের উদ্দেশ্য। নাটকটি নির্মাণ প্রক্রিয়ায় বটতলার সাথে যুক্ত হয় যাত্রিক। বাংলা ভাষায় নাটকটি মঞ্চায়নের জন্য Howard Zinn Revocable Trust বটতলা এবং যাত্রিক-কে আনুষ্ঠানিভাবে অনুমতি প্রদান করেছে। বটতলা এবং যাত্রিক -এর এই যৌথতা জিনের দেখা মানবিক মার্ক্সকে এবং তাঁর অসামান্য বিস্ফোরক বিপ্লবী চিন্তাকে আরও বেশি দর্শকের কাছে নিয়ে যাবে এটুকুই প্রত্যাশা।
এই পাঁচটি প্রদর্শনীর টিকেট পাওয়া যাচ্ছে https://bottala.com/ticket/ এ। পরিচয়পত্র প্রদর্শন সাপেক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য নির্দিষ্ট শ্রেণীর টিকেটে থাকছে ৫০% ছাড়!
তারিখ ও সময়-
২৮ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় ১টি প্রদর্শনী।
২৯ ও ৩০ নভেম্বর বিকাল ৪টা ৩০টা ও সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে পরপর দুটি করে প্রদর্শনী।
স্থান- নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তন, বাংলাদেশ মহিলা সমিতি, নাটক সরণি (বেইলি রোড), ঢাকা।
গেল কয়েক মাস ধরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বলিপাড়া। নিত্যদিনই কোন না কোন ঘটনা সামনে আসছে। যদিও এত গুঞ্জন রটলেও অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে পারদ দিল এক ভিডিও। যা দেখে কেউ কেউ বলছে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স টা হয়েই যাচ্ছে!
সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাইতে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। যেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দুবাই উইমেন ইস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পিছনে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে শুধুমাত্র ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটি।
বরাবরই অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটাকে না দেখে, আবার উঠছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ।
এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রোল করেছিল, তারা আজ কোণায় বসে কাঁদছে’। অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা ঐশ্বরিয়া নিজেই।’
এক নেটিজেনের লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘আমি এখনও ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়েরও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে’!
উক্ত অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একটি সিলভার কাজ করা নীল গাউনে দেখা গেছে। তার গ্ল্যমারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল স্মোকি আই। খোলা চুলে সফট কার্লে মোহনীয় লাগছিল এই অভিনেত্রীকে।
এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘোষণা দেন। খবরটি ভক্তদের মধ্যে একটি বিশাল ধাক্কা দিয়েছে।
রহমান নিজেও বেশ ব্যথিত হৃদয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমরা দাম্পত্য জীবনের ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু সবকিছুই মনে হয় আপনার প্রত্যাশার মতো হয় না। তবুও এই বিচ্ছেদে যেতে হলো। আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আপনাদের সমর্থন এবং আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার অনুরোধ করছি।’
ডিভোর্সের ঘোষণার পর রহমান প্রথমবার জনসম্মুখে উপস্থিতি হয়েছেন গতকাল গোয়ায় ৫৫ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি ‘লতা মঙ্গেশকর মেমোরিয়াল টক: মিউজিক্যাল থিয়েটার ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ক একটি অধিবেশনের জন্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানেও তাকে বেশ বিচলতি দেখাচ্ছিল। এমনকি তিনি পাপারাজ্জি এবং সাংবাদিকদের থেকে কোন রকমে গা বাঁচিয়ে দ্রুত তার গাড়িতে উঠতে চাচ্ছিলেন। সে সময় কিছু ভক্তরা ছবি তোলার জন্য তাকে ঘিরে ধরে।
রহমান এবং সায়রার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের বহু বছর পর, মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী জনাব এ আর রহমান একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা, দম্পতি তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরেও, এই দম্পতি খুঁজে পেয়েছেন যে তাদের মধ্যে অনেককিছুতেই ব্যবধান তৈরি হয়েছে। মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী মিসেস এ আর রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে জনসাধারণ যেন তাদের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি না করে সেটাই প্রত্যাশা করেন।’