গত ঈদে মুক্তি পেয়েছে ক্যাটরিনা কাইফ অভিনীত ‘ভারত’। ছবিটিতে ক্যাটের সহশিল্পী হিসেবে ছিলেন সুপারস্টার সালমান খান। এরইমধ্যে ছবিটি আয় করে নিয়েছে প্রায় তিনশ কোটি রুপি।
‘ভারত’-এর সফলতার পর ক্যাটরিনা কাইফের দাম এতোটাই বেড়েছে যে, এরইমধ্যে ছয়টি বিজ্ঞাপনের প্রস্তাব এসেছে বলিউডের এই অভিনেত্রীর কাছে। যার মধ্যে রয়েছে- সৌন্দর্য, রূপচর্চা, গাড়ি, ট্যুরিজম এবং রিয়েল এস্টেটের বিজ্ঞাপন।
বিজ্ঞাপন
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমগুলোর প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘ভারত’-এর সফলতা পাওয়ার পর ক্যাটরিনার দাম এতোটাই বেড়ে গেছে যে, আগে একটি বিজ্ঞাপনের জন্য বলিউডের এই অভিনেত্রী যা পারিশ্রমিক পেতেন এখন তার থেকে ৪০ শতাংশ বেশি দিয়ে তাকে কাজ করাতে চাইছেন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্র্যান্ড।
ক্যাটরিনা এখন ব্যস্ত রয়েছেন রোহিত শেঠি পরিচালিত এবং করণ জোহর প্রযোজিত ‘সূর্যবংশী’ ছবির শুটিং নিয়ে। এতে তার সহশিল্পী হিসেবে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারকে। ২০২০ সালের ২৭ মার্চ মুক্তি পাবে ছবিটি।
গেল কয়েক মাস ধরে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার দাম্পত্য কলহের গুঞ্জন নিয়ে সরগরম বলিপাড়া। নিত্যদিনই কোন না কোন ঘটনা সামনে আসছে। যদিও এত গুঞ্জন রটলেও অভিষেক বা ঐশ্বরিয়া একবারও মুখ খোলেননি। তবে এবার সেই গুঞ্জনে পারদ দিল এক ভিডিও। যা দেখে কেউ কেউ বলছে অভিষেক ও ঐশ্বরিয়ার ডিভোর্স টা হয়েই যাচ্ছে!
সম্প্রতি গ্লোবাল উইমেনস ফোরামের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুবাইতে গিয়েছিলেন ঐশ্বরিয়া রাই। যেই অনুষ্ঠানের একাধিক ঝলক ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। দুবাই উইমেন ইস্টাবলিশমেন্টের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম পেজ থেকে অভিনেত্রীর দর্শকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যের একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠানের সময় অভিনেত্রীর পিছনে স্ক্রিনে ফুটে ওঠে শুধুমাত্র ‘ঐশ্বরিয়া রাই’ নামটি।
বরাবরই অফিসিয়ালি তিনি বিয়ের পর থেকেই বচ্চন উপাধি ব্যবহার করে থাকেন। তবে হঠাৎ সেটাকে না দেখে, আবার উঠছে অভিষেকের সঙ্গে ডিভোর্সের প্রসঙ্গ।
এক ভক্ত মন্তব্য করেন, ‘গর্জিয়াস। যারা কিছুদিন আগে ঐশ্বরিয়াকে তার লুক নিয়ে ট্রোল করেছিল, তারা আজ কোণায় বসে কাঁদছে’। অন্যজন লেখেন, ‘সুন্দরী, স্মার্ট, ঐশ্বরিয়ার তুলনা ঐশ্বরিয়া নিজেই।’
এক নেটিজেনের লেখেন, ‘কেউ কি দেখেছে, নামের থেকে বচ্চন মিসিং।’ আরেক ভক্তের মন্তব্য, ‘আমি এখনও ভাবতে পারি না, ওর মতো মেয়েরও বিয়েতে সমস্যা হতে পারে’!
উক্ত অনুষ্ঠানে ঐশ্বরিয়া একটি সিলভার কাজ করা নীল গাউনে দেখা গেছে। তার গ্ল্যমারের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল স্মোকি আই। খোলা চুলে সফট কার্লে মোহনীয় লাগছিল এই অভিনেত্রীকে।
এ আর রহমান এবং তার স্ত্রী সায়রা বানু তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে ২৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের বিচ্ছেদ ঘোষণা দেন। খবরটি ভক্তদের মধ্যে একটি বিশাল ধাক্কা দিয়েছে।
রহমান নিজেও বেশ ব্যথিত হৃদয়ে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘আমরা দাম্পত্য জীবনের ত্রিশে পৌঁছানোর আশা করেছিলাম, কিন্তু সবকিছুই মনে হয় আপনার প্রত্যাশার মতো হয় না। তবুও এই বিচ্ছেদে যেতে হলো। আমরা এই ভঙ্গুর অধ্যায়ের মধ্য দিয়ে চলার সময় আপনাদের সমর্থন এবং আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করার অনুরোধ করছি।’
ডিভোর্সের ঘোষণার পর রহমান প্রথমবার জনসম্মুখে উপস্থিতি হয়েছেন গতকাল গোয়ায় ৫৫ তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে। তিনি ‘লতা মঙ্গেশকর মেমোরিয়াল টক: মিউজিক্যাল থিয়েটার ইন ইন্ডিয়া’ বিষয়ক একটি অধিবেশনের জন্য উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন। এই অনুষ্ঠানেও তাকে বেশ বিচলতি দেখাচ্ছিল। এমনকি তিনি পাপারাজ্জি এবং সাংবাদিকদের থেকে কোন রকমে গা বাঁচিয়ে দ্রুত তার গাড়িতে উঠতে চাচ্ছিলেন। সে সময় কিছু ভক্তরা ছবি তোলার জন্য তাকে ঘিরে ধরে।
রহমান এবং সায়রার যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বিয়ের বহু বছর পর, মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী জনাব এ আর রহমান একে অপরের থেকে আলাদা হওয়ার কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরে এই সিদ্ধান্ত এসেছে। একে অপরের প্রতি গভীর ভালবাসা, দম্পতি তাদের সম্পর্কের মধ্যে উল্লেখযোগ্য মানসিক চাপের পরেও, এই দম্পতি খুঁজে পেয়েছেন যে তাদের মধ্যে অনেককিছুতেই ব্যবধান তৈরি হয়েছে। মিসেস সায়রা এবং তার স্বামী মিসেস এ আর রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে তাদের এই চ্যালেঞ্জিং সময়ে জনসাধারণ যেন তাদের নেতিবাচক ইমেজ তৈরি না করে সেটাই প্রত্যাশা করেন।’
শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদটা হয়েই গেল দক্ষিণি সিনেমার নন্দিত অভিনেতা ধানুশ ও তার স্ত্রী রজনীকান্ত কন্যা ঐশ্বরিয়ার। আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত আগেই নিয়ে ফেলেছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। ২৭ নভেম্বর ডিভোর্সের সার্টিফিকেট হাতে পেলেন তারা।
২০২২ সালে ধানুশ টুইটারের মাধ্যেমে প্রথম জানান, ‘১৮ বছর ধরে আমাদের একসঙ্গে পথচলা। এ সময় বন্ধু হিসেবে, মা-বাবা হিসেবে, এ ছাড়া আমরা সব সময় একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে পাশে থেকেছি। আমাদের এই সময়ের বোঝাপড়ার ভ্রমণটা দারুণ ছিল। আজ থেকে আমরা এমন এক পথে যাচ্ছি, যেটা আমরা নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা বিচ্ছেদে যাচ্ছি। আমরা বোঝাপড়ার জন্যও সময় নিয়েছি। দয়া করে আমাদের এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাবেন।’
পরবর্তী সময়ে ঐশ্বরিয়াও একই রকম বার্তা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেন। তিনি সে সময় লেখেন, ‘কোনো ক্যাপশনের প্রয়োজন নেই। একমাত্র আপনাদের বোঝাপড়া ও ভালোবাসার প্রয়োজন অনুভব করছি।’
পূর্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত সপ্তাহে চেন্নাইয়ের পারাপারিক আদালতে হাজিরাও দেন দুজন। আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করার পরও শোনা গিয়েছিল, নিজেদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করছে দুই পরিবার। কারণ, এ বিচ্ছেদ নিয়ে একেবারেই খুশি নন কিংবদন্তি অভিনেতা রজনীকান্ত। মেয়ে-জামাইকে মুখোমুখি বসিয়ে বোঝানোর চেষ্টাও করেছেন তিনি। তিনবার ডিভোর্স মামলার শুনানি এড়িয়েছিলেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া; সে সূত্রে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল, হয়তো শেষ পর্যন্ত বিয়েটা টিকে যাবে।
কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হয়ে নিজেদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দেন তারা। সেই মতোই আজ ডিভোর্স ফয়সালা হাতে পেলেন দুজন। ২০০৪ সালে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন তারা। তখন ঐশ্বরিয়ার বয়স ছিলো ২৪ আর ধানুসের মাত্র ২১। তাদের দুই ছেলে (ইয়াত্রা ও লিঙ্গা) জন্ম নেয় ২০০৬ ও ২০১০ সালে।
জানা গেছে, ধানুশের মোট সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ২৩০ কোটি টাকা। পিছিয়ে নেই রজনীকান্তর পরিচালক কন্যাও। ঐশ্বরিয়ারও সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ১৪৫ কোটি টাকা। সঙ্গে বাবার সুবিশাল সম্পত্তির উত্তরাধিকারী তিনি।
পারস্পরিক সম্মতিতে এ ডিভোর্স হয়েছে, খোরপোশের কোনো তথ্যই এখনো সামনে আসেনি। বিচ্ছেদের ঘোষণার পর পেশাগত জায়গায় মনোনিবেশ করেছেন ধানুশ ও ঐশ্বরিয়া। পরিচালক হিসেবে ‘লাল সালাম’ সিনেমা দিয়ে কাজে ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া। ধানুশকে দেখা গিয়েছিল প্রাইম ভিডিওর ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ সিনেমায়। তাঁকে শিগগিরই দেখা যাবে একটি বায়োপিকে।
‘শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে আমার অভিনয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এই বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করেছে। এই দেশের নাট্য আন্দোলনে আমার বড় ভূমিকা রয়েছে। নাট্যচর্চার বিকাশে আমার অবদান রয়েছে।’ এভাবেই নিজের আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন একুশে পদকজয়ী নাট্যজন মামুনুর রশীদ।
তিনি বলেন, ‘আমাকে বিপ্লববিরোধী আখ্যা দিয়ে শিল্পকলা একাডেমি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ এই স্লোগান দেয়া উচিত হয়নি বলে বিবৃতি দিয়েছিলাম। এই বিবৃতি কোনো বিপ্লববিরোধী বিবৃতি ছিল না।’
মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে নিজেও গণঅভ্যুত্থানে অংশ নিয়েছি। যখন ছাত্রদের ওপর পুলিশ গুলি চালিয়েছে তখন রাজপথে অবস্থান নিয়েছি। ছাত্র হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে মিছিল করেছি। তাহলে আমার অপরাধ কোথায়? অথচ সেই বিবৃতির ইস্যুকে কেন্দ্র করে আমাকে শিল্পকলা একাডেমির মঞ্চে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত আরোপ করা হয়। আমি নাকি মঞ্চে অভিনয় করলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অথচ কয়েকদিন আগে নাট্যদল আরণ্যকের ‘ময়ূর সিংহাসন’ নাটক নিয়ে আমি মঞ্চে উঠেছি। কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে নাটকের মঞ্চায়ন হয়েছে। বরং দর্শকরা পুরো নাটকটি মনোযোগ দিয়ে দেখেছেন এবং উপভোগ করেছেন।’
তার ভাষ্য, ‘মূলত শিল্পকলা একাডেমির কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর কথা শুনে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ জামিল আহমেদ এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি ওই সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। তারা যেটা বলছেন সেটাই শুনছেন এবং তাদের কথামতোই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন।’
প্রসঙ্গত, শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ঢাকার বাইরে কয়েকটি জেলায় রাজধানীর বিভিন্ন নাট্যদলের প্রদর্শনীর আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সেসব প্রদর্শনীতে মামুনুর রশীদ প্রতিষ্ঠিত আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’ নাটকটির প্রদর্শনীর জন্য নির্বাচিত হয়। তবে মামুনুর রশীদ রচিত ও নির্দেশিত ওই নাটকে মামুনুর রশীদকে অভিনয় থেকে বিরত থাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরবর্তীতে আরণ্যকের পক্ষ থেকে এই প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করা হয়।
এ বিষয়ে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক সৈয়দ জামিল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘একাডেমির পক্ষ থেকে মামুনুর রশীদকে শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয়ের বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়নি। আমরা তাকে কিছুদিন শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের অবস্থান কোনো নাট্যদলের বিপক্ষে নয়। যেসব ব্যক্তি বিপ্লবের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, বিপ্লবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিদের আপাতত শিল্পকলার মঞ্চে পারফর্ম করতে দেওয়া হবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘মামুনুর রশীদ বিপ্লবের সময় একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন সে কারণে তার বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরণ্যক যখন একাডেমি কর্তৃক ঢাকার বাইরে মামুনুর রশীদকে ছাড়া প্রদর্শনীর প্রস্তাবটি প্রত্যাখান করে তখন আমি নিজেই মামুনুর রশীদকে ফোন করি। মঙ্গলবার রাতে আমি মামুনুর রশীদকে ফোন করে বলি, আপনি আপাতত কিছুদিন শিল্পকলার মঞ্চে অভিনয় থেকে বিরত থাকুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি মঞ্চের পেছনে থাকুন। পরিস্থিতি শান্ত হলে আপনি আবার মঞ্চে উঠবেন। মামুনুর রশীদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই এ কথা বলেছি। কারণ, এদেশের নাট্য আন্দোলনে তার অনেক ভূমিকা রয়েছে।’