আইয়ুব বাচ্চু কি এখনো কষ্ট পেতে ভালোবাসেন?

  • বিনোদন ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আইয়ুব বাচ্চু

আইয়ুব বাচ্চু

এক বছর আগে অক্টোবর মাসের ১৮ তারিখ। এক ক্ষুদে বার্তায় ঘুম ভাঙল, যেখানে লেখা ছিল, ‘বাচ্চু ভাই মারা গেছেন।’ প্রথমে বিশ্বাস হয়নি কিন্তু ফেসবুকে যেতেই চোখে পড়ল দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি দৈনিক তাদের অনলাইন ভার্সনে ব্রেকিং নিউজ আকারে খবর প্রকাশ করেছে, ‘না ফেরার দেশে আইয়ুব বাচ্চু।’ এই প্রথম কোন ব্রেকিং নিউজে বুকে ব্যথা জমলো, চোখ থেকে দুই ফোটা অশ্রু গড়ালো।

তারপর স্কয়ার হাসপাতাল, সবশেষ চট্টগ্রাম। সব নিউজই বিদায়ের। সময়ের হিসেবে এখনো এক বছর হয়নি। তবুও কিংবদন্তি আইয়ুব বাচ্চু চলে যাওয়ার পর তার প্রথম জন্মদিন চলে এসেছে। গিটারের জাদুকরের ৫৭তম জন্মদিন আজ। বেঁচে থাকলে আগের সপ্তাহ থেকে ইন্টারভিউ নেওয়ার জন্য এবি কিচেনে সাংবাদিকের আনাগোনা বেড়ে যেত। আর আইয়ুব বাচ্চু বলতেন, ‘জন্মদিনের জন্য এসব ইন্টারভিউ নিয়ে কি হবে, চল আড্ডা দেই।’

বিজ্ঞাপন

কিন্তু এবারের জন্মদিনে আর আড্ডা দেওয়ার জন্য ডাকবেন না আইয়ুব বাচ্চু। নিঃসঙ্গ থাকবে আইয়ুব বাচ্চু ছাড়া মগবাজারের এবি কিচেন।

আইয়ুব বাচ্চু ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৩ সালে মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। উঠেছিলেন এলিফ্যান্ট রোডের এক হোটেলে। তারপর হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় সংগীতের ধারায় অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী এবং বিশ্বের অন্য সেরা গিটারবাদক।

বিজ্ঞাপন

হাসতে দেখা, গাইতে দেখা আইয়ুব বাচ্চুর জীবনে ছিল এক বুক ভরা বেদনা। তাঁর কাছের মানুষদের কাছে তিনি ছিলেন একজন অভিমানী মানুষ, অভিমান পুষে রাখতেন। নিজের গানেও বলেছেন সেসব কথা। বলেছিলেন, আমাকে কাঁদাবে আর বেশি কাঁদালে উড়াল দেব আকাশে।

 

অভিমান পুষে রাখতে রাখতে হঠাৎ একদিন সকালে রুপালী গিটার ফেলে উড়াল দেওয়া আইয়ুব বাচ্চু কি আজকের জন্মদিনে সেইভাবেই কষ্ট পেতে ভালোবাসেন?

 

সেই প্রশ্নের উত্তর না জানা গেলেও আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা তাঁকে হারিয়ে কষ্ট পাচ্ছে, মিস করছে তাঁর রুপালী গিটার, তাঁর গানের মত তাঁকে ১২ মাস ভালোবেসে স্মরণে রাখছে।