অন্যরকম এক ‘চাঁদের হাট’
চাঁদ নিয়ে আমাদের আবেগ, আদিখ্যেতা বরাবরই বেশি।
আকাশজোড়া বিশাল বড় ফকাফকা চাঁদ দেখলে ভীষণ বাস্তববাদী মানুষটারও ঘর পালাতে ইচ্ছা করে। দুরন্ত ছেলেটার চাঁদটাকে ছুঁয়ে দিতে ইচ্ছা করে। কেউ হয়তো আনমনে আবৃতি করে সুকান্তের কবিতা, ‘পূর্ণিমা চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি...’
যে যেভাবেই ব্যাখ্যা করুক না কেন, ভরা পূর্ণিমা রাতের সৌন্দর্যের সামনে সবকিছুই বড় ম্রিয়মান। নাগরিক ও যান্ত্রিক জীবনে চাঁদের আলো যেন এক টুকরো অপার্থিব ভালোলাগার নাম। এই ভালোলাগাকে ও জোছনার সৌন্দর্যগুলোকে মুহূর্তবন্দী করতে ক্যামেরা হাতে দুই বছরের বেশি সময়ে দৃষ্টিনন্দন চাঁদের ছবি তুলেছেন বাংলাদেশের আলোকচিত্রী তারেক মাহমুদ।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পড়ালেখা শেষে চাকরিতে ঢুকে যাওয়া। কিন্তু চিত্ত যার চঞ্চল, মন যার বাঁধনহারা, সৌন্দর্যের পেছনে ছুটে চলাতে যার আনন্দ, নয়টা-পাঁচটা চাকরিতে তার মন বসবে কীভাবে!
তাই পড়ালেখার পাট চুকিয়ে চাকরিতে থিতু না হতে পেরে নিজের প্যাশন ও ভালোলাগা নিয়ে কাজ ও ক্যারিয়ার গড়ার দিকে মনোনিবেশ করেন তারেক। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই ছবি তোলা হলেও ফটোগ্রাফি করছেন বছর দুয়েক ধরে। বর্তমানে তার তৈরি করেছেন নিজের ফার্ম। যেখানে ফটোগ্রাফি, মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং ও আইটি সার্ভিস প্রদান করা হয়।
চাঁদের ছবিগুলো দেখার সময় ছবিগুলো তোলার পেছনের গল্পটা জানতে চেয়েছিলাম। উত্তরে তারেক জানালেন, ‘কিছু কিছু ছবি নিজেই গল্প। আমার এমনটা মনে হয়। চাঁদনী রাতের চাঁদ আমার অনেক ভালোলাগে৷ এই ছবিগুলো অনেক দিন ধরেই তোলা। সেগুলো শেয়ার করা’।
ভালোবেসে চাঁদের ছবির এই সিরিজের নাম দিয়েছেন ‘চাঁদের হাট’। জানালেন যতদিন বেঁচে থাকবেন এই সিরিজটা চালু রাখতে চান। চাঁদের সিরিজের পাশাপাশি চায়ের কাপের ছবি ও পায়ের ছবি নিয়েও দুইটি ভিন্ন সিরিজ রয়েছে তারেকের।
দেখে নিন তারেক মাহমুদের চাঁদের হাটের আরও কয়েকটি দারুণ চাঁদের ছবি।
আরও পড়ুন: পাখির চোখে ভিন্নমাত্রায় দৃষ্টিনন্দন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন: চোখ ধাঁধানো ছবিতে 'সুপার ব্লাড ওলফ মুন'