ওজন কমাতে গ্রিন টি: সত্যিই কি কার্যকর?
গ্রিন টি পানের উপকারিতা অজানা কোন বিষয় নয়।
প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি পানীয়ের মধ্যে গ্রিন টি সবচেয়ে জনপ্রিয় ও স্বাস্থ্যসম্মত। স্বাস্থ্য ও ওজন নিয়ে সতর্ক প্রতিটি ব্যক্তির খাদ্য তালিকায় গ্রিন টি পাওয়া যাবে। প্রতিদিন সকালে এক কাপ গ্রিন টি পানের ফলে নানান ধরণের শারীরিক অসুস্থতাকে দূরে রাখা সম্ভব। তার চাইতেও বড় কথা হলো, সকালে সর্বপ্রথম গ্রিন টি পান ওজন কমাতে কার্যকরি। প্রতিদিন দুই কাপ গ্রিন টি পান ওজন কমানোর জন্য সবচেয়ে উপকারী।
আরো পড়ুন: কেন প্রতিদিন সকালে গরম লেবু পানি পান করবেন?
বাড়তি ওজন কমানো ও সঠিক ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সবার মাঝেই কমবেশি চেষ্টা থাকে। সঠিক খাদ্যাভাস, শরীরচর্চার পরেও কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া সম্ভব হয় না অনেক সময়। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি পান বুস্টার হিসেবে কাজ করে।
গ্রিন টি কীভাব ওজন কমাতে সাহায্য করে?
১. গ্রিন টি পানের ফলে ফ্যাট কোষ সমূহের মোবিলিটি বৃদ্ধি পায়। এই ফ্যাট বার্ন হয়ে এনার্জিতে পরিণত হয়। নয়তো ফ্যাট জমে ফ্যাট কোষ সমূহে থেকে যায়। গ্রিন টি তে EGCG নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। যা নরপাইনফ্রাইন (Norepinephrine) হরমোন বৃদ্ধি করে। এই হরমোন ফ্যাট কোষ থেকে ফ্যাটকে ভেঙ্গে ফেলতে সাহায্য করে।
২. শরীরের মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধিতে দারুণ অবদান রাখে গ্রিন টি। মেটাবলিজমের মাত্রা যত বেশি হবে ওজন তত দ্রুত কমবে। কম মেটাবলিজমের জন্য ওজন কমতে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় প্রয়োজন হয়।
বিজ্ঞাপন৩ গ্রিন টি আপনাকে বাড়তি ক্যালরি গ্রহণ করা থেকে বিরত রাখে। অবাক হচ্ছেন? বিষয়টি আসলে খুবই সহজ। গ্রিন টি পানের ফলে স্বাস্থ্যকর ভাবেই ক্ষুধাভাব ও খাবার খাওয়ার চাহিদা কমে যায়। নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে নির্দিষ্ট সময় পরপর ক্ষুধাভাব দেখা দেবে। ফলে জাংক ফুড কম খাওয়া হয়। বলা যায় পরোক্ষভাবে খাওয়ার অভ্যাসকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে গ্রিন টি।
কতটুকু গ্রিন টি পান করা উচিৎ প্রতিদিন?
ওজন কমানোর জন্য প্রতিদিন চিনি ছাড়া ৩-৪ কাপ গ্রিন টি পান ওজন কমানোর প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে। গ্রিন টি পানের ফলে মেটাবলিজ বৃদ্ধি মূলক উপাদান যেমন: ম্যানগানিজ, ক্রোমিয়াম ও জিংক গ্রহণ করা হয়।
তবে মনে রাখতে হবে, শুধু গ্রিন টি পান ওজন কমানোর জন্য যথেষ্ট নয়। এর সঙ্গে সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাসও গড়ে তুলতে হবে।
জেনে রাখুন গ্রিন টি পানের ক্ষেত্রে কিছু জরুরি ও প্রয়োজনীয় তথ্য
১. ক্যাফেইন পানে যদি সমস্যা হয় অথবা আপনার যদি ইনসমনিয়ার সমস্যা থাকে, তবে প্রতিদিন ৩ কাপের বেশি গ্রিন টি পান করা উচিৎ হবে না।
২. অন্তঃসত্ত্বা অথবা গর্ভধারণের চেষ্টায় থাকলে প্রতিদিন ১ কাপ গ্রিন টি পান করতে হবে। প্রয়োজনে গ্রিন টি পান করা সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ রাখতে হবে।
৩. কিডনি জনিত সমস্যা, লিভারের সমস্যা ও গ্লুকোমার সমস্যা থাকলে গ্রিন টি পান করা যাবে না।