চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার চালু হবে ২০২০ সালে

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ ভবন, ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ ভবন, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও চীন সরকার যৌথভাবে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের মত আরো একটি এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণ করছে। বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে নির্মাণাধীন এ বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটির নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এ সেন্টার আগামী ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে চালু হবে বলে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞাপন

ওই প্রকল্পে মোট বরাদ্দ এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চীন সরকারের অনুদান ৬৫০ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এছাড়া রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো ২০২ কোটি ৮০ লাখ টাকা ও সরকার ৪৭৫ কোটি টাকা দিচ্ছে।

রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। এ বৈঠকে এক্সিবিশন সেন্টার নিয়ে আলোচনা শেষে প্রকল্পের কাজে তদারকি বাড়ানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী, মোহাম্মদ হাছান ইমাম খাঁন ও সুলতানা নাদিরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, কমিটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে শেষ করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাতীয় রফতানি হাউস নামক আরেকটি প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা) করার জন্য পরামর্শক ফার্ম নিয়োগ করা হয়েছে। ওই প্রকল্পের ব্যয় রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর নিজস্ব তহবিল থেকে দেওয়া হবে বলে পরিচালনা পর্ষদে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবির) কার্যক্রম আরো শক্তিশালী করতে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।

বৈঠকে জানানো হয়, প্রতিদিন ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের স্থানীয় খুচরা ও পাইকারি মূল্যের তথ্য সংগ্রহ করে খুচরা বাজারদর টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং দফতর ও সংস্থার কাছে খুচরা বাজারদর পাঠানো হয়। এছাড়া দৈনিক পাইকারি বাজারদর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আন্তর্জাতিক বাজারদর, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন ও বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে পর্যালোচনা করে বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনে সরকারকে জানানো হয়।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে রেজিস্টার্ড জয়েন্ট স্টক কোম্পানি কর্তৃক কোম্পানি ট্রেড অর্গানাইজেশন, পার্টনারশিপ ফার্মের নিবন্ধন প্রদান, ছাড়পত্র প্রদান প্রভৃতি ক্ষেত্রে বাস্তবতার নিরিখে কাজ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

এছাড়া ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনে ৩২ কোটি ৯০ লাখ ৪৭ হাজার ৭৪৮ টাকা ব্যয় হয়েছে বলেও বৈঠকে উল্লেখ করা হয়।