ছয় কবিতে হলো মেলা বার্তায় এসে। তাই বলে তোরা কেউ যাস নে ওই কবিদের কাছে, এই নীতিতে ছিলেন না সঞ্চালক সুলতানা জাহান। সেরকম হলে আড্ডাই যে পণ্ড হতো। বদলে, থামতেই না চাওয়া প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী এই আড্ডার মৌখিক নামকরণ করেন এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন—‘শ্রাবণ সন্ধ্যায় কবিতা আড্ডা’। ঠিক দুদিন আগেই নামকরণসহ পুরো আড্ডার এই পরিকল্পনাও তাঁরই করা।
আড্ডায় আমন্ত্রিত এবং শেষ পর্যন্ত নিজ নিজ বিলম্বকে সঙ্গী করে উপস্থিত হওয়া ছয় কবি হলেন—মারিয়া রিমা, মিছিল খন্দকার, রুদ্র হক, হিজল জোবায়ের, তানিম কবির এবং আন্নি।
বোঝাই যাচ্ছিল শ্রাবণ সন্ধ্যায় কবিরা কিছু বর্ষার কবিতাই পাঠ করবেন। বলা বাহুল্য আয়োজকদের পক্ষ থেকেও সেরকমই বলে দেওয়া হয়েছিল। তার আগে উক্ত শ্রাবণ আড্ডাতেই প্রথম কোনো নারী কবিকে চাক্ষুষ করেন আড্ডার সঞ্চালক এবং বার্তার ক্রিয়েটিভ এডিটর সুলতানা জাহান। ফিচার এডিটর তানিম কবিরের অনুরোধে যিনি এই আড্ডা সঞ্চালনায় না পারতে রাজি হন এবং শেষম্যাশ সফলভাবে সম্পন্ন করেন।
তথাপি ফিচার এডিটর নিজেই আড্ডার একজন গেস্ট সেজে বসেন। আর যথারীতি বাকিদের সাথে নিজেও দুটো কবিতা শুনিয়ে দিতে ছাড়েন না। আড্ডা শুরুর আগে এডিটর ইন চিফ আলমগীর হোসেন একবার বেরিয়ে এসে সমবেত কবিদলটিকে বার্তার পক্ষ থেকে স্বাগত জানান। গেস্ট সেজে বসা তানিম কবির যে নিজ তোতলামির দোহাই দিয়ে সঞ্চালনার দায়িত্ব এড়িয়েছেন, প্রগাঢ় এই সত্যটি তিনি বলে দিয়ে যান। একই সময়ে তিনি এধরনের আড্ডা নিয়মিতই হওয়া দরকার বলে অভিমত দেন।
আড্ডায় কবিরা বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে দিয়ে এবং নিজেদের নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করতে গিয়ে কত কথাই যে বললেন তার কোনো হিসেব নিকেশ নেই। উপরিউক্ত ভিডিওতে কাটছাঁট করে যেটুকু রইল ঢের বেশি বরং রইলই না তার।
কবি মিছিল খন্দকার জানালেন, পৃথিবীরই করা এক ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিজের কবিজীবন কিভাবে শুরু হয়ে গেল সেই গল্প। মারিয়া রিমা পড়েছিলেন চিরন্তন সেই প্রেমে এবং লিখতে শুরু করেছিলেন মাধ্যম হিসেবে প্রাচীন এই কবিতা। আন্নি অবশ্য কবি হলেন ছন্দে ছন্দে রুমমেটদের বৈশিষ্ট অঙ্কন করতে গিয়ে। হিজল জোবায়েরের মাথার ওপর দিয়ে বলতে গেলে উড়ে গিয়েছিল একটি পাখি। সেই থেকে হিজল কবি। প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছিল হয়তো রবীন্দ্রনাথের বলাকা। তাতে কী এসে যায়? রুদ্র হক ও তানিম কবিরের কবি হয়ে ওঠার পেছনেও কাজ করেছে এরকমই কোনো বিশিষ্ট কিংবা নিতান্তই তুচ্ছ কোনো ঘটনা, যা সম্ভবত ভিডিওতে বিস্তারিত বক্তব্যসহ থাকবে।
এছাড়া প্রত্যেকেই পাঠ করে শুনিয়েছেন নিজেদের লেখা বর্ষার কবিতা। কথা না বাড়িয়ে সেসব কবিতা শোনা যাক—