প্রথমবারের মতো মিস ইউনিভার্স মঞ্চে সৌদি আরবের প্রতিযোগী



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগীতায় এই বছর প্রথমবারের মতো সৌদি আরব প্রতিনিধির দেখা পাওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

সংস্থাটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক সমন্বয়কারী মারিয়া হোসে উন্ডা এএফপিকে এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘মিস ইউনিভার্স অর্গানাইজেশন বর্তমানে একটি কঠোর যাচাই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যাতে করে একজন সম্ভাব্য প্রার্থী সৌদি আরব ফ্র্যাঞ্চাইজের প্রতিনিধিত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খুব শীঘ্রই সৌদি আরবের অংশগ্রহণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব।’ তিনি বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে মেক্সিকোতে নির্ধারিত প্রতিযোগিতার পরবর্তী সংস্করণের আগে সৌদি আরবের পক্ষে একজন প্রতিযোগী রাখা অসম্ভব বিষয় নয়।

এদিকে, সৌদি মডেল রুমি আল-কাহতানি গত মার্চের শেষের দিকে অনলাইনে একটি গুঞ্জন তৈরি করার পরে এই বিবৃতিটি আসলো। কাহতানি গত মার্চে তার কয়েক হাজার ইনস্টাগ্রাম অনুসারীদের পোস্ট করে জানান যে, আসন্ন ইভেন্টে মিস ইউনিভার্সে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।

পোস্টটিতে রিয়াদের বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সি কাহতানির ছবি অন্তর্ভুক্ত ছিল। ওই ছবিতে তিনি একটি সিকুইন্ড পোশাকে সবুজ সৌদি পতাকা ধারণ করে থাকতে দেখা যায়।

এর এক সপ্তাহেরও কম সময় পরে কাহতানির পোস্টকে মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিকর বলে বিবৃতি জারি করে মিস ইউনিভার্স কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটি জানায়, উপসাগরীয় রাজ্যটির নির্বাচন প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি।

অন্যদিকে, মিস ইউনিভার্স মঞ্চে সৌদি আরবের কোনো প্রার্থীকে দাঁড় করানো হলে, সেটি হবে দেশটির অতি-রক্ষণশীল ভাবমূর্তিকে নরম করার ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রচেষ্টার আরেকটি ধাপ।

সৌদি আরব বিশ্বের বৃহত্তম অপরিশোধিত তেল রপ্তানিকারক। তারা দীর্ঘকাল ধরে নারী নিপীড়নের সঙ্গে যুক্ত। কারণ, সেখানে নারীদের বিপরীতে গাড়ি চালানোর উপর নিষেধাজ্ঞা এবং আবায়া পোশাক পরার প্রয়োজনীয়তার মতো নিয়ম চালু ছিল।

যদিও এই বিধিনিষেধগুলি প্রত্যাহার করা হয়েছে, কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, ২০২২ সালে কার্যকর হওয়া একটি ব্যক্তিগত স্থিতি আইন এখনও বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ এবং সন্তান লালন-পালনের বিষয়ে নারীদের প্রতি বৈষম্যের কারণ।

এ ছাড়াও সৌদি আরবের দুইজন নারী রয়েছেন, যারা ২০২২ সালে সরকারের সমালোচনামূলক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের জন্য কয়েক দশক ধরে কারাদণ্ড ভোগ করেছেন।

রিয়াদের বাড়িতে কথা কাহতানি মিস ইউনিভার্সে অংশগ্রহণের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে অস্বীকার করেন।

গত মার্চ মাসে তার ইনস্টাগ্রাম পোস্ট ভাইরাল হওয়ার পর তার প্রথম সাক্ষাত্কারে তিনি এএফপিকে বলেছিলেন, ‘মিস ইউনিভার্স কমিটির পক্ষ থেকে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। আলোচনা শুরু হয়েছিল, কিন্তু তখন রমজান মাসে ছিল বলে আমি সাড়া দিতে পারিনি।’

তিনি আরও বলেছিলেন যে, ‘আমরা এখনও আলোচনা করছি এবং আশা করি এটি একটি সুন্দর সমাপ্তি ঘটবে।’

মিস ইউনিভার্সের কর্মকর্তা মারিয়া হোসে উন্ডা বলেন, ‘মেক্সিকোতে পাঠানোর জন্য একজন প্রতিনিধি বাছাই করার জন্য মিস ইউনিভার্স সৌদি আরব প্রতিযোগিতার আয়োজন করার জন্য দেশটির ন্যাশনাল ডিরেক্টরকে বলা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাহতানি যদি সৌদি আরবের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে চান, তাহলে তাকে অন্য প্রত্যেক প্রার্থীর মতো একই নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে।’

   

রাফাহ ত্যাগ করবে না ইউএনআরডব্লিউএ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মিশর সীমান্তবর্তী গাজার  দক্ষিণাঞ্চলের শহর রাফায় স্থল অভিযান চালানোর পথে এগিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। তবে ইসরায়েলি অভিযান সত্ত্বেও রাফাহ ত্যাগ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের জন্য জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ)।

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউএনআরডব্লিউএ এরইমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে- ইসরায়েল রাফাহতে অভিযান চালালেও সেখান থেকে সরে যাবে না ইউএনআরডব্লিউএ। 

সংস্থাটি জানায়, রাফাহতে অভিযান চালানো হলে তা বেসামরিক লোকদের জন্য দুর্ভোগ ডেকে আনবে। এতে ১ দশমিক ৪ মিলিয়ন মানুষের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পতিত হবে।

সংস্থাটি আরও জানায়, যতদিন সম্ভব ইউএনআরডব্লিউএ রাফাহতে নিজেদের উপস্থিতি বজায় রাখবে। ফিলিস্তিনিদের জীবন রক্ষায় সহায়তা অব্যাহত রাখবে।

;

পশ্চিমাদের হুমকির পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিল রাশিয়া



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউরোপীয় শীর্ষ নেতারা ইউক্রেনের জন্য শক্তিশালী সামরিক সমর্থনের হুমকির কয়েক দিন পর পরমাণু অস্ত্রের মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। রাশিয়া বলছে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের অনুশীলন করতে এ মহড়া দেওয়া হবে।

সোমবার (৬ মে) এক বিবৃতিতে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালযয়ের এক বিবৃতির বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমা এবং ন্যাটো-সদস্য দেশগুলির উস্কানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়ার কারণে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনে সামরিক মহড়া ও সৈন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, পশ্চিমা কিছু কর্মকর্তাদের উস্কানিমূলক বিবৃতি এবং হুমকির পরে প্রস্তুতি বাড়াতে ... যুদ্ধের কাজগুলি পূরণ করার উদ্দেশ্যে অ-কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্রের প্রস্তুতি এবং স্থাপনার অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত করবে।

মন্ত্রণালয় জানায়, দক্ষিণ সামরিক জেলায় ক্ষেপণাস্ত্র গঠন এবং নৌ বাহিনী মহড়ায় অংশ নেবে।

ফ্রান্সের রাষ্ট্রপতি ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ গত সপ্তাহে বলেন, কিয়েভ ব্যাকআপের অনুরোধ করলে তার দেশ ইউক্রেনে স্থল সেনা পাঠানোর বিষয়ে বিবেচনা করবে। একদিন পরে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিব ডেভিড ক্যামেরন বলেছিলেন, ইউক্রেন চাইলে রাশিয়ার অভ্যন্তরে লক্ষ্যবস্তুতে ব্রিটিশ অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে।

রাশিয়ান কর্মকর্তারা উভয় বিবৃতির নিন্দা করেছেন এবং সতর্ক করে মস্কো এ পদক্ষেপকে বিপজ্জনক বলে অভিহিত করেছে। মস্কো দীর্ঘদিন ধরে সতর্ক করেছে যে সামরিক জোটের ইউরোপীয় সদস্যরা ইউক্রেনে যুদ্ধে তাদের সৈন্য পাঠালে ন্যাটোর সাথে সংঘাত অনিবার্য হয়ে উঠবে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ান বাহিনী প্রতিবেশী ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমা দেশগুলি এবং রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভেঙে যায়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে রাশিয়া বারবার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক ঝুঁকি সম্পর্কে সতর্ক করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিলেওরাশিয়ার পারমাণবিক ভঙ্গিতে কোনো পরিবর্তন হয়নি।

রাশিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এখন পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক শক্তি। দেশ দুটির কাছে বিশ্বের ১২ হাজার ১০০টি পারমাণবিক ওয়ারহেডের মধ্যে ১০ হাজার ৬০০টিরও বেশি রয়েছে। ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের পর চীনের কাছে তৃতীয় বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে।

;

রাফাহ ছাড়ার নির্দেশ ইসরায়েলের, হামলা হবে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলের রাফাহতে আশ্রয় নেওয়া ফিলিস্তিনিদের শহরটির একটি অংশ খালি করতে নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। 

সোমবার (৬ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইডিএফের এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, রাফাহর পূর্বাঞ্চলে বসবাস করা বেসামরিক মানুষদের নিকটস্থ সুনির্দিষ্ট ‘মানবিক এলাকায়’ চলে যেতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। তবে এ জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি। 

তবে পূর্বেঘোষিত ‘ব্যাপক পরিসরের স্থল অভিযানের’ প্রস্তুতি হিসেবে মানুষজনকে রাফাহর একাংশ ছেড়ে যেতে বলা হয়েছে কি না, প্রাথমিকভাবে তা নিশ্চিত নয়। তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজায় চরম শক্তি প্রয়োগ করতে চলেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

গাজা উপত্যকার রাফায় লাখ লাখ উদ্বাস্তু আশ্রয় নিয়েছেন। তবে ইসরায়েলের দাবি, রাফায় হামাসের অসংখ্য যোদ্ধা রয়েছে। তাদের নির্মূল করতে শহরটিতে ব্যাপক অভিযান চালানো হবে। 

এদিকে গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে মিশরের কায়রোয় শান্তি আলোচনা চলছে। এর মধ্য রাফাহ খালি করার নির্দেশনায় চলমান শান্তি আলোচনা এবং গাজার ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে।

ইসরায়েলের হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ৩৪ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ৭৮ হাজারের বেশি মানুষ।

;

ইসরায়েলি ঘাঁটিতে হিজবুল্লাহর রকেট হামলা



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা লেবাননের পূর্বাঞ্চলে ইসরায়েলের হামলার প্রতিশোধ হিসেবে সোমবার (৬ মে) গোলান মালভূমির একটি ইসরায়েলি ঘাঁটিতে ‘বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট’ হামলা চালিয়েছে তারা।

সোমবার আরব নিউজের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে, লেবাননের সরকারি মিডিয়া জানায়, দেশটির পূর্বাঞ্চলে সোমবার ভোরে ইসরায়েলি হামলায় তিন বেসামরিক লোক আহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি, তাদের নিক্ষিপ্ত রকেটগুলো হিজবুল্লাহর একটি ‘সামরিক কম্পাউন্ডে’ আঘাত হেনেছে।

এদিকে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েলের নাফাহ ঘাঁটিতে গোলান বিভাগের সদর দপ্তর লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি কাতিউশা রকেট নিক্ষেপ করেছে। গ্রুপটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এটি লেবাননের বেকা অঞ্চলকে লক্ষ্য করে শত্রুর হামলার জবাব।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে স্বাধীনতাকামী হামাসের হামলার প্রেক্ষিতে গাজা উপত্যকায় উভয়পক্ষের মধ্যে যুদ্ধের সূত্রপাত হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের হিজবুল্লাহ’র মধ্যে আন্তঃসীমান্ত গুলি বিনিময় অব্যাহত রয়েছে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে হামাস-মিত্র হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে আর ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী লেবাননের ভূখ-ের গভীরে হামলা চালিয়েছে।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে,‘শত্রুর (ইসরায়েলি) যুদ্ধবিমানগুলো আজ মধ্যরাতের দিকে সিফ্রির একটি কারখানায় হামলা চালালে তিন বেসামরিক লোক আহত ও ভবনটি ধ্বংস হয়।

;