বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়বে তুরস্কসহ ৩ দেশে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলের প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম তুরস্ক। তুলনামূলক সস্তায় বিভিন্ন শিল্পের কাঁচামাল ও পণ্য আমদানি করার জন্য তুরস্কই ইসরায়েলের প্রধান পছন্দ। সম্প্রতি তুরস্কের আরোপিত বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় এসব বাণিজ্যিক সুবিধা হারাচ্ছে ইসরায়েল।

অন্যদিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের বিশাল সংখ্যা হারিয়ে পর্যটনখাতে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে তুরস্কও। অর্থনৈতিক বিপাকে পড়তে পারে ইসরায়েলে জ্বালানি তেলের অন্যতম সরবরাহকারী অপর দেশ আজারবাইজান।

তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার নানামাত্রিক প্রভাব নিয়ে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ক্যালকালিস্টের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের মাধ্যমে আজারবাইজান থেকে ইসরায়েলে জ্বালানি তেল আসে। এখন তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই তেল সরবরাহের বিষয়টি আসবে কি না, তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। যদি এমন পরিস্থিতি ঘটে, তাহলে তা ইসরায়েলের জ্বালানি বাজারকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে তেল বিষয়ে এমন সিদ্ধান্তে তুরস্কের ঘনিষ্ঠ অংশীদার আজারবাইজানেরও ক্ষতি হবে।

ইসরায়েলের ওপরেও তুরস্কের নির্ভরতা রয়েছে। যেমন ২০২৩ সালে ইসরায়েলি পর্যটকদের অন্যতম প্রধান গন্তব্য ছিল তুরস্ক। গত বছর প্রায় ২৩ লাখ ইসরায়েলি পর্যটক তুরস্কে গেছেন। বর্তমানে ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে একটিও সরাসরি যাত্রীবাহী ফ্লাইট চালু নেই।

তুরস্কের সঙ্গে ইসরায়েলের বছরে প্রায় ৭ বিলিয়ন বা ৭০০ কোটি মার্কিন ডলারের বাণিজ্য হয়। তুরস্ক থেকে বিভিন্ন ধরনের মৌলিক কাঁচামাল, পণ্য ও খাদ্য আমদানি করে ইসরায়েল। ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলের বাসিন্দারা জীবনযাত্রার ক্রমবর্ধমান ব্যয় নিয়ে চাপের মুখে রয়েছে এবং তা ত্বরান্বিত হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইসরায়েলে আমদানি করা খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাবে। এ ছাড়া আবাসন ও অটোমোবাইল খাতেও ব্যয় বাড়বে। এছাড়াও ইসরায়েলি শিল্প খাত ও ভোক্তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

ইসরায়েলিদের জন্যও তুরস্ক প্রধান আমদানি গন্তব্য হয়ে উঠার অন্যতম কারণ- তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল থেকে মাত্র ১৮ ঘণ্টায় ইসরায়েলে পণ্য পৌঁছানো যায়। এখন ইসরায়েলের জন্য আমদানির বিকল্প উৎস খুঁজে পেতে বেশ খানিকটা সময় লাগবে। নতুন আমদানি গন্তব্য তৈরির প্রক্রিয়াটি সহজ নয়; এ জন্য নানা ধরনের চুক্তি ও শর্তের বিষয় থাকে। এ ছাড়া অন্য কোনো দেশ থেকে আনা পণ্যের দাম তুরস্কের চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে।

গাজা যুদ্ধ ও ইয়েমেনের হুতিদের কারণে আরব অঞ্চলে পরিবহন খরচ ইতিমধ্যে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্য বিকল্প উৎসগুলো ভৌগোলিকভাবে আরও দূরে অবস্থিত। ফলে তুরস্কের নিষেধাজ্ঞার সরাসরি প্রভাব পড়বে ইসরায়েলের অর্থনীতিতে।

বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ঘোষণার পর ইতিমধ্যে তুরস্কের শুল্ক বিভাগ ইসরায়েলগামী বিভিন্ন পণ্য ছাড়ের অনুমতি বাতিল করেছে বা দিচ্ছে না। ফলে সেসব পণ্য সরবরাহ-শৃঙ্খলের মাঝে আটকে গেছে। কিছু জাহাজ যাত্রা করার পর ফিরেও গেছে। তুরস্ক থেকে নির্মাণ খাতের প্রয়োজনীয় অনেক কাঁচামাল আমদানি করে ইসরায়েল। এ ছাড়া ইসরায়েলের গাড়ি বা অটোমোবাইল খাতেও তুরস্কের অংশীদারিত্ব রয়েছে।

উল্লেখ্য, গাজায় হামলার প্রতিবাদে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। শুক্রবার (৩ মে)  এ নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়ে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, গাজায় একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালু না হওয়া পর্যন্ত এ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

ইসরায়েল ও তুরস্কের মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা হয়েছে। এতে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হলেও বাণিজ্যে প্রভাব পড়েনি। যেমন ২০১০ সালে গাজা উপকূলে তুরস্কের ত্রাণবাহী জাহাজে ইসরায়েলি সেনাদের হামলার কারণে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল। তবে এই দফায় অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। 

   

নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি হামলা, নিহত ১৭



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলমান হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। এ যুদ্ধে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ফিলিস্তিনিদের মৃত্যুর সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া অনুযায়ী গাজা ভূখণ্ডের নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে কমপক্ষে ১৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে।

এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েল বিমান হামলা চালানোর পর অন্তত ২৮ জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (১৯ মে) এই তথ্য জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নুসেইরাতের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে।

আল জাজিরা আরও জানিয়েছে, উত্তর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত এবং কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

;

বৈশ্বিক প্লাস্টিক দূষণের তালিকায় কোক-পেপসি শীর্ষে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বজুড়ে প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকারক দিক নিয়ে একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে যে ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের অর্ধেকেরও বেশির জন্য দায়ী ৫৬টি কোম্পানি। ৫ বছর ব্যাপী চালানো নতুন গবেষণায় প্লাস্টিক বর্জ্যের পেছনে দায়ী কোম্পানিগুলি নথিভুক্ত করেছে৷

গবেষণায় দেখা গেছে, সমস্ত ব্র্যান্ডেড প্লাস্টিক দূষণের ২০ ভাগের জন্য মাত্র ৪টি কোম্পানী দায়ী। এর মধ্যে শীর্ষ কোম্পানিগুলো হলো— কোকা-কোলা (১১ শতাংশ), পেপসিকো (৫ শতাংশ), নেসলে (৩ শতাংশ) এবং ড্যানোন (২ শতাংশ)।

ডালহৌসি ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে সারা বিশ্বের বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায়, ৫ বছরের ধরে ৮৪টি দেশে প্লাস্টিক দূষণের উপর পরিক্ষা নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে 'সায়েন্স অ্যাডভান্স' জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটি হয়।


ডালহৌসির স্কুল ফর রিসোর্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধ্যাপক টনি ওয়াকার বলেছেন, "বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তম কর্পোরেশন তারা গ্রহের প্রতিটি দেশে পৌঁছে গেছে।"

তথ্য সংগ্রহের জন্য বিশ্বব্যাপী হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্লাস্টিক 'নিরীক্ষা' পরিচালনা করেছেন। তারা সতর্কতার সাথে সমুদ্র সৈকত, পার্ক, নদী এবং অন্যান্য এলাকায় অনুসন্ধান চালিয়ে প্লাস্টিকের ধ্বংসাবশেষ সংগ্রহ করেছেন। তারা প্লাস্টিক বর্জ্যের প্রতিটি অংশ পরীক্ষা করে দৃশ্যমান ব্র্যান্ড বা ট্রেডমার্ক চিহ্নিত করেছে। ২০১৮ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে ব্রেক ফ্রি ফ্রম প্লাস্টিক নামের সংস্থাটি ১ হাজার ৫শ ৭৬টি নিরীক্ষা সমন্বয় করেছে।

গবেষণায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে প্লাস্টিকের উৎপাদন দ্বিগুণ হয়েছে, ২০০০ সালে ২০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন থেকে থেকে ২০১৯ সালে ৪০০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক উৎপাদন হয়েছে।

একটি বিবৃতিতে, কোকা-কোলা বলেছে ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বব্যাপী শতভাগ পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্যাকেজিং ব্যবস্থা চালু করার চেষ্টা করছে। পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে কোম্পানিটি ৫০ শতাংশ পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহার করতে চায় প্যাকেজিংয়ের জন্য।

পেপসিকো জানিয়েছে, কোম্পানিটি প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় একটি বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে এবং এমন একটি অর্থনীতি গড়ে তুলতে কাজ করছে যেখানে প্লাস্টিক পুনরায় ব্যবহার করা সম্ভব।

কোম্পানি আরও জানায়, "প্লাস্টিক দূষণ মোকাবেলায় সহায়তা করার জন্য একটি বড় এবং বাধ্যতামূলক বৈশ্বিক নীতি কাঠামোর পক্ষে কাজ করছে। এবং তাদের অন্যদেরও এটি করার সুযোগটি কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছে তারা।"

এক বিবৃতিতে, নেসলে স্বীকার করেছে যে প্লাস্টিক দূষণ একটি "গুরুতর সমস্যা এবং এটি সমাধানের জন্য আমরা কঠোর পরিশ্রম করছি" - এবং এটি বিশ্বব্যাপী আইনিভাবে বাধ্যতামূলক নিয়ন্ত্রণকে সমর্থন করে৷ এটি ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, উত্তর আমেরিকা এবং লাতিন আমেরিকায় বর্জ্য সংগ্রহ, বাছাই এবং পুনর্ব্যবহারযোগ্য স্কিমগুলি বিকাশের জন্য নেসলের চলমান প্রকল্পগুলিরও উল্লেখ করেছে।

এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য জানায়নি ফ্রান্সভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ড্যানোন।

ওয়েস্টার্ন অন্টারিও বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থ সায়েন্সের অধ্যাপক প্যাট্রিসিয়া করকোরান বলেছেন, বিশ্বব্যাপী করা গবেষণাটি "অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ"।

করকোরান গ্রেট লেকের সৈকতে প্লাস্টিক দূষণ পরীক্ষা করার অনুরূপ গবেষণায় কাজ করেছে। গবেষণায়, "খাদ্য এবং পানীয়ের বর্জ্যই সেখানে রয়েছে - এটি কোনও আশ্চর্যের বিষয় নয় বলে তিনি জানিয়েছেন"।

তিনি বলেন, "আপনি যদি সবচেয়ে বড় উৎপাদককে হাইলাইট করেন...তাহলে হয়তো এটি কোম্পানির সচেতনতা বাড়াবে এবং কোম্পানি এটি সম্পর্কে কিছু করতে পারে।"

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উদ্ধারকৃত প্লাস্টিক আইটেমগুলির ৫০ শতাংশেরও বেশি সূর্য, পানি এবং বাতাসের সংস্পর্শে আসার পরে কোনও স্পষ্ট ব্র্যান্ডিং এর লেবেল ছিল না।

গবেষকরা বলেছেন যে তাদের গবেষণায় প্লাস্টিক পণ্য এবং প্যাকেজিংয়ের উৎপাদন এবং লেবেলিংয়ের বিষয়ে বৃহত্তর স্বচ্ছতার প্রয়োজনীয়তারয়েছে, যাতে দূষণ কারা করছে তা বের করা সহজ হয় এবং সংস্থাগুলিকে জবাবদিহি করা যায়।

তারা একটি আন্তর্জাতিক, ওপেন-অ্যাক্সেস ডাটাবেস তৈরির জন্য যুক্তি দেখান, যেখানে কোম্পানিগুলি তাদের পণ্য, প্যাকেজিং এবং ব্র্যান্ডগুলি পরিবেশে পরিমাণগতভাবে ট্র্যাক করতে এবং রিপোর্ট করতে বাধ্য।

কানাডার পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী স্টিভেন গিলবিউল্ট একটি নতুন রেজিস্ট্রি ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে কোম্পানিগুলিতে কতটা প্লাস্টিক উত্পাদিত হচ্ছে এবং এটি কোথায় গিয়ে শেষ হবে তার বিশদ সরবরাহ করতে হবে।

গিলবিউল্ট কানাডার নতুন প্লাস্টিক রেজিস্ট্রির পরিকল্পনা এবং অটোয়াতে জাতিসংঘের প্লাস্টিক দূষণ চুক্তির আলোচনার বিশদ বিবরণ সম্পর্কে বলেছেন। তিনি আলোচনার লক্ষ্য ১৭০টিরও বেশি দেশের জন্য প্লাস্টিক দূষণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আইনগতভাবে বাধ্যতামূলক চুক্তি নিয়ে আসার পরামর্শও দিয়েছিলেন।

;

রোমানিয়ায় কার্গো জাহাজ ডুবে নিখোঁজ ৩



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোমানিয়ার উপকূলে একটি কার্গো জাহাজ ডুবে ওই জাহাজে থাকা তিন সিরীয় নাবিক নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের খুঁজতে কৃষ্ণ সাগরে অভিযান চালাচ্ছে দেশটির নৌবাহিনী

শনিবার (১৮ মে) সকালে ‘মোহাম্মদ জেড’ নামের তানজানিয়ার পতাকাবাহী জাহাজটি রোমানিয়ান শহর সান্তু জর্জে থেকে ২৬ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুবে যায়। ওই সময় জাহাজটিতে ১১ জন ক্রু ছিলেন। যার মধ্যে নয়জন সিরিয়ার এবং দুজন মিসরের নাগরিক ছিলেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে রোমানিয়ার নৌবাহিনী।

তারা আরও জানিয়েছে, ভোর ৪টার দিকে দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে ঘটনাস্থলে নৌ সেনা ও পুলিশ সদস্যদের পাঠানো হয়। ওই সময় কাছাকাছি থাকা দুটি বাণিজ্যিক জাহাজও উদ্ধার অভিযানে অংশ নেয়।

জাহাজের ৮ নাবিককে কাছে থাকা একটি বাণিজ্যিক জাহাজই উদ্ধার করে। কিন্তু তিনজন নিখোঁজ হয়ে যান। এই তিনজনের সবাই সিরিয়ার নাগরিক। কী কারণে জাহাজটি ডুবে গেলো সেই তথ্য এখনো জানা যায়নি।

;

ইরানে দুই নারীসহ ৭ জনের ফাঁসি কার্যকর



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্ত দুই নারীসহ সাতজনের ফাঁসি কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরান।

শনিবার (১৮ মে) তাঁদের এ দণ্ড কার্যকর করা হয়। খবর এএফপি। 

নরওয়েভিত্তিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএইচআর বলেছে, ফাঁসি কার্যকর করা দুই নারীর মধ্যে একজন হলেন পারভিন মুসাভি। ৫৩ বছর বয়সী এই নারী দুই সন্তানের জননী। তাকে মাদক-সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। আরেক নারী হলেন ফাতেমেহ আবদুল্লাহি (২৭)। স্বামীকে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, মুসাভি চার বছর ধরে কারাগারে ছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, পাঁচ কেজি পরিমাণ মাদকের একটি প্যাকেজ বহন করার জন্য এই নারীকে ১৫ ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেওয়া হয়েছিল।

আইএইচআর জানিয়েছে, এ বছর ইরানে এখন পর্যন্ত ২২৩ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে চলতি মাসে অন্তত ৫০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

;