মশা নিয়ন্ত্রণে গবেষণার প্রয়োজন বোধ করছেন চসিক মেয়র!



স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তিন বছর পূর্ণ হয়েছে মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেইে গত তিন বছরে ছোট্ট মশাই যেন বড় ব্যর্থতা তাঁর! তবে মেয়র এই ব্যর্থতার দায় চাপাচ্ছেন মশার প্রতিরোধক্ষমতার উপর। এবার মশা নিয়ন্ত্রণ করতে গবেষণার প্রয়োজনও বোধ করছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে লালদিঘী পাড়স্থ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চসিকের ৬ষ্ঠ নির্বাচিত পরিষদের ৩৮তম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, মশার ঔষধের প্রতি মশার প্রতিরোধক্ষমতা তৈরি হয়েছে। এখন ঔষধ মেরেও মশা মারা যাচ্ছে না। মশা নিয়ন্ত্রণে আনতে হলে গবেষণা প্রয়োজন।

সভায় মশার প্রকোপ কমাতে আগামী সপ্তাহ (৩১ মার্চ) থেকে কার্যক্রম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে মেয়র বলেন, ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মশা দ্রুত বাড়ছে। আগামী সপ্তাহ থেকে স্প্রেম্যান থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট লোকবল বাড়িয়ে মশা নিধনে প্রতিটি ওয়ার্ডে আরও ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। ডেঙ্গু প্রকোপ প্রতিরোধে এখনই উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কাউন্সিলরদের মাঠে থেকে তদারকি করতে হবে এ কার্যক্রম।

‘অনেকে মনে করে টনকে টন মশার ঔষধ মারলেই মশা কমবে, এটা ঠিকনা। আমাদেরকে পরিবেশগত ভারসাম্যের বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। একসময়ে শহরে ব্যাঙ পাওয়া যেত যেটা মশার লার্ভা খেয়ে মশা কমাতে সহায়তা করত। বিভিন্ন ধরনের উপকারী কীট-পতঙ্গ পাওয়া যেত, যা পাওয়া যাচ্ছে না।’

জনগণকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, আমাদের পরিচ্ছন্ন বিভাগ নালা-গুলো পরিস্কার করছে। অনেক সময় দেখা যায় নালায় ডাবের খোসা থেকে লেপ-তোষক সব ফেলা হয়েছে যা জলাবদ্ধতা তৈরি করে মশার প্রজননক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে। জনগণ সচেতন না হলে মশার প্রকোপ কমানো কঠিন হবে। জনগণ বাড়িতে থাকা জমা পানি প্রতি তিনদিনে একদিন ফেলে দিলে এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি থেকে জনগণকে বিরত রাখতে পারলে পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে। সিডিএ ৩৬টা খালে যে জলাবদ্ধতা নিরসণ প্রকল্প করছে সেগুলোতে বাধ দিতে হয়েছে। সিডিএ বর্ষার আগে বাধ ও খালের মাটি অপসারণ করলে জলাবদ্ধতা ও মশার প্রকোপ কমবে।

আর্থিক সমস্যায় চট্টগ্রামের উন্নয়ন ব্যাহত হচ্ছে জানিয়ে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় শহর। চট্টগ্রামকে ঘিরে বে-টার্মিনাল, শিল্পপার্ক, গভীর সমুদ্র বন্দরসহ অনেকগুলো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এ প্রকল্পগুলোকে সফল করতে যে ধরনের অবকাঠামো চট্টগ্রামের দরকার তা কেবল শুধু হোল্ডিং ট্যাক্স আর ট্র্রেড লাইসেন্সের আয় দিয়ে তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণ করা সম্ভব নয়।

‘আমরা বন্দরের আয়ের ১ শতাংশ চেয়েছিলাম। আইনের গ্যাড়াকলে তা হয়নি। অথচ বন্দরের ৩০ থেকে ৪০ টনের লরি চলাচল করে শহরের রাস্তা নষ্ট করে ফেলছে। প্রতিদিন যে কন্টেইনার খালাস হচ্ছে তা থেকে আয়ের একটি অংশ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া উচিৎ। চসিকের ভবনগুলোকে উর্ধ¦মুখী সম্প্রসারণের মাধ্যমে আয়বর্ধন করতে হবে। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করব। চসিকের রাজস্ব বিভাগকেও আয় বহুমুখীকরণে মনোযোগ দিতে হবে। সিডিএ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বানাচ্ছে। সিডিএ টোল আদায় করবে কিন্তু চসিকের হিস্যা কী হবে তা আলাপ করা উচিৎ ছিল। কারণ সিটি কর্পোরেশনের জায়গায় এক্সপ্রেসওয়ে বানাবেন, সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা দিয়ে গাড়ি উঠা-নামা করবে, আমরা সড়ক সংস্কারে ব্যয় করব অথচ আমাদের কোন হিস্যা থাকবেনা তা হবেনা।’

নগরীতে আলোকায়ন প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছিলাম রমজানে সড়কে, মসজিদে, কবরস্থানে আলোকায়ন করতে। কিন্তু, আমি খোঁজ নিয়ে দেখেছি অনেক রাস্তায়, গলিতে বাতি জ্বলেনা।

কাউন্সিলররা নিজ নিজ এলাকার বিদ্যুতের ইন্সপেক্টরদের নাম্বার রাখার পরামর্শ দিয়ে মেয়র বলেন, কোন সড়কে বাতি না জ্বললে জানতে চাবেন কেন বাতি জ্বলছেনা। কেউ রেসপন্স না করলে লিখিত অভিযোগ দিবেন। পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মীরা অনেক সময় শোনা যায় এক-দুই ঘন্টা কাজ করে চলে যায়। এদের ব্যাপারেও অভিযোগ দিবেন। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বরখাস্ত করে দিব।

হকার উচ্ছেদ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও র‌্যাবের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অবৈধ হকার উচ্ছেদ হওয়ায় মানুষ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে। মানুষ খুবি খুশি। মানুষের পুঞ্জিভূত ক্ষোভ নিরসণ হয়েছে। গরীব হকারদের জন্য হলিডে মার্কেটের ব্যবস্থা করব। তবে, হকারদের নিয়ে কাউকে চাঁদাবাজি করতে দেয়া হবে না। অলিতে-গলিতে হকার বসিয়ে মানুষকে কষ্ট দেয়া বন্ধ করব। রেলওয়ে ও গণপূর্তর সাথে আমরা যোগাযোগ করছি। পরিত্যক্ত ভূমিতে কেবল সপ্তাহে দু’দিন হলিডে মার্কেট চালু করা হবে।

হলিডে মার্কেট প্রসঙ্গে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী রমিজুর রহমান জানান, চসিকের উচ্ছেদ অভিযানে বায়েজিদ বোস্তামীতে দুটি ভূমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত হয়েছে। বায়েজিদ এলাকায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উদ্ধারকৃত জায়গায় হকারদের জন্য হলিডে মার্কেট স্থাপনের বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে প্রতিবেদন দিতে হবে। জনস্বার্থ বিবেচনায় হলিডে মার্কেট বাস্তবায়নে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।

চসিকের প্রকৌশল বিভাগের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, শুস্ক মৌসুমে ফুটপাত রং করা, জ্যাব্রাক্রসিং এবং রোডমার্কিং এর কাজ একমাসের মধ্যে শেষ করতে হবে। কিছুদিন আগে একজন জানালো একটা রাস্তা বানানোর মধ্যে রাস্তাটা কেটে ফেলেছে। সমন্বয় করলে রাষ্ট্রের সম্পত্তির এ অপচয় রোধ করা যাবে। আমাদেরকে কিছু কিছু সড়কে ব্লক দিয়ে নির্মাণ করা যায় কীনা তা ভাবতে হবে। প্রয়োজনে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে

ঈদের সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান মেয়র।

চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, স্থায়ী কমিটির পরামর্শ অনুসারে ১ জুলাই থেকে অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন বাড়ানো হবে। চসিকের অস্থায়ী কর্মচারীদের স্থায়ীকরণের কার্যক্রমও অনেকটুকু এগিয়ে গেছে।

সভায় ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রউফ জানান, গ্রীস্মে কিছু এলাকায় পানির সংকট দেখা দিয়েছে। আমরা পানি সরবরাহ ও লিকেজ মেরামতের জন্য ভিজিল্যান্স টিম গঠন করেছি। সহসাই পানির সংকটের সমাধান হবে।

সভায় ট্রাফিক বিভাগের এডিসি মো. কাজী হুমায়ুন রশীদ বলেন, অবৈধ হকার উচ্ছেদ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সর্বাত্মক সহায়তা করেছে এবং ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে। তবে, উচ্ছেদ অভিযান বিকালে পরিচালনা করলে আরো বেশি সুফল পাওয়া যাবে। কারণ হকাররা মূলত বিকালে সড়ক-ফুটপাত দখল করে নিচ্ছে যা নগরীতে তীব্র যানজট সৃষ্টি করছে। নির্বিঘ্নে রাস্তা পারাপারের স্বার্থে নগরীজুড়ে জেব্রা ক্রসিং গড়ে তুলতে হবে।

সভায় বিগত সাধারণ সভার কার্যবিবরণী, দরপত্র কমিটির কার্যবিবরণী এবং স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী অনুমোদিত হয়। স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতিগণ তাদের নিজ নিজ স্ট্যান্ডিং কমিটির কার্যবিবরণী পেশ করেন। সভায় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, ভারপ্রাপ্ত সচিব নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়রবৃন্দ, কাউন্সিলরসহ চসিকের বিভাগীয় ও শাখা প্রধানগণ এবং নগরীর বিভিন্ন সরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

   

যশোরে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
আহসান হাবিব

আহসান হাবিব

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোরে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে আহসান হাবিব নামের এক স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।

আহসান হাবিব যশোর সদর উপজেলার আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. হাবিবুর রহমান শিক্ষক আহসান হাবিবের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আমদাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এজেডএম পারভেজ মাসুদ জানান, শিক্ষক আহসান হাবিব আজ সকালে মাঠে কাজ করে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আব্দুর রশিদ বলেন, আজ সকালে ওই স্কুলশিক্ষককে (আহসান হাবিব) মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছিল। রোগীর স্বজনরা জানিয়েছেন যে আজ সকালে রোদের মধ্যে তিনি মাঠে কাজ করে স্কুলে গিয়েছেন। স্বজনদের দাবি, তার হিট স্ট্রোকে মৃত্যু হয়েছে। তবে আমরা এখনো চূড়ান্ত রিপোর্ট পাইনি। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ধারণা, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন।

;

নওগাঁয় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড,স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে নওগাঁয় 'জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস' পালিত হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে জেলা ও দায়রা জজ আদালত চত্বরে জেলা ও দায়রা জজ ও লিগ্যাল এইড চেয়ারম্যান আবু শামীম আজাদ বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন।

পরে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সেখানে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিচারক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কমকর্তা ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সোমবার দেশে ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা থাইল্যান্ডে ৬ দিনের সরকারি সফর শেষে সোমবার (২৯ এপ্রিল) দেশে ফিরবেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের আমন্ত্রণে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সফরে বুধবার (২৪ এপ্রিল) তিনি দেশটিতে পৌঁছান। শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল গভর্নমেন্ট হাউজে থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।

এরপর দুই প্রধানমন্ত্রী ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি, পর্যটন ও কাস্টমস বিষয়ে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনা বিষয়ে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথিতে সই প্রত্যক্ষ করেন।

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা তার এই সফরকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এই সরকারি সফর আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে। যা আমাদের দুই দেশের মধ্যে ফলপ্রসূ অংশীদারিত্বের নতুন যুগের সূচনা করেছে।

এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল দুসিত প্রাসাদের আম্ফর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরাকলাওচাওহুয়া ও রানি সুথিদা বজ্রসুধাবিমালাক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

বহুপক্ষীয় ব্যস্ততার অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল থাইল্যান্ডের ব্যাংককে জাতিসংঘ সম্মেলন কেন্দ্রের এসকাপ হলে (৩য় তলায়) জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসকাপ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ৫টি দ্বিপক্ষীয় নথি সই হয়েছে। নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে ১টি চুক্তি, ৩টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) ও ১টি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

নথিগুলো যেসব বিষয়ে- অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি; জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক; শুল্ক সম্পর্কিত বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক; পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরুর বিষয়ে এলওআই।

;

গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের



কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের

গরমে অনলাইন ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের

  • Font increase
  • Font Decrease

তাপদাহের মধ্যে আবার শুরু হয়েছে স্কুল। সাত দিন বন্ধের পর রোববার (২৮ এপ্রিল) শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলতেই টেনশনে অভিভাবকগণ। তাদের আর্জি, বিরূপ আবহাওয়ায় স্কুল বন্ধ না করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হোক।

নগরীর অনেক স্কুল গেটে অপেক্ষমাণ অভিভাবকরা বাড়ি না গিয়ে বসে আসেন। 'ক্লাসের সময় কমিয়ে দেওয়ায় বাচ্চাকে নেওয়ার জন্য বসে আছি। বাসায় গিয়ে আসতে আসতে স্কুল ছুটি হয়ে যাবে।' বললেন, রহমানিয়া স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক।

চট্টগ্রামের প্রায় সব স্কুলের গেটে উদ্বিগ্ন অভিভাবকের ভিড় দেখা গেছে। পাবলিক স্কুলের মোড়ে জটলা করে অপেক্ষায় ছিলেন অনেকেই। তাদের মতে, এই গরমে স্কুলে আসার সময় যানবাহনের জন্য অনেকক্ষণ অপেক্ষা করে ঘাম ছুটেছে। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সময়ও একই ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হবে।

বেসরকারি চাকরিজীবী নূর আলম খোন্দকার বলেন, অভিভাবক হিসাবে আমরা চিন্তিত বাচ্চাদের পড়াশোনা ও শারীরিক নিরাপত্তার জন্য। স্কুল বন্ধ থাকলে তাদের ক্ষতি। আবার তীব্র গরমেও তাদের বিপদ হতে পারে। এজন্য সামনের কয়েকদিন স্কুল বন্ধ না করে অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হলে সবদিক থেকে ভালো হয়।

মিসেস সুমাইয়া রহমাতুল্লাহ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ক্লাস হলে স্কুল-কলেজে হতে অসুবিধা কোথায়? কোভিড মহামারিতে অনলাইনে ক্লাস হয়েছে। এখনও গরমের কারণে বিরূপ পরিস্থিতি চলছে। সবার কাছেই অনলাইনে ক্লাস করার মতো সুবিধা আছে। একে কাজে লাগিয়ে বিরূপ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে।

এদিকে, অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে এসে গরমে অসুস্থ হচ্ছে বলেও গণমাধ্যমের খবর। তেমনই একজন মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিকা রহমান। সকাল ৭টায় তার ক্লাস শুরু হয়ে ৯টা ৪০ মিনিটে ছুটি হয়েছে। ছুটি শেষে এই কোমলমতি শিক্ষার্থী বমি করে এবং কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এতে তাকে স্কুলে নিয়ে আসা অভিভাবক মা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। যার কারণে বাসায় গিয়ে মেয়ের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে আগামীকাল স্কুলে দেবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবেন।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে অনলাইনে ক্লাসের আর্জি অভিভাবকদের অনেকেরই।

;