ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ২ টন কেমিক্যাল পণ্য জব্দ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা ২৪.কম
জাতীয়
রাজধানী পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় কেমিক্যাল গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ২ টন কেমিক্যাল পণ্য জব্দ করেছে র্যাব-সদর সদর দফতরের একটি ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে অভিযান শুরু করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম। অভিযান শেষ হয় বিকেলে।
অভিযান শেষে র্যাব সদর-দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বার্তা২৪. কমকে বলেন, ‘আরমানিটোলা এলাকায় এর আগেও আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। দোকান গুলোকে ক্যামিকেল মালামাল সরানোর জন্য আমরা সময় দিয়েছিলাম। এটি মূলত পরিদর্শন অভিযান। তাই কাউকে জেল জরিমানা করা হচ্ছে না। তবে ৩১শে মার্চের পর কেমিক্যাল মজুদ, দাহ্য পদার্থ মিললে জেল জরিমানা করা হবে। তবে আজকে ২ টন ক্যামিকেল জব্দ করা হয়েছে।’
র্যাবের এই ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ‘আমরা যত রাসায়নিক পদার্থ আমদানি করি তার বেশির ভাগেরই মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য। এমনকি উৎপাদনকারী দেশের নাম, উৎপাদনকারী কোম্পানির নাম এবং রাসায়নিক পদার্থের নাম পর্যন্ত নেই। অথচ আমদানি নীতি আদেশে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এর ফলে এসব রাসায়নিক পদার্থের মেয়াদোত্তীর্ণের সঠিক সময় পার হওয়ার পরও বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে রাসায়নিক পদার্থ দেশে ঢুকছে আর একারণেই মানুষের বিভিন্ন মারাত্মক ব্যাধির কারণসহ নানাবিধ সমস্যার জন্ম দিচ্ছে।’
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
জাতীয়
সারাদেশের মতো গরমে অতিষ্ট চট্টগ্রামের মানুষেরাও বৃষ্টির জন্য হাহাকার করছিলেন বহুদিন ধরে। মাঝখানে এক–দুবার বৃষ্টি পড়লেও তাতে মন ভরেনি নগরবাসীর। অবশেষে বহুল প্রতিক্ষীত সেই বৃষ্টি এলো একরাশ স্বস্তি নিয়ে। টানা তিন ঘণ্টা ধরে পড়া ঝুমবৃষ্টিতে তাপমাত্রাও নেমে এসেছে ত্রিশের নিচে। কিন্তু স্বস্তির সেই বৃষ্টিই কিনা পরে হয়ে দাঁড়িয়েছে অস্বস্তির-ভোগান্তির।
কেননা ঝুম বৃষ্টিতে ভেসে গেছে শহরের নিম্নাঞ্চল আর বাতাসের তোড়ে কোথাও সড়কে উপড়ে পড়েছে গাছ, কোথাও বা ঘরের চাল উড়ে গেছে।
সোমবার (৬ মে) বিকেল তিনটা থেকে ঝড়ো বাতাসের সঙ্গে শুরু হয় বজ্রপাতসহ বৃষ্টি। বৃষ্টির শাসন চলতে থাকে এক টানা তিন ঘণ্টা। এরপর থেমে থেমে পড়তে থাকে বৃষ্টি।
আবহাওয়া অধিদফতরের পতেঙ্গা কার্যালয় তিন ঘণ্টায় ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে। কার্যালয়ের আবহাওয়াবিদ মেঘনাৎ তংচঙ্গা বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার বিকেল তিনটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ৯৭ দশমিক ৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩৫ কিলোমিটার গতিতে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টিপাত হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত কিছু কিছু জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হতে পারে। বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টিও হতে পারে।
ডুবে গেছে নিম্নাঞ্চল
বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বেশিরভাগ নিম্নাঞ্চল ডুবে গেছে। সোমবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর বহদ্দারহাট, কাপাসগোলা, চকবাজার, শুলকবহর, মুরাদপুর, কাতালগঞ্জ, আগ্রাবাদ, হালিশহর, চান্দগাঁও, বাকলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি উঠে গেছে। বৃষ্টিতে সড়কের বিভিন্ন এলাকায় গাড়ি আটকে থাকতে দেখা গেছে। বৃষ্টির কারণে গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় সড়কে মানুষের মিছিল নামে। অনেকেই হেঁটে হেঁটে গন্তব্যে ফিরেন।
বেশিরভাগ এলাকায় হাঁটু সমান পানি উঠে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে কাপাসগোলা ও চকবাজার এলাকায় নালা ও সড়কের পানি একাকার হয়ে যাওয়ায় মানুষজনকে ভোগান্তি ও সতর্কতার সঙ্গে চলাচল করতে হচ্ছিল। কেননা একটু এদিক ওদিক হলেই নালার পানিতে ভেসে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এসব এলাকার নিচতলা ও দোকানও পানিতে তলিয়ে গেছে।
চকবাজার এলাকায় কথা হয় মুদি দোকানি জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে। তিনি বলেন, মানুষ গরম পড়লেই বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেন। আর আমরা ভয়ে থাকি বৃষ্টির কথা শুনলে। কেননা বৃষ্টি পড়লেই শুধু সড়ক না দোকানও ডুবে যায়। এই যন্ত্রণা থেকে কবে মুক্তি পাব জানি না।
প্রায় একই কথা বলেছেন শুলকবহর এলাকার বাসিন্দা শামসুল ইসলাম। তিনি বলেন, বৃষ্টি হলেই পানি উঠবে, এটা যেন চট্টগ্রাম শহরের জন্য নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। যারা নিচতলায় বাস করেন, তারাই বোঝেন বৃষ্টির যন্ত্রণা কি? সড়ক হয়ে পানি ঢুকে গেছে বাসার নিচ তলাতেও। দিনভর অফিস শেষে এখন সেই পানি সরাচ্ছি। রাতে আবার ভারি বৃষ্টি হলে পুনরায় পানি উঠে যাবে।
বৃষ্টির কারণে সড়কে গাড়ি চলাচল কমে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। চকবাজার থেকে জামালখান পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়কজুড়ে শত শত শিক্ষার্থীকে হেঁটে বাসায় ফিরতে দেখা গেছে। আর কোনো গাড়ি এলেই সবাই সেই গাড়িতে উঠার জন্য হুড়োহুড়ি করছিলেন।
সড়কে ভেঙে পড়েছে গাছ
বৃষ্টি ও দমকা হাওয়ার তোড়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বড় বড় গাছ উপড়ে পড়েছে। এ কারণে ওই সব সড়কে যান চলাচল ব্যাঘাত ঘটে।
কাজির দেউড়ির বন্ধ হয়ে যাওয়া শিশু পার্কের তিনটি বড় শিরীষ গাছ উপড়ে পড়ে সড়কে। এই কারণে সড়কের এক পাশে বেশ কিছুক্ষণ গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে গাছগুলো কেটে সড়ক থেকে সরিয়ে নেওয়া হলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। একইভাবে খুলশীর জাকির হোসেন সড়কেও বেশ কয়েকটি গাছ সড়কের ওপর ভেঙে পড়ে যান চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়।
গাড়িভাড়া দ্বিগুণ
বহদ্দারহাট থেকে চকবাজার পর্যন্ত স্বাভাবিক সময়ে গ্যাসচালিত টেম্পোতে জনপ্রতি পাঁচ টাকা ভাড়া নেওয়া হয়। কিন্তু বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার অজুহাতে গাড়ি চালকেরা সেই ভাড়া নিচ্ছেন দশ টাকা করে।
বহদ্দারহাট মোড়ে টেম্পোচালকদের উঠানামা দশ টাকা হারে ভাড়ার জন্য হাঁকডাক করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে একজন চালক বলেন, সড়কে পানি উঠে গেছে। পানির ওপর দিয়ে গাড়ি চালানো ঝুঁকির। যে কোনো সময় ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে তবুও আমরা ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাচ্ছি। সেজন্য বাড়তি ভাড়া নিচ্ছি।
একইভাবে চকবাজার-আগ্রাবাদ রুটেও দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা যায়। এ নিয়ে যাত্রীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
চকবাজারে হাবিবুল ইসলাম নামের এক কলেজপড়ুয়া শিক্ষার্থী ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, সড়কে জলাবদ্ধতা হলে সেই দায় আমাদের কেন নিতে হবে? এ নিয়ে টেম্পোচালকের সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি সরাসরি বলে দেন পোষালে ওঠেন, না হলে ওঠবেন না। আমরা যেন তাদের কাছে অসহায়। তাদের ধরার কেউ যেন নেই।
শরীয়তপুরের জাজিরা ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় বজ্রপাতে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (০৬ মে) দুপুরে বৃষ্টির সময় হঠাৎ বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃতরা হলেন- জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পাইনপাড়া এলাকার আলতু মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৬) ও উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষণিক নিহতের নাম জানাতে পারেনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লিমা। এছাড়া ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামের নেছার উদ্দিন মাঝির স্ত্রী কুলসুম বেগম (৩৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির মধ্যে মায়ের খোঁজ করতে গিয়েছিলেন আমেনা বেগম। ফসলি মাঠের মধ্য দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মাকে খুঁজছিলেন তিনি। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের আঘাতে মারা যান আমেনা বেগম। স্থানীয় জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আমেনা বেগমের। তার দুই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শরীফুল আলম বলেন, বজ্রপাতে এক নারীর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তারা এসে প্রতিবেদন দিলে বিস্তারিত বলা যাবে।
অন্যদিকে জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এলাকায় হঠাৎ বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় কাজ করতে ছিলেন এক নির্মাণ শ্রমিক। এ সময় বজ্রপাতে আঘাতে তার মৃত্যু হয়। তার বাড়ি নীলফামারী জেলায়। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া ইসলাম লিমা।
এছাড়াও জেলার ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার চরসেনসাস ইউনিয়নের বেড়াচাক্কি গ্রামে সয়াবিন ক্ষেতে কাজ করছিলেন নেছার উদ্দিন মাঝি। দুপুরে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম স্বামীর জন্য দুপুরের খাবার ভাত নিয়ে গিয়েছিলেন সয়াবিন ক্ষেতে। এ সময় হঠাৎ করেই ঝড়সহ বজ্রপাত শুরু হলে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম মারা যান।
চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিএম আনোয়ার হোসেন বলেন, দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে কুলসুম বেগম নামে এক কৃষাণীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আমি মর্মাহত। এই সময়ে সারাদেশে ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়েছে। সকলের সতর্ক থাকা উচিত।
চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেই: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
আপাতত সরকারি চাকরিতে বয়সসীমা বাড়ানোর কোনো সিদ্ধান্ত সরকারের নেই। তবে আগামীতে চাকরিতে বয়সসীমা বাড়াব কী-বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা, এটি আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়ে আরো আলাপ-আলোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সোমবার (০৬ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে পৃথক দুটি সম্পূরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠিত হয়। এসময় সম্পূরক প্রশ্নে চাঁদপুর-৫ আসনের রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম ও সংরক্ষিত আসনের এমপি ফরিদা ইয়াসমিন চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে কিনা তা জানতে চান।
রফিকুল ইসলাম তার প্রশ্নে বলেন, সরকারি চাকরিতে যোগদানের যে বয়সসীমা রয়েছে তা অনেক আগে নির্ধারণ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে আমাদের দেশের মানুষের আয়ুষ্কাল ৬২ বছর থেকে ৭২ বছরে এসে পৌঁছেছে। এখন এটা অত্যন্ত যৌক্তিক হবে- সরকারি চাকরিতে যোগদানের বর্তমান বয়সসীমা শিথিল করে অন্তত ৩৫ বছরের কাছে নিয়ে যান। এটা হলে কর্মসংস্থানের অভাবে আমাদের হতাশাগ্রস্ত তরুণ ও যুব সমাজ প্রতিযোগিতায় এসে সরকারি চাকরিতে ঢুকতে পারবে। আমি সরকারকে অনুরোধ করব, বয়সসীমা শিথিল করার সময় এসেছে। সরকারি চাকরিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টির সময় হয়েছে। আমাদের ‘না’ একটা মনোভাব রয়েছে- এটা থেকে বেরিয়ে ‘হ্যাঁ’-তে চলে আসতে হবে।
জবাবে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, গত ১৫ বছরে সরকার অনেক যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। চাকরির বয়স ছিল ২৭ বছর, সেখান থেকে বাড়িয়ে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য সেটা ৩২ বছর করা হয়েছে। চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়েছে। আমরা সবসময় যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনবল কাঠামো ও নিয়োগ প্রক্রিয়া আধুনিকায়ন করে থাকি। যুগের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে আমরা পরিবর্তনও করে থাকি।
চাকরিতে প্রবেশ ও বেরিয়ে যাওয়ার (অবসর) বয়সটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকারি চাকরি ঘিরে এখন বেশ আকর্ষণ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অত্যন্ত মেধাবীরা ক্যাডার সার্ভিসে যোগদান করছেন। সরকারি চাকরির পরিবেশ থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো নতুন প্রজন্মের কাছে বড় আকর্ষণ তৈরি করেছে। সরকারের কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ততা একটি সম্মানের বিষয়। আবার চাকরির নিরাপত্তা থেকে শুরু করে বেতন কাঠামো অত্যন্ত সুন্দর এবং কাজের পরিবেশও সুন্দর হয়েছে।
বয়স বাড়ানো প্রশ্নে তিনি বলেন, এটি নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। আমরা সবসময় বলে আসছি, ফ্রেশ গ্র্যাজুয়েট যারা তাদের রিক্রুট করতে চাই। এটা সরকারের একটা পলিসি। আমরা বিসিএস-এর মাধ্যমে দেখে থাকি ২২/২৩ বছর বয়স থেকেই তারা বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকেন। তারা ৬/৭ বছর সময় পেয়ে থাকেন। এজন্য তারা যোগদানের যথেষ্ট সময় পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি সংসদে জানিয়েছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা সবসময় যুগের প্রয়োজনে নতুন যেটা করলে ভালো হবে সেটা চিন্তা-ভাবনা করে থাকি। তবে আমি মনে করি, এটা নীতিগত সিদ্ধান্ত। আমরা চাকরির বয়স-আগামীতে বাড়াব কী বাড়াব না, বাড়ালে ভালো হবে কিনা?— এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। এটা নিয়ে ভবিষ্যতে আরও আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে আমরা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।
সংরক্ষিত আসনের ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, চাকরির বয়স ৩৫ বছর করার জন্য শিক্ষামন্ত্রী একটি আধাসরকারি পত্র (ডিও লেটার) দিয়েছেন। সরকারের এটা নিয়ে কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা?
জবাবে মন্ত্রী বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর কাছ থেকে এ ধরনের একটি পত্র আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। আগেই বলেছি এটা আমাদের নীতিগত সিদ্ধান্তের বিষয়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আরও আলাপ-আলোচনা করব। তবে আপাতত চাকরির প্রবেশের বয়স বাড়ানোর ক্ষেত্রে আমাদের সিদ্ধান্ত নেই। এটা নিয়ে আরও আলোচনা-পর্যালোচনা করে ভবিষ্যতে দেখব।
সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ সাঈদ খোকনের
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
জাতীয়
ঢাকা শহরে সিটি টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের সুপারিশ করেছেন ঢাকা-৬ আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
সোমবার (৬ মে) জাতীয় সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় বৈঠকে এই সুপারিশ করেন তিনি।
বৈঠকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি এবং হয়রানির চিত্র তুলে ধরেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
তিনি বলেন, ঢাকা শহরে সিটি টোলের নামে চাঁদাবাজি চলছে। এ চাঁদাবাজদের কবল থেকে রিকশাচালকরাও রক্ষা পাচ্ছেন না। শিক্ষার্থীরা স্কুল ব্যাগ নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাওয়া-আসার সময়ও রিকশা থামিয়ে চাঁদা আদায় করা হয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে দেশের উন্নয়ন প্রশ্নবিদ্ধ হওয়াসহ জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই সিটি টোল আদায় বন্ধের উদ্যোগ গ্রহণে সুপারিশ করেন মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
এর আগে বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির প্রথম বৈঠকের কার্যবিবরণী অনুমোদন করা হয়।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন।
এ ছাড়া বৈঠকে কমিটি সদস্য ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. আবদুল ওয়াদুদ, সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্, মো. ছানোয়ার হোসেন, মো. মতিয়ার রহমান, মোহাম্মদ আলী এবং ফরিদা খানম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।