উন্নয়নশীল আটটি দেশের জোট বা ডি-৮ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষিপ্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য একটি ‘বহুদেশীয় সমন্বিত প্রকল্প’ নিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে।
যার মাধ্যমে ডি-৮ভুক্ত এসব দেশে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় উন্নত কৃষিপ্রযুক্তি বিষয়ে যৌথ গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলে (বিএআরসি) কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত দুই দিনব্যাপী কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা শীর্ষক ৭ম ডি-৮ মন্ত্রীপর্যায়ের ভার্চুয়াল মিটিংয়ের শেষ দিনে আট দেশের কৃষিমন্ত্রীরা এ প্রস্তাব এবং ঢাকা ইনিসিয়েটিভ অনুমোদন করেন।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা যেমন, আইডিবি, এফএও, ইরি, ইফাদ প্রভৃতি থেকে আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন ও পরিচালিত হবে। খুব শিগগির এই প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
ড. রাজ্জাক আরও বলেন, ডি-৮ দেশসমূহে ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উন্নয়ন খুবই জরুরি। বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের মধ্যে এটি খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে। ডি-৮ভুক্ত দেশসমূহের কৃষিখাত ২৬% মানুষের কর্মসংস্থান করে থাকে আর জিডিপিতে অবদান প্রায় ১৩.৫০%। এছাড়া, এ জোটের দেশগুলোতে ৬০% মানুষ গ্রামে বসবাস করে এবং তারা মূলত কৃষির উপর নির্ভরশীল। কাজেই, আজকের ঢাকা ইনিসিয়েটিভ ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তির উদ্ভাবন, বিনিময় এবং খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় ডি-৮ এর মহাসচিব ইসিয়াকা আব্দুল কাদির ইমাম, ইন্দোনেশিয়ার কৃষিমন্ত্রী সাইয়ারুল ইয়াসিন লিম্পু, ইরানের কৃষিমন্ত্রী সৈয়দ জেএস নেজাদ, মালয়েশিয়ার কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রী রোনাল্ড কিয়ান্দি, পাকিস্তানের ফেডারেল মন্ত্রী সৈয়দ ফখর ইমাম, তুরস্কের পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী আকিফ ওজকাল্ডি, নাইজেরিয়ার কৃষি ও গ্রামীণ উন্নয়ন ফেডারেল মন্ত্রী মো. মাহমুদ আবুবকর এবং মিশরের এআরসির শিরীন আসেম কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যা, সম্ভাবনা, করণীয় ও সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
সভায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের সদস্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো. রুহুল আমিন তালুকদার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, এফএও, ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক, আইএফএডি, ইরি ও সিমিটের প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।