বার্তা২৪.কম-কে কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায়
‘কৃষি কাজ থেকে কৃষকরা সরে এলে মুশকিল হবে’
নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তা অটুট রয়েছে। গত দুই বছর কোন ধান আমদানির প্রয়োজন পড়েনি। খাদ্যনিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে কারণ কৃষকরা সব চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে চাষাবাদটা এখনও করে যাচ্ছেন। কিন্তু উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য না পাওয়াসহ অন্যান্য কারণে কৃষকরা যদি কৃষি কাজ থেকে সরে আসেন তাহলে মুশকিল হবে।
বার্তা২৪.কম-কে এসব কথা বলেছেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন সংস্থা কৃষি তথ্য সার্ভিসের পরিচালক কৃষিবিদ ড. সুরজিত সাহা রায়।
এই কৃষিবিদ মনে করেন, বাংলাদেশে কৃষি গবেষণা ও সম্প্রসারণে ব্যাপক প্রচেষ্টা নেওয়ায় উল্লেখযোগ্য অর্জনে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা নিয়ে এখন যথেষ্ট আশাবাদী হওয়ার জায়গা তৈরি হয়েছে। কিন্তু কৃষি পণ্যের বিপণনে কাঙ্খিত সাফল্য এখনও আসেনি। যার ফলে কৃষি খাতের প্রধান অংশীজন কৃষকরা তাঁর কষ্টার্জিত কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তবে গবেষণার মাধ্যমে এই অচলায়তন থেকে বের হওয়ার উপায় বের করা গেলে সংকট নিরসন সম্ভব বলেও মনে করেন তিনি।
চলমান তীব্র তাপপ্রবাহে কৃষি উৎপাদনে কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর মাঠ পর্যায়ের কৃষিকর্মীদের সক্রিয় রাখার সঙ্গে স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও এ সংক্রান্ত ভিডিও বার্তা ও লিফলেট প্রচার করা হচ্ছে, জানান এই কৃষিবিদ।
ড. সুরজিত সাহা রায়ের সঙ্গে কথা বলেছেন বার্তা২৪.কম’র পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম।
বার্তা২৪.কম: বোরোর ফলন কতটা ঘরে উঠেছে কৃষকের?
ড. সুরজিত সাহা রায়: নীচু অঞ্চল, যেমন ধরুন-হাওরাঞ্চল, সেখানে মোটামুটি কাটা শেষ। এ সপ্তাহে পুরোপুারই শেষ হয়ে যাবে। এমনকি, বাংলাদেশের চলনবিল বা অন্য নীচু এলাকা যেগুলো আছে-সেখানে কাটা হয়ে যাবে এরই মধ্যে। শুধু উত্তরবঙ্গে কিছুটা থাকবে। সেখানে ধান একটু পরে লাগায়, আলু তোলার পর। আর খুলনা ও বরিশাল অঞ্চল, যেখানে ঘেরের মধ্যে চাষ করে, তারা আগাম ধান লাগায় আবার আগামই কেটে ফেলে। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, আগামী ২ তারিখের মধ্যে নীচু এলাকার (২ মে ২০২৪) সব ধান কেটে ফেলতে। কাটা প্রায় শেষ। কারণ ইতিমধ্যেই আমরা বৃষ্টির পূর্বাভাস পেয়েছি। সেই বৃষ্টিতে বন্যারও আশঙ্কা করছি।
বার্তা২৪.কম: এবারের তাপদাহ নিয়ে কথা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলেছেন, বাংলাদেশ বা এই অঞ্চলের দেশসমূহের জন্য এটি নতুন নয়। কৃষিতে এর প্রভাব কতটা?
ড. সুরজিত সাহা রায়: দীর্ঘ ৭৬ বছর পরে এত লম্বা সময় ধরে তীব্র তাপদাহ যাচ্ছে। পূর্বে যেটা হয়েছে-দুই দিন বা তিন দিন থেকেছে। আবার একটি বৃষ্টি হয়ে গেছে। আবার তাপ বেড়েছে। এতে করে গাছের ক্ষতিটা হয়নি। যেমন-আম ও লিচুর মুকুল আছে। এই তাপদাহে এর ক্ষতি হচ্ছে। আউস ধানের সমস্যা, পাটের সমস্যা-কিছুটা তো হচ্ছেই। তাপমাত্রা যখন ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করে তখন গাছেরও ফিজিওলজিক্যাল এক্টিভিটি স্টপ হয়ে যায়।
বার্তা২৪.কম: আমরা তো এখন আম রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হয়েছি। আমের ফলনে এই তাপদাহ কতটা প্রভাব পড়বে?
ড. সুরজিত সাহা রায়: এখন পর্যন্ত যা জানতে পারছি, খুব বেশি একটা প্রভাব পড়বে না। তবে আপনি জানেন যে, হাই টেম্পারেচার হলে পানি বার বার গাছের গোড়ায় দিতে হয়। পানি দিয়ে গাছের গোড়ায় ধরে রাখাটা খুব কঠিন। কৃষকরা মালচিং (আবর্জনা দিয়ে) দিয়ে চেষ্টা করছে যেন পানিটা থাকে। আর মাটির গোড়ায় পানি না থাকলে খাবার তুলতে পারবে না। তা না হলে আমও পুষ্ট হবে না। অন্যদিকে হাই টেম্পারেচার ফল পাকার জন্য খুব ভালো।
বার্তা২৪.কম: উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কৃষকদের জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বিশেষ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কিনা?
ড. সুরজিত সাহা রায়: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতিমধ্যেই বেশ কিছু পদেক্ষপ নিয়েছে। মাননীয় মহাপরিচালকের দিকনির্দেশনায় প্রতিদিনই এ নিয়ে আমরা কাজ করছি। কৃষকদের জরুরি পরামর্শ ও দিকনির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের কর্মীরা এবিষয়ে সচেষ্ট আছেন। আপনি জানেন, এখন তথ্যপ্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগ। কৃষকরা যাতে সচেতন হতে পারেন এবং করণীয় ঠিক করতে পারেন, সেজন্য আমরা নিয়মিত প্রত্যক্ষ পরামর্শ প্রদানের পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে পরামর্শ সম্বলিত ছোট ভিডিওবার্তা, লিফলেট প্রচার করছি। এতে কৃষকরা দ্রুত মেসেজটা পেয়ে যাচ্ছে। আমাদের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মাঠে যাচ্ছেন নিয়মিত। কে যে কোন মাধ্যমে দেখবে বা শুনবে তা বলা কঠিন, সেজন্য আমরা সবগুলো মাধ্যমেই তথ্য ও কৃষি পরামর্শ ছড়িয়ে দিচ্ছি।
বার্তা২৪.কম: এবারের বৈরি আবহাওয়া সত্ত্বেও কৃষি উৎপাদনের সামগ্রিক অবস্থা কেমন মনে হচ্ছে?
ড. সুরজিত সাহা রায়: এখানে দু’ধরণের বাস্তবতা আছে। যেমন-আমরা গরমে পুড়ছি কিন্তু যাঁরা ধান চাষী তারা খুবই সন্তুষ্ট। কারণ হচ্ছে-তারা নিরাপদে ধানটা ঘরে তুলতে পারছেন। তারাও (কৃষকরা) আশা করছে, আরও ক’দিন পর যেন বৃষ্টিটা হয়। হাওরাঞ্চলে এখন তারা সুন্দর করে ধানগুলো কেটে ঘরে তুলছে। দামও পাচ্ছে ভালো। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে অতিরিক্ত খরার কারণে সেচ দিয়ে কুলাতে পারছে না। সরকারও বোরো আবাদকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিদ্যুত সরবরাহ করছে। জেনে থাকবেন, গত দু’বছর এক ছটাক ধানও আমরা বাইরে থেকে কিনি নাই। এত খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেও ধান কিনি নাই। আগামীতেও যাতে কিনতে না হয়, পারি যদি কিছু রপ্তানিও যাতে করা যায় আমরা সেই চেষ্টা করছি। এটা একটা ভালো অর্জন।
বার্ত২৪.কম: তার মানে বৈশ্বিক সংকটের মাঝেও আমাদের খাদ্য নিরাপত্তা অটুট আছে?
ড. সুরজিত সাহা রায়: নিশ্চিতভাবেই বলা যাবে। তবে আপনি বলতে পারেন, দামটা বেড়ে গেছে। দাম বাড়ার ক্ষেত্রে কর্পোরেটগুলো বেশি ঝামেলা করছে বলেই মনে হচ্ছে। আমি আজ ৬৮ টাকা কেজিতে উস্তে কিনলাম। অথচ কৃষক ১৫ টাকায়ও বিক্রি করতে পারেন না। ধানের মূল্যের ক্ষেত্রেও যে ডেভিয়েশনটা হয়-কৃষক থেকে ভোক্তা পর্যায়ে-আমি মনে করি মার্কেটিং বিভাগের এ নিয়ে প্রচুর কাজ করা প্রয়োজন। সিন্ডিকেটটাও ভাঙা প্রায়োজন।
বার্ত২৪.কম: মূল্যবৃদ্ধির এই যে শুভঙ্করের ফাঁকি, বিশেষ করে কৃষক তাঁর ন্যায্য দাম পান না কিন্তু ভোক্তা ঠিকই উচ্চমূল্যে কিনছেন। এই অচলায়তন কি কোন দিন ভাঙবে না?
ড. সুরজিত সাহা রায়: চেষ্টা চলছে। সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারেও এটা বড় অগ্রাধিকার-দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা। কিছু মধ্যস্বত্ত্বভোগী ফায়দা লুটে, কোনভাবেই এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। সংশ্লিষ্টরা খুব জোর দিতে বলেন অনেক সময়, কিছু কাজ হচ্ছে। আমি মনে করি, এনিয়ে গবেষণারও প্রয়োজন আছে। এই অচলায়তন ভাঙতে শক্ত হাতেরও প্রয়োজন। কৃষক সমিতিগুলো, সমবায়গুলো-একটা ভালো ভূমিকা রাখতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উৎপাদনের ভূমিকা উৎপাদন পর্যন্তই সীমিত। মার্কেটিংয়ের বিষয়গুলো দেখে অন্য বিভাগ। আমরা জড়িত না থাকলেও যেহেতু কৃষকরা আমাদের প্রধান অংশীদার, তাই চেষ্টা করি দায়িত্বের বাইরে গিয়েও কিছু ভূমিকা রাখার। জেনে থাকবেন, করোনাকালে-আমরা ম্যাঙ্গু ট্রেন চালু করেছিলাম, ক্যাটল ট্রেন চালু করা হয়েছিল। দিনাজপুর থেকে হাওরে কৃষি শ্রমিক পাঠানোর ব্যবস্থাও আমরা করেছি, তখন সব যান চলাচল বন্ধ ছিল। যদিও অন্য বিভাগের দায়িত্ব ছিল, কিন্তু আমরা আওতার বাইরে গিয়েও তা করেছিলাম কৃষকের স্বার্থে। বিশে^র উন্নত দেশগুলো সতর্ক করে বলেছিল, খাদ্যাভাব তৈরি হতে পারে। মানুষ না খেয়ে মারা যেতে পারে। সেটাও আমরা সফলভাবে মোকাবেলা করেছি। খাদ্যনিরাপত্তা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে কারণ কৃষকরা সব চ্যালেঞ্জ উপেক্ষা করে চাষাবাদটা করেছেন। কৃষকরা যাতে তাদের কাজ থেকে সরে না আসে সেটাই আমরা চেষ্টা করছি। তাঁরা সরে এলে মুশকিল হবে।
বার্তা২৪.কম: বাণিজ্যিক কৃষি কি কোনো হুমকি তৈরি করছে?
ড. সুরজিত সাহা রায়: বাণিজ্যিক কৃষি, ইমপোর্ট সাবস্টিটিউট কৃষি বা এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড কৃষিও এখন সম্প্রসারিত হচ্ছে। তবে সাধারণ কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় মার্কেটিংয়েই আমাদের এখন নজর দিতে হবে। যেমন ধরুন-এবার সরিষার দাম পড়ে গেছে। দাম না পেলে কৃষকরা আর করতে চান না। সরিষার তেলটা ভোক্তারা এখনও এডিবল ওয়েল হিসবে নিতে পারিনি। এখনও আমরা এই তেলটা বিভিন্ন ভর্তা খাওয়ার মধ্যেই ব্যবহার সীমিত রেখেছি। যদিও এই তেলটা পরিমাণে কম লাগে। এর উপহার হলো, এই তেল পরিমাণে কম লাগে আবার ট্রান্সফ্যাট নেই-এতে ফ্যাটি লিভার, লিভার পাথর বা মুটিয়ে যাওয়া থেকে আমরা বাঁচতে পারি।
বার্তা২৪.কম: এই সময়ের কৃষির আর কি চ্যালেঞ্জ দেখছেন?
ড. সুরজিত সাহা রায়: বর্ধিষ্ণু জনসংখ্যা এক্ষেত্রে বড় সংকট। জমির পরিমাণ কম এবং ক্রমাগত কমছে। এই পরিস্থিতি কৃষি উৎপাদনে বড় চ্যালেঞ্জ। অনেকটা ‘মাথা ঢাকলে পা বেরিয়ে যায় আর পা ঢাকলে মাথা’ এ রকম ব্যাপার। আমরা যদি কাছাকাছি দেশের পতিত জমি দীর্ঘ মেয়াদে লিজ নিয়ে চাষাবাদ করতে পারি সেটাও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নতুন সমাধান হতে পারে। প্রতিবেশী ভারতের আসামে প্রচুর পতিত জমি আছে। আমাদের পাহাড়ে যদিও অনেক অনাবাদী জমি আছে, কিন্তু সেখানে চাষাবাদে চ্যালেঞ্জও রয়েছে। আপনি জানেন, কৃষিটা প্রকৃতিনির্ভর। তারপরও আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যেভাবে নতুন জাত উন্নয়ন করছে, আমরা তা সম্প্রসারণ করছি, কৃষকের মাঠে নিয়ে যাচ্ছি-তাতে একটি ভালো অর্জন আসছে। বিশেষ করে ধান উৎপাদনে লবনাক্ততা একটি বড় সংকট ছিল দক্ষিণাঞ্চলে।
কিন্তু আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকগুলো জাত, যেমন ব্রি ধান৯৭, ব্রি ধান৯৮ ও ব্রি ধান৬৭-এই তিনটি জাত বিরাট বিপ্লব নিয়ে এসেছে। কৃষকরা ব্রি ধান২৮ ও ব্রি ধান২৯ চাষ করতো; আমরা এগুলো চাষে নিরুৎসাহিত করেছি। এবার সুবিধা হয়েছে-এগুলোর ফলনও ভালো, আগাম কাটাও সম্ভব। তারপরও এবার কিন্তু ব্রি ধান২৮ এ ব্লাস্টের আক্রমণটা হয়নি, কারণ বৃষ্টিটা একটু আগে হয়ে গেছে-ধানের থোর বেরুনোর আগে হয়েছে। ফুল বেরুনোর পর যদি বৃষ্টি হতো তাহলে ফলন বিপর্যয় হতো। যার ফলে ব্লাস্টের জীবাণুটা প্রথম বৃষ্টিতে মাটিতে পড়ে যায়, মাটিতে পড়ার সময় যদি সে ধানের শীষ পায় তাহলে শীষটা নষ্ট হয়ে যাবে। এবার শীষ বেরুনোর আগেই বৃষ্টি হয়ে গেছে। সব পড়েছে মাটিতে বা পাতায়, তাই তেমন ক্ষতি করতে পারেনি। এজন্য ধানের ফলন বেশ ভালো। একটু লস হচ্ছে, টেম্পারেচার যদি হাই হয় একে আমরা বলি রেসপারেশন লস, এতে ক্ষতি যেটা হয়েছে তা উল্লেখযোগ্য নয়। আবার তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ধান আগে পেকেছে।
আবহাওয়ার যে পূর্বাভাস তাতে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে ধানটা উঠে যাবে। অন্যান্য ফসলের বিশেষ কোনো ক্ষতি হবে না। প্রযুক্তি এখন অনেক আছে। কৃষকরা যদি প্রযুক্তিগুলো অনুসরণ করেন তাহলে আম ও লিচুর ক্ষতিটা পুষিয়ে নিতে পারবে। হয়তো দামটা একটু বেড়ে যাবে। যদিও এখনকার কৃষকরা খরচে খুব একটা কার্পণ্য করেন না। কারণ মার্কেট এখন খারাপ না। আমরা চাই কৃষক যাতে ন্যায্য দাম পায় এবং ভোক্তাও যাতে ন্যায্য দামে কিনতে পারেন। মাঝের মধ্যসত্ত্বভোগীর দৌরাত্ম যেন কমানো যায়।