দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের অন্যতম প্রবেশদ্বার রাজবাড়ীর গোয়ালন্দের দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে রাত যত বাড়ছে ততই দীর্ঘ হচ্ছে বাস ও ট্রাকের সারি। সন্ধ্যার পর থেকেই ঘাট এলাকায় বাসের চাপ বাড়তে শুরু করেছে। পণ্যবাহী ট্রাকের পাশাপাশি ঘণ্টার পর ঘণ্টা এখন নদী পারের অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাসগুলোকে।
এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা বেশি সমস্যায় পড়ছেন। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে জেলা পুলিশ ঘাট এলাকায় বিশেষ নজরদারি জোড়দার করেছে।
শুক্রবার (১২ জুলাই) রাত ৮টায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া ১নং ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দুই শতাধিক বাস নদী পারের অপেক্ষায় রয়েছে। আর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার পর্যন্ত অপেক্ষা করছে সহস্রাধিক পণ্যবাহী ট্রাক। তাছাড়া টার্মিনালে রয়েছে আরো শতাধিক ট্রাক।
ঘাট কর্তৃপক্ষ বলছে, রাত ১০টার পর থেকে যাত্রীবাহী নৈশকোচের চাপ আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সকালের মধ্যেই বাসগুলোর চাপ থাকবে না।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রনি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, নদীতে স্রোতের তীব্র বেগ আর বাতাসের কারণে ফেরিগুলো নদী পার হতে সাধারণ সময়ের চেয়ে দ্বিগুণ সময় নিচ্ছে। ফলে ফেরিগুলোর ট্রিপ কমে গেছে এবং ঘাটে বাড়তি যানবাহনের চাপ পড়ছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাসগুলোকে নদী পার করায় বিকাল পর্যন্ত ঘাটে বাসের কোনো চাপ ছিল না। সন্ধ্যার পর থেকে বাসের চাপ বাড়ছে।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘাটের সার্বিক পরিস্থিতি আমাদের নজরে রয়েছে। যেহেতু ঘাটে বাস ও ট্রাকের কিছুটা চাপ রয়েছে সেহেতু যাত্রীদের জানমালের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ঘাট এলাকায় পুলিশ টহল জোড়দার করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক দিলসাদ বেগম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ঘাটে যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খালা এবং অনিয়ম না হয়, সে ব্যাপারে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দৌলতদিয়ায় নদী পারের অপেক্ষায় হাজারো ট্রাক
আরও পড়ুন: পাটুরিয়া ফেরিঘাটে বাড়ছে যানবাহনের চাপ