২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে মাদারীপুরের শিবচরের চরাঞ্চলে পদ্মা নদীর ভাঙন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। ইতোমধ্যে নদী ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট প্রাথমিক স্কুল ভবনসহ তিনটি ইউনিয়নের একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক, ফসলি জমি ও বসতবাড়ি।
এ নিয়ে গত ৩ দিনের ব্যবধানে চরাঞ্চলের ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবন নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও গত কয়েক দিনের ভাঙনে দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে, ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে পাঁচটি স্কুল, তিনটি হাট বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ সহস্রাধিক ঘরবাড়ি।
জানা যায়, গত ২/৩ দিনে পদ্মা নদীতে অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধি পেয়ে শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের বন্দরখোলা, চরজানাজাত, কাঠালবাড়ি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এছাড়াও উপজেলার সন্নাসীচর ও শিরুয়াইল নদী ভাঙন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে নদী ভাঙন আগ্রাসী রূপ নিয়ে উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি এক পাশ পানিতে তলিয়ে যায়। ভাঙনে স্কুলটি সম্পূর্ণ নদীতে হেলে পড়েছে।
আরও পড়ুন: শিবচরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শতাধিক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আক্কাস আলী বলেন, বিদ্যালয়টিতে ৭৬০ জন ছাত্র ছাত্রী পড়ালেখা করতো। নদী গর্ভে চলে যাওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের পড়ালেখা ব্যাহত হচ্ছে। তবে আমরা চেষ্টা করছি এক সপ্তাহের মধ্যে এলাকার অন্য একটি চরে একটি ছাপড়া তুলে ক্লাস শুরু করার।
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে দীর্ঘ দিন যাতে পড়াশুনা ব্যাহত না হয় আমরা সে ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেব।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. আল নোমান বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে ভাঙন ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। আমরা নিয়মিত ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। আজ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। খুব শিগগিরই শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা জরুরি পদক্ষেপ নেবো। তবে ভাঙন রোধে উপজেলা ও জেলা প্রশাসন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।