শিবচরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ শতাধিক ঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন
পদ্মায় অস্বাভাবিকহারে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার চরাঞ্চলের হাসপাতালসহ শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে ৫টি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, হাসপাতালসহ বহু স্থাপনা ও ফসলি জমি।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শিবচর উপজেলার চরজানাজাত, কাঁঠালবাড়ি ও বন্দরখোলা এই ৩টি ইউনিয়নে ব্যাপক নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। নদীর স্রোতের তোড়ে ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বিদ্যালয়টি।
গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকায় প্রায় দেড় থেকে দুইশত মিটার জায়গা নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটি।
এদিকে, ভাঙন মুখে রয়েছে উপজেলার আরও ৩টি স্কুল, ২টি স্বাস্থ্য কেন্দ্র-কমিউনিটি ক্লিনিক, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন হাটবাজারসহ ৩ ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা, হাজারো বসত বাড়ি। এছাড়া উপজেলার আড়িয়াল খা নদীর তীরবর্তী সন্নাসীরচর ও শিরুয়াইল ইউনিয়ন দুটিও আড়িয়াল খার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টাসহ কয়েক দিনের অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধি ও তীব্র স্রোতের কারণে নদী ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ফলে মঙ্গলবার দুপুরে ভাঙনের ব্যাপকতা বেড়ে চরাঞ্চলের দ্বিতল বিশিষ্ট কাঠালবাড়ি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনটির অধিকাংশ বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনে চরাঞ্চলের ৩ ইউনিয়নের শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভাঙন কবলিতরা ঘর বাড়ি নিয়ে অন্যত্র সরে যাচ্ছে। বর্তমানে ঝুঁকিতে রয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ।
কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নোয়াব বেপারী জানান, প্রায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছে। বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে গেলে এলাকার কোমলমতী শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে। দ্রুত নদী ভাঙন রোধে পদক্ষেপ না নিলে আমাদের চরাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
এ ব্যাপারে শিবচর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, যেকোন মুহূর্তে বিদ্যালয়টি নদীগর্ভে চলে যেতে পারে। জরুরি ভিত্তিতে নিলামে বিক্রির ব্যবস্থা করা হবে।
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) মো. আল নোমান বলেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় কয়েকদিন ধরে পদ্মা নদীতে ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। আমরা ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। পানি উন্নয়ন বোর্ড বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা চালাচ্ছে।