ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফেরেননি বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক (এডি) আবজাউল আলম। তিনি কোথায় অবস্থান করছেন তাও বলতে পারেন না পাসপোর্ট অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তা কর্মচারীগণ।
এদিকে সহকারী পরিচালক না থাকায় অফিসে বিতরণের অপেক্ষায় পড়ে আছে চার শতাধিক পাসপোর্ট। পাসপোর্ট নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন অনেকেই।আবার কেউ কেউ সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষর ছাড়াই পাসপোর্ট নিয়ে যাচ্ছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে এই চিত্র দেখা গেছে।
বগুড়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সুপারিন্টেন্ডেন্ট শহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, সহকারী পরিচালক আবজাউল আলমের চারদিনের ছুটি বুধবার (১৮ মার্চ) শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার তিনি অফিসে আসেননি। এমনকি তার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনও বন্ধ। তিনি নিজেও অফিসে কোন যোগাযোগ করছেন না।
আরও পড়ুন : বাংলাদেশের জাল পাসপোর্টে সৌদিতে ভারতের ‘জঙ্গি’ হাফিজ!
এদিকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত নতুন পাসপোর্টের আবেদন জমা পড়েছে দুই শতাধিক। আর পাসপোর্টের বই এসেছে চার শতাধিক। তিনি পাসপোর্টের নতুন বই নিতে আসাদের মধ্যে হজ্বে যাবেন এমন সংখ্যাই বেশি। তাদের হজ্বের টাকা জমা দেয়ার সময়সীমার কারণে সহকারী পরিচালকের স্বাক্ষর ছাড়াই পাসপোর্ট নিয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন : বগুড়া পাসপোর্ট অফিসের এডি ‘নিরুদ্দেশ’
সহকারী পরিচালক আবজাউল আলম ২০১৭ সালে রাজশাহীতে কর্মরত থাকাকালে ভারতীয় নাগরিক হাফিজ আহমেদকে বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে পাসপোর্ট দিয়ে সৌদি পাঠান। এ ঘটনায় গত ১২ মার্চ রাজশাহীতে আবজাউল আলমসহ ৮ জনের নামে মামলা করে দুদক। ওইদিন থেকেই ছুটির আবেদন দিয়ে বগুড়া অফিস থেকে নিরুদ্দেশ হন তিনি।