মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জনতার ঢল নেমেছে একুশের বইমেলায়। পড়ন্ত বিকেলে দর্শনার্থী ও বইপ্রেমী মানুষের ভিড়ে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলার স্টলগুলোর কর্মীরা বলেছেন, বইয়ের বেচাকেনাও আজকে ভালো হচ্ছে। তবে মেলায় আগত মানুষের তুলনায় সেরকম না।
বিকেলের দিকে দেখা গেছে, পাঠক, লেখক, দর্শনার্থীমুখর বইমেলা প্রাঙ্গণ। শহীদ মিনার থেকে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মানুষ ছুটে এসেছে বইমেলায়। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, মৎসভবন, নীলক্ষেত থেকে বইমেলা একাকার হয়ে গেছে মানুষে। এ সময় মাস্ক পরা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি ছিল উপেক্ষিত।
বই মেলায় তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। মেলায় এসেছে শিশুরাও। নারী-পুরুষের সাদা-কালো পোশাকে শোকের আবহ। মাথায় ফুলের টায়রা পরা নারী-শিশুরা ঘুরে বেড়াচ্ছে মেলায়। একুশের সাজে সজ্জিত প্রায় সবাই। কারো কারো পোশাকে বর্ণমালা লেখা বাহারি কাপড়। মেলায় অনেকে এসেছেন সপরিবারে। কেউ বই কিনছেন, কেউ কেউ পাল্টিয়ে দেখে সরে যাচ্ছেন।
রামপুরা থেকে পরিবার নিয়ে মেলায় এসেছেন মামুন রহমান। তিনি বলেন, চাকরির কারণে বইমেলায় আসার সময় হয় না। আমি সাধারণত একুশে ফেব্রুয়ারির দিন পরিবার পরিজন নিয়ে শহীদ মিনার হয়ে বই মেলায় আসার চেষ্টা করি।
মেলায় আসা শিক্ষার্থী নাজিম বলেন, আমি সব সময়ই মেলায় আসি। এ বছরও এসেছি একবার। আজকে একটু বেশি ভালো লাগছে।
বিকেলে বিভিন্ন বয়সী মানুষের পদচারণায় মেলা ও তার আশপাশস্থল ছিল বেশ জমজমাট। মেলায় কেউ বই কিনেছেন কেউ আবার শুধুই ঘুরে দেখেছেন। এছাড়াও আশপাশ জায়গা জুড়ে প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটাতেও দেখো দেছে।
মেলায় প্রবেশের প্রতিটি গেট ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। প্রবেশ ও বের হতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে মানুষকে। বই মেলা কর্তৃপক্ষ দর্শনার্থীদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার আহ্বান জানাচ্ছে। মেলা প্রাঙ্গণে স্বাস্থ্যবিধি মনিটরিং এর জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি দেখা গেছে।