বঙ্গবন্ধুর ভ্রমণ গ্রন্থ 'আমার দেখা নয়াচীন' ঐতিহাসিক দলিল রূপে বিবেচনার দাবি রাখে। কারণ, বইটিতে তৎকালীন নয়াচীনের আর্থ-সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাওয়া যায়। একজন রাজনৈতিক নেতার ভ্রমণালেখ্য যে এতো উচ্চমানের হতে পারে, বঙ্গবন্ধুর আগে এমন দৃষ্টান্ত বাংলা সাহিত্যে বিরল।
'আমার দেখা নয়াচীন' ও সমকালীন বাংলা ভ্রমণ সাহিত্য' শীর্ষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর লেকচার সিরিজ-এ বক্তারা এমন মন্তব্য করেন। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর লবিতে অনুষ্ঠিত লেকচার সিরিজ-এ সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রফেসর ও জাদুঘর এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদ। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নজরুল গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনােয়ার সাঈদ।
এতে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রফেসর ড. মুনতাসীর মামুন, বাংলা বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ মহীবুল আজিজ ও রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ।
বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর চিন্তা ও দর্শনের প্রতিফলন রয়েছে তাঁর বইগুলোতে। তিনি যে মানুষের কল্যাণে সর্বদা সচেতন ছিলেন, তারও প্রমাণ পাওয়া যায় তাঁর বইগুলো। বিশেষত, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর গভীর বোধের পরিচয় রয়েছে তাঁর আত্মজীবনী ও ভ্রমণ গ্রন্থে।
অনুষ্ঠান শেষে একক কবিতা পাঠ করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষক, কবি ও সাহিত্যিক প্রফেসর হোসাইন কবির।
উল্লেখ্য, এটি ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর লেকচার সিরিজ-এর তৃতীয় আয়োজন। প্রথম পর্বে 'মুঘল ইতিহাসের ট্র্যাজিক হিরো দারাশিকোহ' শীর্ষক বক্তৃতা করেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. মাহফুজ পারভেজ। 'ঔপনিবেশিক শিক্ষা ব্যবস্থা' বিষয়ক দ্বিতীয় বক্তৃতা করেন কথাশিল্পী প্রফেসর ড. মহীবুল আজিজ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর লেকচার সিরিজ-এ শিক্ষক, গবেষক, শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।