যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যে কলকাতায় বুদ্ধ পূর্ণিমা পালিত হয়েছে। বুদ্ধ পূর্ণিমার পুণ্যতিথিতে ছায়ানট (কলকাতা ) - এর শিল্পীরা কলকাতার দুটি শতাব্দী প্রাচীন বৌদ্ধমন্দির মহাবোধি সোসাইটি ও বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভায় তাঁদের অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব শান্তির বার্তা পৌঁছে দিলেন।
প্রথমে মহাবোধি সোসাইটিতে 'খুঁজি তারে আমি আপনায়' এবং পরবর্তীতে বৌদ্ধ ধর্মাঙ্কুর সভায় 'হে অনন্তপুণ্য' শীর্ষক দুটি আলেখ্য পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কাজী নজরুল ইসলামের রচনায় কিভাবে বুুদ্ধের প্রভাব বিস্তারলাভ করেছে তার একটা ধারণা পাওয়া যায় এই আলেখ্য দুটিতে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে', 'অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো , 'প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে', 'বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি', কাজী নজরুল ইসলামের 'আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন', 'অন্তরে তুমি আছো চিরদিন' ,'আত্মশক্তি'র মতো রচনাকে অবলম্বন করে তৈরি হয় এই আলেখ্য দুটি।
সমগ্র আলেখ্য দুটির পরিচালনায় ছিলেন ছায়ানট (কলকাতা)-এর সভাপতি, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সোমঋতা মল্লিক। ভাষ্যরচনা ও পাঠে ছিলেন শৌভিক শাসমল, সমবেত সঙ্গীত ও কবিতায় অংশগ্রহণ করেন দেবলীনা চৌধুরী, গোপা দাস মজুমদার, সোমা রায় বর্মন, দেবশ্রী চক্রবর্তী, গৌরী ধর, সোমা ঘোষাল, সুরূপা মল্লিক, সোমা বসু, মিতালী দাস, রাখী ব্যানার্জী।