কখনও কখনও মোহাম্মদপুরে গিয়ে থমকে পড়ে ভেবেছি,
মুঘল আমলটা এইভাবে পাশাপাশি সাজিয়ে রেখেছিল কবে!
শেরশাহ-সুরী’তে ভাজে মোগলাই তো বাবর রোডে কাবাব,
খানিকটা রহস্য আছে—আকবর সিংগল্ড্ আউট।
শৈশবে দেখা আকবরের মা’কে মনে পড়ে,
প্রকৃত আকবরের মা ছিলেন দারুণ ক্ষমতাময়ী—
হামিদা বানু বা হাজি বেগম কিন্তু আমাদের গ্রামের
আকবরের মা’র কোনই নাম আমরা জানতাম না,
হয়তো জানতো কেউ-কেউ।
বড় হয়ে বুঝেছি ক্ষমতা থাকাটাই সব নয়,
মুমতাজের ক্ষমতা বুঝেছিলেন শাহজাহান,
নুরজাহানের জাহাঙ্গীর এবং আমিনার নবাব সিরাজুদ্দৌলা,
আমরা বুঝি নি।
এত বিপুল সাম্রাজ্যের অধিশ্বরী তবু একা এক কোণে
একটি ঘোড়ার পিঠে চুপচাপ বসে রাজিয়া সুলতানা।
ভাবি, দুনিয়াকাঁপানো এত এত মরদের দল
অথচ নিভৃতে শব্দের হর্ম্য গড়ে তুললেন বেগম গুলবদন।
দাঁড়াই তাঁর মহলের সামনে,
খুলে যেতে থাকে নানা দরজা জানালা,
আলোকিত হতে থাকে কত রাস্তাঘাট,
দুনিয়া দৌড়াতে দৌড়াতে ক্লান্ত,
শেরশাহ’র তরবারির আওতা থেকে পালাতে পালাতে
নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল হুমায়ুনের।
আর তারই আপন বোনও নয়, সৎ বোন গুলবদন
অস্থির ভাইটাকে স্থির-কেন্দ্রীভূত করে রেখে গেলেন
ইতিহাসের স্থায়ী পৃষ্ঠায়!