হালুম-টুকটুকির সঙ্গে আনন্দে মেতেছে শিশুরা

, শিল্প-সাহিত্য

কানজুল কারাম কৌষিক, ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা | 2024-02-16 17:40:44

❝এসো পাশে বসো হেসে হেসে মজার দেশে ছুটে যাব সেথায় তুমি ভাবতে পারো ইচ্ছেমতো চাইতে পারো ইচ্ছেমতো ইচ্ছে যত। চলছে গাড়ি, সিসিমপুরে চলছে গাড়ি, সিসিমপুরে। আনন্দেতে মেতে ভেসে ভেসে যাই চলে মজার সিসিমপুরে, চলছে গাড়ি, সিসিমপুরে চলছে গাড়ি, সিসিমপুরে।❞

বইমেলায় বাজছে সিসিমপুরের থিম গান। বাবা-মায়ের হাত ধরে তাদের কাঁধে চড়ে শিশুরা গানের তালে তালে নেচে গেয়ে আনন্দ করছে। অপেক্ষা টুকটুকি, শিকু, ইকরি, হালুমদের দেখা পাওয়ার। বাংলা ও বাঙালির শিশুদের কাছে 'সিসিমপুর' শুধুই একটি কার্টুন। এটি শুধু অনুষ্ঠান নয়, এটা তাদের কাছে একটি আবেগ ও ভালবাসা। শুধু শিশুরাই নয় শিশুদের সঙ্গে অভিভাবকরাও মেতে উঠেছেন সিসিমপুরের গানে। তারাও স্মরণ করছেন তাদের সোনালী ছেলেবেলা।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণের শিশু-চত্বরে সরেজমিনে গিয়ে এই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।


শিশুদের অপেক্ষার বাঁধ ভেঙে একে একে দেখা দিল টুকটুকি, শিকু, ইকরি, হালুমসহ সকলেই। একদিকে শিশুদের প্রিয় চরিত্রগুলো মঞ্চে গানের তালে তালে নেচে গেয়ে প্রবেশ করছে, অন্যদিকে চিৎকার করে আনন্দ প্রকাশ করছে শিশু কিশোরদের দল। প্রিয় চরিত্রগুলোকে সরাসরি দেখতে পেয়ে বাবার কাঁধে ওঠে হাত নেড়ে তাদের প্রাণের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছে।

সিসিমপুর স্টল কর্তৃপক্ষ বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈচিত্র্য, সাম্য ও অন্তর্ভুক্তির বার্তার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তনে ভূমিকা রাখছে সিসিমপুর। ইউএসএআইডি, বাংলাদেশের আর্থিক সহযোগিতায় বহু বছর ধরে নির্মিত হচ্ছে শিশুতোষ এই টেলিভিশন অনুষ্ঠান সিসিমপুর। এই বইমেলায় আমরা সিসিমপুরের মাধ্যমে শিশুদেরকে অনেক কিছু শেখানোর চেষ্টা করছি। আমরা ছুটির দিনে তিনবার করে সিসিমপুর দেখায়।

মতিঝিল থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে বইমেলায় এসেছেন তুষার মৃধা। তিনি বার্তা ২৪.কমকে বলেন, অন্যান্য দিন অফিস শেষে ক্লান্ত থাকি। আজ দুই সন্তানকে নিয়ে বইমেলায় এসেছি তাদেরকে সিসিমপুর দেখাতে। তারা দুজনেই অনেক খুশি হয়েছে সিসিমপুর দেখে।

আদর্শ মানিক স্কুলের ৩য় শ্রেণির শিক্ষার্থী তাহমিদ জায়িফ বার্তা ২৪.কমকে বলেন, আমি হালুমকে দেখতে এসেছি। আমিও হালুমের মতো হব। আর বই কিনেছি দুইটা। ভূতের গল্পের বই আর কার্টুনের বই।


এদিকে ছুটির দিনগুলোতে খুশি প্রকাশক ও বিক্রয় কর্মীরাও। শিশু চত্বরে দেখা যায় প্রতিটি স্টলেই চোখে পড়ার মত ভিড়। প্রগতি পাবলিশার্স, ঝিলমিল, সাত ভাই চম্পা প্রকাশনী, টুনটুনি প্রকাশন, চিরন্তনী প্রকাশনীসহ সকল স্টলেই পাঠকের ভিড়ে স্থান ফাঁকা নেই। স্টলগুলোর প্রকাশক ও বিপণনকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বইমেলার ৩য় শুক্রবারে এসে বেশ ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। দিনটা ভালো বিক্রির মাধ্যমেই শুরু হয়েছে। বই বিক্রির ব্যাপারে আশাবাদী তারা।

উল্লেখ্য, প্রতি শুক্রবার ও শনিবার হয় সিসিমপুর অনুষ্ঠান। বিশেষ দিনের মধ্যে ২১শে ফেব্রুয়ারিতেও হবে সিসিমপুর। ছুটির দিনগুলোতে সকাল সাড়ে এগারোটায়, বিকেল তিনটায় এবং সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় থাকছে এ অনুষ্ঠান।

এ সম্পর্কিত আরও খবর