অমর একুশে গ্রন্থমেলার দ্বাদশ দিন চলছে। এবারের মেলায় শুরু থেকে দর্শনার্থীদের আনাগোনা ছিল লক্ষণীয়। ছুটির দিনগুলোতে যেমন উপচেপড়া ভিড় থাকছে, তেমনি কর্মদিবসের সন্ধ্যাতেও ভিড় থাকছে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায়ও মেলায় ছিল উল্লেখযোগ্য লোকসমাগম।
মেলায় অন্যপ্রকাশ, কাকলী, পাঞ্জেরি, পুঁথিনিলয়, কথাপ্রকাশ, ইত্যাদি, মাওলা ব্রাদার্স, আগামীসহ বড় প্রকাশনার প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোতে যেমন ভিড় দেখা গেছে, তেমনি ভিড় ছিল নতুন প্রকাশনার স্টলগুলোতেও।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শোয়েব হাসান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘প্রতি বছরই মেলায় একাধিকবার আসা হয়। এবারও ৬ষ্ঠ বারের মতো আসলাম। এবারের মেলা প্রায় প্রতিদিনই জমজমাট। সবাই হয়তো বই কেনেন না। তবে এই যে মেলায় আসা যাওয়া, এর ফলেও কিন্তু বই কেনার আগ্রহ তৈরি হয়।’
পুঁথিনিলয় প্রকাশনীর ব্যবস্থাপক নিশিথ দাস বলেন, ‘মানুষের সমাগম এবার অনেক বেশি। পূর্ববর্তী বছরগুলোতে শুক্র-শনি আর ছুটির দিনগুলো ছাড়া তেমন ভিড় হতো না। এবার প্রতিদিনই ভিড় হচ্ছে। এটা শুভ যে মানুষ বিকাল বা সন্ধ্যার সময়টা কাটানোর জন্য হলেও মেলায় আসছেন। ঘুরেফিরে দেখছেন।’
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মজীবী রুহুল আমিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘অফিস ছুটি হওয়ার পর এখানে এসে সময় কাটাচ্ছি। এতো হরেক ধরনের বই মেলা ছাড়া অন্য কোনো সময় পাওয়া সম্ভব নয়। প্রতিবছরই মেলায় একাধিকবার আসা হয়। তবে প্রতিবারই যে বই কিনি তা নয়, মেলার শেষদিকে এসে পছন্দের বইগুলো কিনে নিয়ে যাই।’
মঙ্গলবার সন্ধ্যাতেও মেলায় কথা সাহিত্যিক ড. জাফর ইকবাল, বরেণ্য গায়িকা সাবিনা ইয়াসমীন, শাওন মাহমুদকে দেখা গেছে।
তরুণ লেখকদের বই যেমন বের হচ্ছে মেলায়, তেমনি প্রতিষ্ঠিত লেখকদের নতুন বই ও নতুন সংস্করণে বের হচ্ছে। মেলায় শিশু কর্ণারেও থাকছে প্রতিদিনই ভিড়।
মগবাজার থেকে পরিবারসহ মেলায় এসেছেন তোফাজ্জ্বল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এবারে মেলায় একটু ধুলা বেশি থাকলেও গোছানো। মেলায় স্টলগুলোর মাঝে রয়েছে প্রসস্ত জায়গা। তাই ঘুরেফিরে স্বাচ্ছন্দ রয়েছে। তাই শুধু বই কেনা নয়, দেখতেও মেলায় আসছেন অনেকে।’