বাঙালির প্রাণের উৎসব অমর একুশে গ্রন্থমেলা। বইপ্রেমীদের এক মঞ্চে আনার এক ভিন্নমাত্রার আয়োজন। তাইতো বইমেলা জাতির প্রাণের মেলা। ছুটরি দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বইপ্রেমীদের এই মিলনমেলায় ছিল উপচে পড়া ভিড়।
শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) মেলা ঘুরে দেখা গেছে, সকালে শিশুপ্রহরের মধ্য দিয়ে বইমেলা শুরু হয়। ছোট শিশুরা অভিভাবকদের হাত ধরে মেলা প্রাঙ্গণে আসে। এরপর বই কেনা, ছোটাছুটিতে চলতে থাকে তাদের দুরন্তপনা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের ভিড়। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই মেলা প্রাঙ্গণ হয়ে যায় কানায় কানায় পূর্ণ।
মেলার প্রবেশ পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা প্রত্যেককে তল্লাশি করায় এদিন বিকেলে বাংলা একাডেমি ও সোহরওয়ার্দী উদ্যানের গেটে বইপ্রেমীদের লম্বা লাইন দেখা গেছে। তবে প্রাণের মেলায় ঢুকতে দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও ক্লান্তি নেই দর্শনার্থীদের।
খিলগাঁও থেকে আগত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমন রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গতকালও মেলায় এসেছিলাম, কিছু বই কেনা বাকি ছিল তাই আজও চলে আসলাম। কয়েকটি গল্প ও সাহিত্যের বই কিনেছি। এবারের মেলা আগের চেয়েও অনেকটা গোছাল।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাকিলা পারভিন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সাহিত্যের টানেই বইমেলায় আসি। ছোট থেকেই একটু বই পাগল। তাই বইমেলার কথা শুনলেই ছুটে আসি। প্রতি শুক্রবার আসা হয়। আগামী সপ্তাহগুলোতেও আসব। সত্যি বলতে এখানে আসলে মনটা ভালে হয়ে যায়।’
বই বিক্রেতা শাজাহান মিয়া বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় বই বিক্রি বেশ ভালে। গত দু'দিনও বেশ ভালে বিক্রি হয়েছে। আজ শিশুদের সংখ্যাই বেশি। তবে তরুণ পাঠকদের সংখ্যাও উল্লেখ করার মতো। আশা করছি কালও ভালে বিক্রি হবে।’
এদিকে শুক্র ও শনিবার বইমেলার মাধ্যমেই সুযোগ পাওয়া যায় প্রিয় লেখকের সঙ্গে দেখা করার। সে জন্য এই দিনগুলোতে বইপ্রেমীদের ভিড় দেখা যায় বেশি। প্রিয় লেখকের সঙ্গে একটু কথা বলা ও তার অটোগ্রাফ নেওয়ার সুযোগ কেউই মিস করতে চায় না। আজ সেই চিত্রও লক্ষ্য করা গেছে। অনেকেই পছন্দের লেখকের সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগও হাতছাড়া করেননি।