বইমেলার শেষ শুক্রবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আজ। তাই সকাল থেকেই যেন তিল ধারণের জায়গা নেই বইমেলা প্রাঙ্গণে। সকল বয়সের মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে এবারের বই মেলা।
বাঙালীর এই প্রাণের মেলায় কেউবা আসছেন পরিবার পরিজন নিয়ে, কেউবা আসছেন বন্ধুদের সাথে। রীতিমতো লাইন ধরে বইমেলায় প্রবেশ করছেন দর্শনার্থীরা। বইয়ের স্টলগুলোতে রয়েছে চোখে পড়ার মতো ভিড়। এতে খুশি ক্রেতা বিক্রেতা উভয় শ্রেণীর মানুষেরাই।
ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ শুক্রবার হওয়ায় দর্শনার্থীদের ভিড় অন্যান্য যে কোনো দিনের তুলনায় বেশি বলে মনে করছেন বিক্রেতারা। আর তাই সবাই বাড়তি প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছেন বলে জানান সমগ্র প্রকাশনের হাবিব আহমেদ।
বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এবারের বই মেলার শেষ শুক্রবার আজ। তাই ভিড় অন্যান্য দিনের তুলনায় বেশি হবে তা আগেই ধারণা ছিল। আগে যেখানে আমাদের বিক্রয় কর্মী হিসেবে দুইজন ছিল আজ সেখানে আরও একজন বাড়ানো হয়েছে। শুধু আমরাই নই বাকিরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন আজকের জন্য। সকাল থেকে ক্রেতাদের সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছি আমরা।’
তবে ভিড়ে কিছুটা কষ্টই হচ্ছে নারী ও শিশু দর্শনার্থীদের জন্য। ধানমন্ডির বাসিন্দা রেহানা বেগম এসেছেন একমাত্র সন্তান ওমরকে নিয়ে। ভিড়ে হেটে বেশ খানিকটা ক্লান্তই হয়ে পড়েছেন বৈকি। তাই বইমেলার প্রাঙ্গণের ভেতরে কোথাও নারী ও শিশুদের জন্য একটু বসার স্থানের ব্যবস্থা করা থাকলে ভালো হতো বলে জানান তিনি।
অন্যান্য দিনের সাথে তুলনায় শুক্রবার বই বিক্রি অন্তত ৫০ শতাংশ বেশি হবে বলেও মনে করছেন অনন্যা প্রকাশনীর বিক্রেতারা। তাছাড়া অন্যান্য যে কোনো বছরের তুলনায় এবারের বইমেলায় বই বিক্রি ভালো বলেও জানান বিক্রেতারা।
তরুণ পাঠকরা যেমন দেখে নিচ্ছেন নিজেদের পছন্দের বই, ঠিক তেমনি ক্ষুদে পাঠকরাও বাদ যাচ্ছে না। কার্টুন আঁকা বেশি ছবি সম্বলিত বইগুলোই শিশুরা বেশি পছন্দ করছেন বলে জানান বিক্রেতারা। অন্যদিকে বেড়েছে গবেষণা ধর্মী বইয়ের কদরও।
উল্লেখ্য, পহেলা ফেব্রুয়ারি ১৬ তমবারের মতো বইমেলার উদ্বোধন করে রেকর্ড করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছুটির দিন ছাড়া পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে দুপুর তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে বইমেলা। ছুটির দিনে বেলা এগারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত বইমেলা প্রাঙ্গণ খোলা থাকছে।