বইমেলার শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মেলার শুরু থেকেই দর্শনার্থী-ক্রেতাদের জমজমাট ভিড়। মেলার ভেতরে শিশু প্রহর অঙ্গনের ভেতর প্রতিটি স্টলের সামনেই ছোট-বড় সবার আনাগোনা। অবিভাবক ও শিশুদের আনাগোনায় মুখরিত ও উৎসবমুখর পুরো এলাকা। স্বাভাবিকভাবেই বই কেনাবেচা ভালো হওয়ার কথা থাকলেও, মেলার বই বিক্রেতারা জানাচ্ছেন ভিন্ন কথা।
রিয়া প্রকাশনীর বিক্রেতা জাহিদ হাসানের সাথে কথা বলে জানা যায়, মেলায় দর্শনার্থীদের সংখ্যা অনেক বেশি হলেও, ক্রেতা তেমন একটা নেই বললেই চলে। গত বছরের তুলনায় এই বছর বই বিক্রিও হচ্ছে কম।
শিশু প্রহরের কালান্তর প্রকাশনির বিক্রেতা লিয়নও একই সুরে আক্ষেপ জানালেন। তবে বই বিক্রি কম হচ্ছে এই কথার সাথে অনুযোগ করে তিনি আরো জানান, স্টলটি কর্ণারের দিকে হওয়ার ফলে মানুষের দৃষ্টিতে কম আসছে। এটাও ক্রেতা কম পাওয়ার অন্যতম কারণ। তবে শিশু সাহিত্য বইঘরের বিক্রেতা ফিরোজ খানের মতে গত বছরের মতোই রয়েছে বই বিক্রির হার। খুব বাড়েওনি কিংবা কমেওনি।
এদিকে, শিশু সাহিত্য বইঘরের দুইটি স্টল আগে অবস্থিত বাবুই প্রকাশনির বিক্রেতা সুমনের সাথে কথা হলে তিনিও জানান, বই তুলনামূলক অনেক কম বিক্রি হচ্ছে এই বছরে।
মেলা শেষ সময়ে চলে আসলেও আশানুরূপ কেনাবেচা একেবারেই হচ্ছে না। দর্শনার্থীদের আনাগোনা থাকলেও, পাঠক ও ক্রেতা কমে গেছে বলেই বইয়ের বেচাকেনাও কমে গেছে, এমনটাই জানালেন তিনি।
মাহি প্রকাশনির পরিচালক আরিফুজ্জামান খান জানালেন, বই আজকের দিনে কম বিক্রি হলেও, পুরো মেলা জুড়ে কেনাবেচা বেশ সন্তুষজনক। শিশুরা মূলত রূপকথার বই, ভূতের বই ও সায়েন্স ফিকশনের বইয়ের দিকেই বেশি ঝুঁকছে।