একাধারে কবি ও সাংবাদিক সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের জন্মদিন আজ (৩০ মে)। তিনি মূলত কবি হলেও শিল্প-সাহিত্যের সব শাখায় বিচরণ করছেন। তাঁর কবিতায় গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে নগরায়ন, নাগরিক জীবন, জীবনের জটিলতা, প্রেম, পরবাস, পরাবাস্তব প্রভৃতি প্রতিফলিত হয়েছে।
বর্তমান বাংলা কবিতার মূলধারাকে তিনি শাণিত করছেন, বাঁক ও বিবর্তণে ভূমিকা রাখছেন। সব্যসাচী দুলাল সাহিত্য ও সাংবাদিকতায় অবদান রাখার জন্য তিনি দেশ-বিদেশে পুরস্কৃত হয়েছেন।
দুলাল ছাত্রাবস্থায় দৈনিক ইত্তেফাকের মফস্বল সংবাদদাতা হিসেবে সাংবাদিকতার জীবন শুরু করেন। ১৯৮০সালে সরকারি চাকরিতে যোগদান এবং ১৯৯৬-এ খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া হয়। তারপর স্বাধীনভাবে লেখালেখি, সম্পাদনা ও প্রকাশনার কাজে মনোনিবেশ করেন তিনি।
প্রবাসী বাঙালিদের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন নিউজ এজেন্সি ‘স্বরব্যঞ্জন’, সেই সঙ্গে ‘পাঠশালা’র প্রকাশনা। দীর্ঘ দিন প্রবাসের পত্র-পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন। টরেন্টো থেকে প্রকাশিত অধুনালুপ্ত সাপ্তাহিক বাংলা রিপোর্টে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বর্তমানে দৈনিক ইত্তেফাকের কানাডাস্থ বিশেষ প্রতিনিধি এবং সিবিএন ২৪’এর উপদেষ্টা।
তিনি বাংলাদেশ বেতার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে জড়িত। বিটিভির শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি বিষয়ক অনুষ্ঠান ‘দৃষ্টি ও সৃষ্টি’র উপস্থাপক। তাঁর লেখা বেশকিছু গান ও নাটক বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত নাটকসমূহ, সাযযাদ আমিনের কথা, জাকির, সাদিকের জীবন ও সাহিত্য, বৃক্ষ বন্দনা, মুহম্মদ আলির চিঠি, ভালোবাসি ভালোবাসি, ওডারল্যান্ড, শাখা ও শেকড়, বনসাই, বৈশাখী ইত্যাদি। ‘ও ও বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’, ‘এ দেশ আমার মায়ের আরেক নাম’, ‘ঐ পতাকায় তাকিয়ে দেখি আমার মায়ের শ্যামলা মুখ’...সহ বেশ ক’টি জনপ্রিয় গানের রচয়িতা। বর্তমানে ‘কানাডায় ১৯৭১’ নিয়ে গবেষণা করছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৫০টি। বর্তমানে তিনি সপরিবারে কানাডায় বসবাস করছেন।