নেহা কোথায় যাবে বুঝতে পারে না। তার সারা শরীর ভারী। এরকম অবস্থা মনে মনে ভাবলে সে হয়ত পাগল হয়ে যেত। কিন্তু যখন কিছুর মুখোমুখি হতে হয় তখন বোধয় প্রতিক্রিয়া বদলায়। কী করবে বুঝতে না পেরে সামনের বাথরুমে ঢুকে জোরে দরজা বন্ধ করে হাঁপাতে থাকে নেহা।
হঠাৎ পিঠে একটা হাত। নেহা আস্তে আস্তে পেছন ফেরে দেখে ঈশান। ঈশান ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে নেহাকে চুপ থাকতে বলছে। নেহা কিছু বলতে যাচ্ছিল ঈশান তাকে চুপ করিয়ে দেয়। নেহা আর ঈশান চুপ করে বসে থাকে।
‘ঈশানের সঙ্গে তাহলে আলাদাভাবে একরকম কিছু হচ্ছে?’ ভাবতে থাকে নেহা! অথচ ঈশান একটু আগেও তার পাশে শুয়েছিল। কী করে সে বাথরুমে এল? প্রশ্ন জাগলেও ঈশানের মুখচোখ, এরকম অজানা শক্তির থেকে নিজেদের বাথরুমে লুকিয়ে রাখার মুহূর্তে তাদের কোনো কথায় হচ্ছিল না!
বাথরুমের দরজায় কেউ জোরে জোরে কড়া নাড়তেই থাকে।তারপর কিছু পরে সব নিস্তব্ধ। ওরা ভয়ে চুপ করে বসে থাকে। হঠাৎ বাথরুমের লাইট নিভে যায় । দুই সেকেন্ডের জন্য বাল্ব জ্বলে উঠে নিভে যায়। তাতেই নেহা দেখতে পায় বাথরুমে ঈশান কোথাও নেই আর তার সামনে মুখে চুল ঢাকা দেওয়া এক মহিলা। যার স্পষ্ট মুখ দেখা প্রায় অসম্ভব। তারপর এক বিশাল আওয়াজ। বাল্ব জ্বলে ওঠে। বাথরুমের গায়ে রক্তের ফোঁটা ভেসে আসে। বাথরুমের দরজা খুলে যায় এমনি। এক নীরব বাথরুমে বাল্বের আলো আর রক্তের দাগের বন্ধুতা তৈরি হয়।
(ক্রমশ...বাকিটা আগামী রোববার)