‘পঁচাত্তরের পরবর্তী দুঃসময়ে লেখকরাই নানাভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছে’, সম্প্রতি, শাহবাগে পাঠক সমাবেশে ‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের সঙ্গে এক বিকেল’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
জমজমাট অনুষ্ঠানে কবি সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু: ১০০ কবির ১০০ কবিতা’, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত ১০০ ছড়া’ এবং ‘তিন মিনিটের কবিতা’ গ্রন্থ তিনটি নিয়ে আড্ডা, আলোচনায় পাঠক সমাবেশ পরিণত হয় লেখক সমাবেশে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত প্রথম সংকলন ‘এ লাশ আমরা রাখবো কোথায়’এর নেপথ্যের ঘটনা তুলে ধরেন ছড়ালেখক সিরাজুল ফরিদ। ৭৫’এর পর কবি-সাহিত্যিকেরা কিভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেন, সেই দুঃসময়ের খণ্ড চিত্র তুলে ধরেন কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ঢাকার বাইরেও কিভাবে হয়েছিল, সে বর্ণনা দেন কবি গোলাম কিবরিয়া পিনু।
লেখক হুমায়ুন কবির ঢালী তার বক্তব্যে সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলালের লেখালেখির সততা এবং সাহসী ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। কবি ও শিল্পী তামান্না জেসমিন বলেন, ‘সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল প্রবাসে থেকেও স্বদেশকে বুকের মাঝে লালন করেন; তা তার লেখালেখি এবং নানাবিধ কার্যক্রম থেকে আমরা টের পাই।’
অনুষ্ঠানের আড্ডায় কবি কাজী রোজী ‘বঙ্গবন্ধু: ১০০ কবির ১০০ কবিতা’, বঙ্গবন্ধুকে নিবেদিত ১০০ ছড়া’ এবং ‘তিন মিনিটের কবিতা’ নিয়ে বলেন, ‘দুলাল শুধু মুজিববর্ষ উপলক্ষেই নয়; ১৯৯৩ সালেই তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণমূলক বই প্রকাশ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
আড্ডায় কবি কামাল চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সেই দুঃসময়ে নানাভাবে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছি। যেমন- সংকলন প্রকাশ, কবিতা লেখা, গানের ক্যাসেট প্রকাশ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবাদী পোস্টার ও চিকামারা থেকে শুরু করে নানা মাধ্যমে। আজ তার প্রকৃত ইতিহাস জানা জরুরি।
কবি ওবায়েদ আকাশ বলেন, ‘সত্তর দশকে লেখকেরা বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ করেছেন এবং এখনো আমাদের বাংলা সাহিত্যে সত্তর দশক চকচক-ঝকঝক করছেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কথাশিল্পী ঝর্ণা রহমান, কবি তিথি আফরোজ, সাংবাদিক ফিউরী খোন্দকার, ছড়াকার ফরিদুজ্জামান, সাবেক ছাত্রনেতা এম এ কাদের মিলু, লেখক লিজি রহমান, কবি বঙ্গ রাখাল প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চারণ করেন কবি শ্রাবণী প্রামানিক।