জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় সংসদকে শুভেচ্ছা জানাতে আয়োজিত মিছিলে ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়েছেন শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। একপর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রধান ফটক থেকে ছাত্রদলের মিছিলটি শুরু হয়ে মীর মোশাররফ হোসেন হলের ফটকে আসলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা পথ আটকে ধরে। ফলস্বরূপ উভয়পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এ সময় ছাত্রনেতা নাইমুর হাছান কৌশিক, মুরাদ হোসেন গুরুতর আহত হন। এছাড়া শেখ মুজিবুর রহমান হলের যুগ্ম আহ্বায়ক রাকিবুল হাসান শুভ, শহীদ রফিক-জব্বার হলের আহ্বায়ক আব্দুল কাদের মার্জুক, ছাত্রনেতা মো. সেলিম রেজা আহত হয়। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ছাত্রনেতা শফিকুল ইসলামকে হলে ধরে নিয়ে যায় বলে জানা যায়।
একই ঘটনায় ছাত্রদলের নেতাদের উপর্যুপরি আঘাতে আহত হন দুই ছাত্রলীগ নেতা। তারা হলেন প্রাণিবিদ্যা ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী নাঈম নিশাত ও নাটক ও নাট্যতত্ব ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী আলী আক্কাস আকাশ। তারা দুজনই বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের নেতা। এদের মধ্যে মাথায় গুরুতর আঘাত পান নাঈম নিশাত। পরে তাকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ছাত্রদল নেতা আব্দুল কাদের মার্জুক বলেন, চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনকে বেগবান করতে ঘোষিত ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদকে শুভেচ্ছা জানাতে আমরা জাবি ছাত্রদল ডেইরি গেইট থেকে মিছিল করে মীর মোশাররফ হোসেন হলের গেইটে আসলে ছাত্রলীগের গুন্ডা বাহিনী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। নাইমুল হাসান কৌশিক ও মুরাদ হোসেন গুরুতর আহত হয় এবং শফিকুল ইসলামকে ছাত্রলীগ হলে ধরে নিয়ে যায়।
মিছিলে অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন, ছাত্রনেতা সেলিম রেজা, মীর মশাররফ হোসেন হলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইন, যুবায়ের আল মাহমুদ, শফিকুল ইসলাম, রেজাউল আমিন, রাজিব আহম্মেদ, এম আর মুরাদ, আলামীন, রাজন মিয়া, শাফায়াত হোসেন, শরিফ হোসেন, রিফাত, নাইমসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।