ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি'র (এএসএম) ইবি শাখার আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী এম এ ওয়াজেদ মিয়া ভবনের ১০২ নং কক্ষে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিন্নাতুল করিমের সভাপতিত্বে ও এএসএম ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু রেজা ও ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের উদিশা ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মুহাম্মদ নাসরুল্লাহ।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক এএসএম কান্ট্রি অ্যাম্বাসেডর ও শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজির অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জীববিজ্ঞান অনুষদের প্রতিটি বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মাইক্রোবায়োলজির বিভিন্ন বিষয়ের ওপর ৫০ নম্বরের একটি কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শায়লা আক্তার টুম্পা, রানারআপ হয়েছেন ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের আমিন খান শুভ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ফরহাদ আলম। পরবর্তীতে বিজয়ীদের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করে পুরষ্কৃত করা হয়।
জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম বলেন, ছোট বড় বিভিন্ন রঙের, নানা ধরনের উদ্ভিদ ও প্রাণী আমরা চারপাশে খালি চোখেই দেখতে পাই। কিন্তু যেটি আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না সে জগতটি আরো বৈচিত্র্যময় এবং আরো সুন্দর। সেই জগতটি দেখার সুযোগ শুধুমাত্র জীববিজ্ঞান বিষয়ের সাথে যুক্ত তাদের রয়েছে। এই অ্যাসোসিয়েশনের মাধ্যমে যে যে জায়গাগুলোতে আমাদের যাওয়ার অধিকার রয়েছে বা সুযোগ রয়েছে সে জায়গাগুলো আমরা নিতে পারব। পাশাপাশি নির্দেশনা মোতাবেক যে যে কাজগুলো করলে আমাদের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় চ্যাপ্টারের সুনাম আরো বেড়ে যাবে এবং আমেরিকান সোসাইটিতে ইবি চ্যাপ্টার উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারবে, সেদিকে নজর রাখবো।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকিব নসরুল্লাহ বলেন, আমি সবসময়ই গবেষণা কার্যক্রমকে উৎসাহিত করি। যেহেতু এই সংগঠনে ১৭টির মতো জার্নাল আছে এবং এখানে ফ্রি মেম্বারশিপ একসেস আছে, আমি শিক্ষার্থীদের বলবো তোমরা বেশি বেশি কাজ করবে এবং প্রকাশিত আর্টিকেল পড়বে। আর্টিকেল না পড়লে তোমরা তোমাদের বদ্ধমূল ধারণা থেকে বের হতে পারবে না। শিক্ষকদের অনুরোধ করবো ছাত্রদের জন্য বিভিন্ন রিসার্চ প্রজেক্ট চালু করার অথবা রিসার্চ এসিস্ট্যান্ট বা রিসার্চ কেন্দ্রীক বিষয়ে সুযোগ দেওয়ার জন্য। এতে করে শিক্ষার্থীদের রিসার্সের উৎসাহ বৃদ্ধি পাবে, রিসার্চ জার্নালের সংখ্যা বাড়বে এবং শিক্ষার্থীরা প্রতিযোগিতাম্পূর্ণ বিশ্বে নিজেদের টিকিয়ে রাখতে সমর্থ হবে।
উল্লেখ্য, আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (ASM) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট চ্যাপ্টার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের 'আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি'র অধীনে মাইক্রোবায়োলজিস্টদের জন্য একটি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা। যা সারা বিশ্বে মাইক্রোবায়োলজি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্র সম্পর্কে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের একত্রিত করে।