পোষ্য কোটা কমিয়ে এক শতাংশ হলেও মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটার হার কমিয়ে এক শতাংশ করা হলেও মানতে নারাজ শিক্ষার্থীরা। পোষ্য কোটা বাতিল না করলে প্রশাসন অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়করা।
এ বিষয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাবি সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার বলেন, ১% কোটা নয়, আমরা কোটার ০.১%ও মানব না। প্রয়োজনে তাদের শিক্ষা ভাতা দেওয়া হোক। আমরা কোনোভাবেই এই বৈষম্য ও অযৌক্তিক কোটা মেনে নিতে পারিনা।
আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী আমান উল্লাহ খান বলেন, দেশের আর্থসামাজিক ব্যবস্থায় যেখানে দেশের প্রায় চার কোটির ওপরে জনসংখ্যা দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করে সেদিক থেকে দারিদ্র্যতার বিবেচনায় এবং নৈতিক দিক থেকে কর্মচারী বা সহায়ক কর্মচারী কারোর জন্যই কোটা রাখা উচিত না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আমরা জানিয়েছি সব ধরনের কোটা এবং সবার জন্য কোটা বাতিল করতে হবে।
কোটা পুনঃনির্ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, আজ আমাদের মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদ্যমান যে কোটা ছিল সেটি আর থাকছে না। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের জন্য ১% রাখা হয়েছে এবছরের জন্য। পিছিয়ে পড়া এই এসব কর্মচারীদের কথা বিবেচনায় এটি রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চাপে কোটা পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত আসেনি। আমার কাছে চাপ গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ হলো ন্যায্যতা ও যুক্তি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জন্মের অন্তত ১০ বছর আগে থেকেই আমরা বলছি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তাদের সন্তানদের এই কোটার কোন যৌক্তিকতা নেই। কোটা পুনঃনির্ধারণের পরও কেউ যদি না মানে তাহলে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা অনেক ভেবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।