বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রলীগের ৯৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন শাখা ছাত্রদলের এক নেতা।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) মতিহার থানায় মামলাটি করা হয় বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মালেক।
মামলার বাদী ছাত্রদল নেতা হলেন মোহাম্মাদ আহসান হাবিব। তিনি রাবি আইন বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র এবং রাবি শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তার বাসা বগুড়ার ধুনট উপজেলার নাংলু গ্রামে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদধারী নেতৃবৃন্দ রাবি শিক্ষার্থী ও কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ওপর বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে। এমনকি তারা চাপ প্রয়োগের একপর্যায়ে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। শিক্ষার্থীরা ছাত্রলীগের অবৈধ বলপ্রয়োগ, ভয়-ভীতি ও হুমকি উপেক্ষা করে গত ১৬ জুলাই রাবি ক্যাম্পাসের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মসূচি পালনের জন্য সমবেত হলে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের সময় রাবির বিভিন্ন পদ-পদবীধারী ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী রাবির সাধারণ শিক্ষার্থীগণ প্রতিবাদ করে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ছাত্রলীগের ক্যাডার বাহিনী শিক্ষার্থীদের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ করে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। ককটেল বিস্ফোরণের পরে ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ তাদের কাছে থাকা অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণনাশের ভীতি সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়।
এদিকে ছাত্রদল নেতার করা এই মামলার প্রতিবাদ জানিয়েছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ। বুধবার (৯ অক্টোবর) শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে বিষয়টি জানানো হয়। মামলায় নানান ভিত্তিহীন তথ্য দেয়ার মাধ্যমে ছাত্রদল প্রতিহিংসামূলক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে দাবি সংগঠনটির।