জুলাই অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের দোসরদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি, প্রশাসনিক পদ থেকে পদত্যাগ ও চক্রান্ত দূরীকরণ এবং কোটা বৈষম্য নিরসন করতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে বটতলা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক ও একাডেমিক ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবন চত্বরে গিয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্বৈরাচারীর ঠিকানা, এই ক্যাম্পাসে হবে না; রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়; দিয়েছি তো রক্ত, আরো দেব রক্ত; আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান; ধর ধর লীগ ধর, ধইরা ধইরা সাইজ কর; সন্ত্রাসীদের বিরোদ্ধে, ডাইরেক্ট একশন; আওয়ামী লীগের চামড়া, তুলে নেব আমরা ইত্যাদি বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় আন্দোলনকারীরা বলেন, যাদের সাথে আমাদের ভাইদের রক্ত লেগে আছে সেই সন্ত্রাসী ছাত্রলীগকে সরকার নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু এই ক্যাম্পাসে এখনো সেই ফ্যাসিবাদের দোসর বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীরা বহালতবিয়তে স্বপদে বহাল রয়েছে। অনতিবিলম্বে এই ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ৫ আগস্টের আগে যারা আমাদের সন্ত্রাসী, দুষ্কৃতিকারী আখ্যা দিয়েছিল, তাদের প্রত্যেককে এই ক্যাম্পাসের পবিত্র মাটি থেকে বিতাড়িত করা না হলে ছাত্র সমাজ আবার মাঠে নামতে বাধ্য হবে।
ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, একটি পক্ষ কোটাকে টেনে হিঁচড়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে চাচ্ছে। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই যদি এই কোটা বৈষম্যকে আপনারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমাজ আপনাদের শক্ত হাতে দমন করবে। আপনার যদি জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করে কোন ধরনের বৈষম্যকে এই ক্যাম্পাসে আপনার যদি জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকার করে কোন ধরনের বৈষম্যকে এই ক্যাম্পাসে স্থাপন করতে চান তাহলে ১৫ বছরের ফ্যাসিস্টকে যেভাবে দেশ ছেড়ে চলে যেতে হয়েছে আপনাদেরও সেভাবে চলে যেতে হবে। যদি আপনারা জুলাইয়ের স্পিরিট ধারণ করতে না পারেন তাহলে আপনাদের চেয়ার গুলো ছেড়ে দিন।