বিএনপি একটি ভুল কাজ করছে। তারা জনগণের বিশ্বাসের ভিত্তিকে দুর্বল করে দিচ্ছে। বিএনপি বার বার শুধু বলছে, নির্বাচনে কারচুপি হবে। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ভোট দখল করবে, কেন্দ্র দখল করবে।
এতে করে বিএনপি কী আদায় করতে পারবে জানি না। মানুষ যদি বিশ্বাস করতে শুরু করে নির্বাচনে বিএনপির সত্যিই কোনো আশা নেই, তাদের নেতাকর্মীরা কেন সেদিন ভোটকেন্দ্রমুখী হবে বিএনপি সেটা কখনোই ভাবেনি।
প্রত্যেক দলের নেতাকর্মীরা অবশ্যই কেন্দ্রে যায় জয়ের স্বপ্ন নিয়ে। তবে কিছু দল আছে তারা নির্বাচনে যায় হারার জন্য। তারা হেরেই খুশি। জামানত হারালে আরো খুশি হয়। নিদেনপক্ষে, ‘জামানত হারিয়েছেন যারা’ শিরোনামে পত্রিকায় তাদের নাম আসে। তাদের জন্য এটাও আনন্দের। এরা নির্বাচনে ‘দুধভাত’ দল।
বিএনপি অন্তত তেমন দল নয়। তাদের জনসমর্থন আওয়ামী লীগের পরেই। কিন্তু লক্ষ্যহীন প্রলাপ তাদেরআস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। তাদের অধঃপতনের দায় কিন্তু পুরোটাই সরকারের অনুশাসনের নয়। নিজেদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাও বেশ খানিকটা দায়ী বটে। তাই হয়তো, ডাঃ জাফরুল্লাহ তারেক রহমানকে লন্ডনে বসে মাস্টার্স পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। পড়ালেখার কোনো বিকল্প নেই।
বিএনপি যদি নিশ্চিত হয় আওয়ামী লীগ ভোট ছিনিয়ে নেবে এবং বিএনপি নেতৃত্ব এর জবাবে কিছুই করবে না তাহলে বিএনপি তার ভোটার দূরে থাক সক্রিয় কর্মীদেরও টিকিটুকু খুঁজে পাবে না ভোটের দিন। ভোটাররা আর যাই হোক ফলাফলে হারতে রাজি না। প্রত্যেকটি ভোটার জয়ের স্বপ্ন নিয়ে তার প্রার্থীকে ভোট দিতে যায়। ভোটাররা যে কোনো একসময় বিশ্বাস করতে শুরু করে তার প্রার্থী জিতে যাবে। এই স্বপ্ন যার মধ্যে নেই তিনি ভোট কেন্দ্রে যান না।
বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল এবং ইশরাক হোসেন তার কর্মী সমর্থকদের সেই স্বপ্নের জায়গাটা ভেঙে দিচ্ছেন। স্বপ্ন ভাঙার কাজ তারা একা যখন কুলিয়ে উঠতে পারছেন না, তখন পাশে রিজভী আহমেদ, মির্জা ফখরুল, খন্দকার মোশারফদের ডেকে নিচ্ছেন। তারা সবাই বিধ্বস্ত বিএনপি-কর্মীদের এখনো কিছুটা টিকে থাকা বিশ্বাসের দেয়ালে তীব্র আঘাত হেনে ভাঙার সম্মিলিত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অক্লান্ত। যেই কর্মী বা ভোটাররা এখনো স্বপ্ন দেখে সবাই মিলে কেন্দ্রে গেলে বিএনপি প্রার্থী জিতবে।
বিএনপি যে ভুল কাজটা প্রতিবার করে তারা নির্বাচনে হারার জন্য বসে থাকে। এসময় বক্তৃতা দিয়ে সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করে। তাদের কর্মীরা মনোবল হারায়। তারা রাস্তায় নামে না, কেন্দ্রে যায় না।
হারু পার্টির সঙ্গে কেউ থাকে না। তাদের প্রার্থী ও নেতারা আগেই হেরে বসে থাকে। তাই বিএনপির কর্মীরাও হারু বিএনপি'র সাথে থাকে না।
মনোয়ার রুবেল: লেখক