সরকার যেভাবে ২০২১ সালে শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছে, তেমনি ২০২৬ সালের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদে মন্ত্রিসভায় ফের বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর এদিন প্রথম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। এর আগে দু’দফায় ১০ বছর এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে গ্যাসের দৈনিক চাহিদা হবে ৬০০০ মিলিয়ন ঘনফুট। আমাদের সেভাবে প্রস্তুতি রয়েছে। সিস্টেমে মোট ২০ শতাংশ গ্যাস আমদানি থেকে যোগান আসছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে এই অনুপাত অব্যাহত রাখা। অগ্রাধিকার নিজস্ব গ্যাস সম্পদের আহরণ বাড়ানো। ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৬টি কূপ খননের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ চলছে।
পেট্রোবাংলার গ্যাস ম্যানেজমেন্ট পরিকল্পনা প্রণয়নে কাজ করছে। আমরা বিবিয়ানায় সুখবর পেতে যাচ্ছি। ১.৬ টিসিএফ পাওয়ার সম্ভাবনা দেখা গেছে। এ বছরের শেষের দিকে নিশ্চিত হতে পারবো।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে গ্যাসের যে সংকট চলছে তা সাময়িক। একটি এফএসআরইউ নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে থাকায় এই সংকট, দু-একদিনের মধ্যে কেটে যাবে। তবে আরেকটি এফএসআরইউ নিয়মিত সার্ভিসিংয়ে যাবে সেটি মার্চ নাগাদ চালু হবে।
তিনি বলেন, আমাদের চলতি মেয়াদে অগ্রাধিকার হবে ভোলা থেকে বরিশাল পর্যন্ত গ্যাসের পাইপলাইন নির্মাণ। পাইপলাইন নির্মাণের প্রাক-সমীক্ষা শেষ হয়েছে। ভোলা থেকে ৫ মিলিয়ন সিএনজি আসছে, পর্যায়ক্রমে আরও বাড়বে।
তিনি বলেন, আমাদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ আসবে, সকলে মিলে মোকাবিলা করতে হবে। তৃতীয়বার এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছি। এটা প্রমাণ করে প্রধানমন্ত্রীর আমার প্রতি আস্থার বহির্প্রকাশ।
এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিশেষ আইন প্রয়োগ করায় দ্রুত শতভাগ বিদ্যুতায়ন করা সম্ভব হয়েছে। স্বচ্ছতার সঙ্গে চুক্তি করা হয়, যেগুলো টেন্ডার করা হয়েছে তার সঙ্গে তুলনা করা হয়।