শুরু হচ্ছে পবিত্র রোজা মাস। আর এই রমজান মাস এলেই অসাধু ব্যবসায়ীদের অতি মুনাফার লোভে প্রতি বছর পণ্যের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তার ভাঁজ পড়ে ক্রেতাদের কপালে। কিন্তু সয়াবিন তেলের দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। তবে চিনি ছোলা, বেগুন ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় চিন্তিত মানুষ।
শুক্রবার ( ১ মার্চ ) রাজধানীর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৪৯ টাকায় বিক্রি করার কথা থাকলেও বিক্রি হচ্ছে প্রতি ১৬০-১৬৫ টাকায়। আর বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত মূল্য ১৬৩ টাকার পরিবর্তে ১৭০ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮০০ টাকা বেধে দিলেও বিক্রি হচ্ছে ৮২০-৮৩০ টাকা দরে। তবে দাম কিছুটা কমায় স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে।
এদিকে মাছ মাংসের বাজারে দেখা গেছে ভিন্ন চিত্র। প্রতি কেজি গরুর মাংস সরকার নির্ধারিত মূল্যের চাইতে ১০০ টাকা বেশি দামে ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। আর খাসি বিক্রি হচ্ছে ১১৫০ টাকায়। পাকিস্তানি কক মুরগি ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ২০০ টাকা, লাল লেয়ার ৩১০ টাকা কেজি। মাছের দামেও দে গেছে একই চিত্র সব ধরনের মাছে বেড়েছে অন্তত ২০-৫০ টাকা কেজি প্রতি।
বাজার ঘুরে দেখা যায় রুই মাছ ২৮০-৩৪০, কৈ ২৬০-৩০০ টাকা, পাঙাশ ২০০-২৬০টাকা, বাটা মাছ ৩০০টাকা কেজি, সিলভার কার্প ৩২০ টাকা কেজি, গ্লাস কাপ ২৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, বড় চিংড়ি ৮২০ টাকা আর ছোট চিংড়ি ৬৫০ টাকা। পাবদা ৩২০, বাইলা ৩০০ টাকা কেজি।
তবে শাক সবজির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় তেমন একটা বাড়েনি বলে জানায় ব্যবসায়ী আবুল কালাম। তিনি বলেন, শাক সবজি আগের সপ্তাহের মতোই আছে। শিম ৪০-৬০টাকা কেজি, লাউ প্রকারভেদে ৪০-৮০ গাজর ৪০, ফুল কপি ২০-৩০ বাধাকপি ৩০-৪০ টমেটো ৪০ মিষ্টি কুমড়া ৩০-৪০ পেঁপে ৫০, বেগুন ৬০ টাকা কেজি।
প্রতি সপ্তাহের মতো বাজারে এসেছেন আলাউদ্দিন সিকদার। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। তিনি বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম এমনিতেই তো বেশি তার উপর রমজানের বাজারের একটা প্রভাব পড়ছে এখনই। যদিও তেলের দাম কিছু কমছে। তবে বিদ্যুৎ এর দাম আবারও বাড়ানোর খবরে চিন্তা আবারও বাড়ছে। এখন তো আবারও সবকিছুর দাম বাড়বে।
বাজারে আসা আরেক ক্রেতা জানান, সবচেয়ে বড় বিষয় মাছের দামটা এত বেড়েছে- হাত দেওয়া যায় না। অতিরিক্ত দামের কারণে চাষের মাছ কিনেই ঘরে ফিরতে হয়।