মূল্যস্ফীতি আর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট পেশ করা হচ্ছে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকাল তিনটায়। বুধবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম বাজেট অধিবেশন ও চলতি বছরের তৃতীয় অধিবেশন শুরু হয়েছে। বর্তমান সরকারের চতুর্থ মেয়াদের প্রথম অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন।
সংসদ সচিবালয় থেকে জানা যায়, বাজেট উপস্থাপনের পর দীর্ঘ আলোচনা শেষে চলতি মাসের ৩০ জুন বাজেট পাস হবে। এর আগে আগামী সোমবার (১০ জুন) চলতি অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পাস হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
দ্বাদশ সংসদের প্রথম বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনার জন্য দুই বেলা সংসদ পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সকালে তিন ঘণ্টা ও সন্ধ্যায় তিন ঘণ্টা করে প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা করে সংসদের অধিবেশন বসবে। কোরবানির ঈদের কারণে ১৩ জুন অধিবেশন মুলতবি হয়ে ১৯ জুন পুনরায় শুরু হবে। শুক্র, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিনে বন্ধ থাকবে অধিবেশন।
প্রতিবারের বাজেটে আগামী এক বছর সরকারের আয়-ব্যয়, পরিচালনা ও উন্নয়ন ব্যয় নিয়ে পরিকল্পনা উপস্থাপন হবে। তবে, এ নিয়ে মাথাব্যথা নেই সাধারণ মানুষের। তারা শুধু চান বাজেট তাদের জীবন-জীবিকাকে সহজ করুক। নিয়ন্ত্রণে থাকুক প্রতিদিনের নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম। অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। যা হবে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।
এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে অর্থবিভাগের কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে এক লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। বিদেশি ঋণে নেবে এক লাখ ২৭ হাজার ২০০ কোটি টাকা।
যদিও প্রকৃত বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকায়। কারণ বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে ব্যয় হবে ৩৬ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। এছাড়াও সঞ্চয়পত্র থেকে নেয়া হবে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। ব্যাংক বহির্ভূত ঋণের পরিমাণ ২৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া যাবে ৮ হাজার কোটি টাকা।
এদিকে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপনের প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ে। এটি হবে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫৩ তম বাজেট ও অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর প্রথম বাজেট ঘোষণা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের টানা চতুর্থ মেয়াদের প্রথম বাজেট।