অর্থপাচারকারীরা কোনও দেশেই সুখে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না হাঁশিয়ারি দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, দেশীয় আইনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও তাদের নাজেহাল করা হবে।
বুধবার (১৪ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, বাংলাদেশ থেকে যারা টাকা পাচার করেছে, টাকা পাচার করে; তারা পৃথিবীর কোনও দেশেই সুখে শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। দেশীয় আইনের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনেও তাদের নাজেহাল করা হবে।
তিনি বলেন, পাচার করা টাকা ফেরত আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী পাঁচ থেকে ছয় মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। বাজারে তিনটা অ্যাঙ্গেলে কাজ করার সম্ভাবনা আছে। একটি হলো সরবরাহ ব্যবস্থা। অর্থাৎ কীভাবে উৎপাদন বাড়িয়ে আমরা সরবরাহ বাড়াতে পারি এবং তার মাধ্যমে বাজারে ইতিবাচক প্রভাব আনা। দ্বিতীয়ত চাঁদাবাজির মতো কিছু বিষয় উঠে এসেছে। এই জায়গাগুলোতে কাজ করতে হবে। তৃতীয়ত চাহিদার দিক নিয়ে কাজ করা। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক এই কাজটা করছে এবং আমরা আরেকটু পর্যালোচনা করে দেখব আরও কিছু করার আছে কি না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি আছে, এটা অস্বীকার করে লাভ নেই। এজন্য আমরা যতটুকু আমদানি করতে পারতাম, ততটুকু পারছি না। সেটার একটা প্রভাব তো বাজারে থাকবেই।